হয়ে গিয়েছে! তবে কি এমনি ভাবে এতদিনের সঞ্চিত আশা স্বপ্নের মতই শেষ হয়ে যাবে? তবুও তিনি সেই ক্ষুব্ধ বিদ্রোহী জনতার সামনে মাথা উঁচু করে বল্লেন, তীরে না পৌঁছনো পর্য্যন্ত আমি জাহাজের মুখ ফেরাবো না!
সহসা জনতার মধ্যে নীরবে যেন কিসের একটা তরঙ্গ বয়ে গেল! কলম্বাস একা দাঁড়িয়ে দেখলেন, আক্রমণ করবার আগে বন্য পশু যেমন ভাবে তার নখদন্ত ঘর্ষণ করে, তাঁর সামনে ক্রুদ্ধ জনতা তেমনি নখদন্ত ঘর্ষণ করছে···হয়ত আর কয়েক মিনিট পরে তারা সকলে মিলে তাঁকে আক্রমণ করবে...
সহসা তিনি করজোড় করে, কাতর কণ্ঠে তাদের ডেকে বল্লেন, বন্ধুরা, মাত্র আর তিনদিন সময় আমাকে দাও!
ক্ষুব্ধ ক্রুদ্ধ জনতা এ ওর মুখ-চাওয়াচায়ি করে নীরবে আবার যে যার কাজে ফিরে গেল...মাত্র আর তিন দিন সময় বইতো নয়!
দেখতে-দেখতে দু’দিন কেটে গেল...কলম্বাসের চোখের দৃষ্টি স্থির হয়ে এলো...তাঁর দেহের ভেতর থেকে যেন প্রতি লোম-কূপে চক্ষু ফুটে উঠেছে—সেই লক্ষ-লক্ষ