۰/را অনুষ্ঠান করিয়া মুক্তিলাভ করিয়াছেন। সুতরাং একমাত্র মন্ত্রভাগই প্রমাণভূত। র্তাহার এইরূপ নানাবিধ আপত্তি উত্থাপন করিয়া, সাধুপ্রকৃতি জনগণের হৃদয়ে সন্দেহ উপস্থাপিত করিয়া থাকেন। আপত্তি-খণ্ডন। এতদুত্তরে বক্তব্য এই যে, এই আপত্তি নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর। বেদার্থতত্ত্ববিৎ ঋষিগণের বাক্য দ্বারা বেদার্থ নিরূপণ করা হইয়া থাকে। ভগবান আপস্তম্ব "যখন স্পষ্টভাবে মন্ত্র ও ব্রাহ্মণভাগের বেদত্ব স্বীকার করিয়াছেন, তখন তাহার বাক্য অপ্রমাণ বলিবার কি যুক্তি আছে ? কেবল ব্রাহ্মণভাগে মন্ত্রভাগের ব্যাখ্যা দেখিয়া যদি ব্রাহ্মণভাগকে অপরের রচিত বলিতে হয়, ভাহা হইলে, ভাষ্যকারদিগের বাক্যেও নিজ নিজ বাক্যের ব্যাখ্যা দেখিয়া, ভাষা ও ব্যাখ্যার কর্তা ভিন্ন ভিন্ন—ইহা স্বীকার করিতে হয়। আর তাহা হইলে, আচাৰ্য্য শঙ্করকৃত ব্রহ্মস্বত্রভাষ্যে তদন্তর্গত ব্যাখ্যাভাগটি অন্থের রচিত বলা যাইতে পারে। কারণ— “সূত্রার্থে বর্ণ্যতে যত্ৰ পদৈঃ সূত্রানুসারিভিঃ। স্বপদানি চ বর্ণ্যন্তে ভাষ্যং ভাষ্যবিদে বিদ্যুঃ ॥” যাহাতে স্বত্রানুসারী পদসমূহের দ্বারা স্বত্রার্থ বর্ণিত হয় এবং স্বপ্রযুক্ত পদগুলির ব্যাখ্যা করা হয়, তাহাকেই ভাষ্যজ্ঞ পণ্ডিতগণ ভাষ্য বলিয়া থাকেন। অতএব কেবল ব্যাখ্যা থাকিলেই যে ব্যাখ্যাংশের কর্তা ভিন্ন, তাহার কোন প্রমাণ নাই মৃতরা বলিতে হইবে, জ্ঞানকাগু অপ্রমাণ নহে। ব্রাহ্মণভাগে জনমেজয় প্রভৃতির সংবাদ দৃষ্ট হয় বলিয়া যদি তাহাকে পৌরুষেয় ও অপ্রমাণ বলা হয়, তাহা হইলে, মন্ত্রভাগে উৰ্ব্বশী ও পুরুরবস প্রভৃতির উপাখ্যান থাকায়, তাহারও পৌরুষেয়ত্ব ও অপ্রামাণ্য হউক এবং তজ্জন্ত তাহার বেদত্ব বিলুপ্ত হউক । সুতরাং মন্ত্রভাগের যদি বেদত্ব সিদ্ধ হয়, তাহ হইলে ব্রাহ্মণ ভাগের ও বেদত্ব সিদ্ধ হইবে। অতএব বলিতে হইবে,—বেদের জ্ঞানকাও অপ্রমাণ নহে । ব্ৰাহ্মণভাগে তত্ত্বজ্ঞান উপদিষ্ট হুইয়াছে, তাহ অবিস্তা নিবৃত্তির জন্য মনুষ্যমাত্রেরই অভাঙ্গিত। কৰ্ম্মকাণ্ডে উপদিষ্ট স্বর্গাফিল অদৃষ্টদ্বারা অন্ত দেহে ঘটিয়া থাকে, কিন্তু জ্ঞানের ফল মুক্তি এই দেহেই সম্ভব হইতে পারে। কৰ্ম্ম লোকাস্তরে