বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সমাজ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y S o সমাজ না ! বঙ্গসমাজের গঙ্গায় একটা জোয়ার আসিতেছে বলিয়া কি মনে হইতেছে না ! তাই কি সমাজের সর্বাঙ্গ আবেগে চঞ্চল হইয়া উঠে নাই ! আমাদের এদেশ নিরানন্দের দেশ, আমাদের এদেশে রোগ শোক তাপ আছে, রোগ শোকে নিরানন্দে আমরা জীর্ণ হইয়া মরিতে বসিয়াছি—সেই জন্তই আমরা আনন্দ চাই, জীবন চাই— সেই জন্তই বলিতেছি নুতন শ্রোত আসিয়া আমাদের মুম্যু হৃদয়ের স্বাস্থ্যবিধান করুকৃ—মরিতেই যদি হয় ত যেন আনন্দের প্রভাবেই মরিতে পার! p আর, মরিব কেন ! তুমি এমনি কি হিসাব জান যে, একবার ঠিক দিয়া রাখিয়াছ যে, আমরা মরিতেই বসিয়াছি! তোমার বুড়েমানুষের হিসাব অনুযায়ী মনুষ্যসমাজ চলে না । তুমি কি জান, মানুষ সহসা কোথা হইতে বল পায়, কোথা হইতে দৈবশক্তি লাভ কবে ? মনুষ্য-সমাজ সাধারণতঃ হিসাবে চলে বটে, কিন্তু এক এক সময়ে সেখানে যেন ভেল্পী লাগিয়া যায় তখন আর হিসাবে মেলে না । অন্ত সময়ে দুয়ে দুয়ে চার হয়, সহসা এক দিন দুয়ে দুয়ে পাঁচ হইয়া যায়, তখন বুড়োমানুষেরা চক্ষু হইতে চষমা খুলিয়া অবাক্ হইয়া চাহিয়া থাকে। সহসা যখন নুতন ভাবের প্রবাহ উপস্থিত হইয়া জাতির হৃদ আবৰ্ত্ত রচনা করে তখনই সেই ভেন্ধী লাগিবার সময়—তখন যে কি তে কি হয় ঠাহর পাইবার যো নাই । অতএব অঁাব বাগানে আমাদের সেই ক্ষুদ্র নীড়ের মধ্যে আর ফিরিব না । হয় মরিব নয় বাচিব, এই কথাই ভাল । মরিবার ভয়ে বাচিয় থাকিবার দরকার নাই। ক্রমোয়েল যখন ইংলণ্ডের দাসত্ব রজু ছেদন করিতেছিলেন তখন তিনি মরিতেও পারিতেন, বাচিতেও পারিতেন, ওয়াসিংটন যখন আমেরিকায় স্বাধীনতার ধ্বজা উঠাইয়াছিলেন তখন তিনি মরিতেও পারিত্নে বাচিতেও পারিতেন। পৃথিবীর সর্বত্রই এমন