পাতা:সরস গল্প - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুক্তপুরুষ হরিদাস না যে সংসারের মধ্যে থাকিয়াও নির্লিপ্ত । গীতায় শ্রীকৃষ্ণের কথা স্মরণপথে উদিত হইল। জয় ও পরাজয়, লাভ ও ক্ষতিকে যে সমান দৃষ্টিতে দেখিতে পারে সে-ই তো অধ্যাত্ম-রাজ্যের একজন বড় গীতিদার বা তালুকদার। তিনি আজ সম্পূর্ণ নির্লিপ্ত আছেন। কিসের বলে ? ব্ৰহ্মোপলব্ধির বলে । আত্ম-সাক্ষাৎকার লাভের বলে। অতএব তিনি জীবন্মুক্ত। তিনি দেবতা । পরদিনের প্রভাতটি যেন তঁাহার কাছে তাহার নবজীবনের প্ৰভাতের মত ঠেকিল । 8 কি সুন্দর শরতের ঝলমলে আলো গাছে-পাতায় । কি সুন্দর বিহঙ্গাকাকলী। এসব যেন নতুন চোখে আজ দেখিতেছেন। কিন্তু এ দৃষ্টি, কবির দৃষ্টি, আত্মতত্ত্বজ্ঞ জ্ঞানীর দৃষ্টি নয়। হরিদাসবাব যে সে কথা বুঝিলেন না তা নয়, তবু ভাল লাগিল। এই শরতের আলো, সবুজ क्रष्ट्°ळ्ली, नन्न ऊi• ।। কবির দৃষ্টি তাই কি, কবি কি জ্ঞানী নয় ? সবে আসিয়া বাইরের ঘরে বসিয়াছেন, এমন সময় হাজারী মেছুনি আসিয়া বলিল-বাবা ঠাকুর উঠেচেন ? দু'দিন আমি আপনার দেখাই পাই নে। পোন্নাম হই । ইয়ে গিয়ে আমার ও-মাসের সেই চিংড়ি মাছের দরুণ সাতস্যিকে পয়সা বাকি । আজ না দিলি চলবে না । মহাজনের টাকা বাকি, আজ তাদের দৈনা শোধ দিতি হবে। হরিদাসবাবু বলিলেন-আচ্ছা এখন যা-বেলা হলে আসবি। -कोऊ ८दळ श्°ब्लि ? -আঃ, বিরক্ত করলে ! এই বোলা ন’টা দশটা ৷ -বাবা ঠাকুর, আপনি ব্যাজার হবেন না, ব্যাজার। হ’লি চলে ? আমরা হচ্চি গরীব লোক। আপনার দোর থেকে নিয়ে গিয়ে তবে খাব। একটু বেলা হ’লি আসবো এখন, দামটা চুকিয়ে দেবেন। এখন। মেছুনী চলিয়া গেল । Σ Σ