স্পেনের নৌ-বাহিনীর সেনাধ্যক্ষ হবেন এবং যে সমস্ত ঐশ্বর্য্য তিনি সংগ্রহ করে আনতে পারবেন, তার অংশও তাঁকে দেওয়া হবে। তা ছাড়া রাণী ইসাবেলা অনুগ্রহ করে তাঁর ছেলের ভারও নিজের হাতে তুলে নিলেন...বল্লেন, তাঁর অনুপস্থিতির সময় তাঁর ছেলে রাজপ্রাসাদে রাজকুমারের অনুচররূপে সসম্মানে থাকতে পারবে।
আনন্দে কলম্বাসের চিত্ত আপনা থেকে সকল বিধানের বিধায়কের নিকট কৃতজ্ঞতায় মগ্ন হয়ে গেল। তিনি কালবিলম্ব না করে রাণীর সাহায্যে অভিযানের আয়োজন করতে লাগলেন।
প্যালোসের বন্দর থেকে তিনখানি জাহাজ কেনা হলো। এখন প্রয়োজন—শুধু লোকের। বন্দরে-বন্দরে ঘোষণা করা হলো। কিন্তু ঘোষণার ফলে দেখা গেল, কেহই সাড়া দেয় না। এই দুঃসাহসিক অভিযানের কথা শুনে অভিজ্ঞ নাবিকেরাও ভয়ে পিছিয়ে গেল। এই উন্মাদের সঙ্গে কে পাবে সেই মৃত্যু-সঙ্কুল অজানা তরঙ্গের রাজ্যের মধ্যে ডুব দিতে? বহু চেষ্টার পর, রাজ-আজ্ঞার চাপে অবশেষে লোকজন জোগাড় হলো। তিনখানি জাহাজের নামকরণ হলো যথাক্রমে ‘সাণ্টা মেরিয়া’, ‘পিন্টা’ এবং ‘নিনা’।