আর ফিরতো না। সেই জন্যে সাধারণ নাবিকেরা আর বেশীদূর অগ্রসর হতেও সাহস করতো না।
কিন্তু ভূগোল চর্চ্চা করে তখন বৈজ্ঞানিকদের মধ্যে একদল বলতে আরম্ভ করেছিলেন যে, পৃথিবী হলো গোলাকার। আগেকার লোকের ধারণা ছিল যে, আমাদের পৃথিবী হলো এক টুকরো বড় কাগজের মত সমতল। কিন্তু ক্রমশঃ লোকের ধারণা বদলাতে লাগলো। বৈজ্ঞানিকেরা একটার পর একটা প্রমাণ খুঁজে পেতে লাগলেন। তাঁরা বুঝলেন যে আমাদের পৃথিবীটা হলো একটা বলের মত গোল জিনিস! পৃথিবী যদি বলের মত গোলাকারই হয়, তাহলে নিশ্চয়ই পৃথিবীর যে-জায়গা থেকে যাত্রা করা যাবে, আবার মাত্রাশেষে সেইখানেই ফিরে আসা সম্ভব! বৈজ্ঞানিকেরা কাগজে কলমে অঙ্ক কসে বল্লেন, নিশ্চয়ই সম্ভব! কিন্তু কে তা কাজে প্রমাণ করে দেখাবে? এই কাল্পনিক প্রমাণের উপর নির্ভর করে কে জীবন বিসর্জ্জন দিতে যাবে?
সেই সময়ে য়ুরোপের লোকের ধারণা ছিল যে, তাদের কাছ থেকে সব চেয়ে দূরের দেশ হলো, এশিয়া। তাদের ধারণা ছিল যে, য়ুরোপের তীর থেকে পশ্চিমমুখো হয়ে কেউ যদি আটলাণ্টিক সমুদ্র ধরে যাত্রা করে, তাহলে