পাতা:সমুদ্রের স্বাদ - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমুদ্রের স্বাদ পাওয়া এত কঠিন না হইলে সে কবে কালিদাসীকে দূর করিয়া দিত। তবু মেয়েমানুষ মেয়েমানুষের ঘরের খবর না জানিয়া পারে না, তাই খুঁটিয়া খুঁটিয়া কালিদাসীর সংসারের সব বিবরণই মায়া প্ৰায় জানিয়া ফেলিয়াছে। খাওয়ার লোক এবাড়ীর চেয়ে দু’একজন বেশীই হইবে, BDL DDBB BD DD DBDBD DB S প্রথম দিন খবরটা শুনিয়া মায়া গভীর সহানুভূতির সঙ্গে বলিয়াছিল, ‘আপিম থায়! তাই বুঝি রোজগার পাতি কিছুই করে না ?” কালিদাসী আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিয়াছিল, ‘রোজগার করবে না কেনে গা ? ওর মত খাটতে পারে কটা লোক ? তবে গরীবের রোজগার তো, কুলোয় না।” মায়াও আশ্চৰ্য্য হইয়া বলিয়াছিল, ‘আপিম খায়, তবু নিয়মমত কাজকম্মো করে ?” কালিদাসী বলিয়াছিল, ‘আপিম খায় তো কাজকম্মো করবে না। cंकन भ ?' প্ৰায় দশটার সময় কালিদাসীর বাজার করা মাছ-তরকারী মুখে গুজিয়া নরেন অপিস যাইতেছিল, আপিমখোর দাদা ডাকিতেছে শুনিয়া তার ঘরে গেল। তিনটি মাথার বালিশের উপর একটা পাশ বালিশ চাপাইয়া আরামে ঠেস দিয়া হরেন আধশোয়া অবস্থায় পড়িয়া আছে। মুখে কিন্তু তার একটুও আরামের ছাপ নাই, আছে চট চটে ঘামের মত ভেঁাতা। একটা অবসাদ আর নির্বিকার উদাসভাবের আবরণ। তোষকটা একটু ছোড়া, বিছানার চাদরটা অত্যন্ত ময়লা, দুটি বালিশ আর পাশ বালিশটিতে ওয়াড়ের অভাব, ঘরের সমস্ত জিনিষপত্রে পীড়াদায়ক বিশৃঙ্খলা। কিন্তু উপায় কি ? 3S