পাতা:সর্ব্ববেদান্ত-সিদ্ধান্ত-সার-সংগ্রহঃ.djvu/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শাস্ত্র-স্বরূপ । শাস্ত্র শব্দে প্রথমতঃ বেদকেই বুঝায় ; বেদমূলকত্ব প্রযুক্ত মম্বাদি ধৰ্ম্মগ্রন্থসমূহকে শাস্ত্র নামে অভিহিত করা হয়। এই বেদ দুই ভাগে বিভক্ত ; তন্মধ্যে একটিকে মন্ত্র ও অপরটিকে ব্রাহ্মণ বলে। মন্ত্রভাগকে কৰ্ম্মকাণ্ড ও ব্রাহ্মণভাগকে জ্ঞানকাও বলা যাইতে পারে। যদিও ব্রাহ্মণভাগে কৰ্ম্মকাণ্ডের বিষয় উল্লিখিত আছে, তথাপি জ্ঞান প্রধানভাবে বিবৃত হওয়ায়, তাহাকে জ্ঞানকাও বলা হইয়া থাকে। • কৰ্ম্মকাণ্ডে প্রথম অধিকারীর জন্ত চিত্তশুদ্ধির উপায়স্বরূপ জ্যোতিষ্ট্রোমগণ প্রভৃতি বিবিধ কৰ্ম্ম উপদিষ্ট হইয়াছে। জ্ঞানকাণ্ডে সংসারপারাবার হইতে উত্তীর্ণ হইয়া জীব কিরূপে শান্তি ও মুখের পরাকাষ্ঠা লাভ করিতে পারে, তাহাই বিশদরূপে বর্ণিত হইয়াছ। যে অজ্ঞাত বিষয়ের উপদেশ প্রদান করে এবং যাহা হইতে অলৌকিক ইঃপ্রাপ্তি ও অনিষ্ট্র-পরিহারের উপায় অবগত হওয়া যায়, মনীষিগণ তাহাকে বেদ বলিয়া থাকেন। যেমন কৰ্ম্মকাণ্ডে অলৌকিক স্বৰ্গাদিরূপ ইষ্টপ্রাপ্তির উপায়—যাগাদি বিশেষরূপে অভিহিত হইয়াছে, সেইরূপ জ্ঞানকাণ্ডে অপরিচ্ছিন্ন আনন্দাত্মক ব্ৰহ্মরূপ মুক্তির বিষয় উপদিষ্ট হইয়াছে। যেমন মন্ত্রভাগের প্রামীণ অপ্রতিহত, তদ্রুপ ব্রাহ্মণভাগেরও গ্রামাণ্য অস্বীকার করিবার উপায় নাই। ধৰ্ম্মস্থত্রকার ভগবান আপস্তম্ব “মন্ত্রব্রাহ্মণয়োর্বেদনামধেম” এই স্বত্রে মন্ত্র ও ব্রাহ্মণ উভয়কেই অবিশেষে বেদ আখ্যা প্রদান করিয়াছেন। ব্রাহ্মণভাগের বেদত্বে আপত্তি । কোন কোন মহাত্মা মন্ত্রভাগের বেদত্ব স্বীকার করিয়া ব্রাহ্মণভাগকে বেদ বলিয়া স্বীকার করিতে প্রস্তুত নহেন। তাছারা বলেন,–“ব্ৰাহ্মণভাগ মন্ত্র ভাগের ব্যাখ্যাস্বরূপ; সুতরাং তাহা ভাষ্য টীকাদির ন্যায় পুরুষ-নিৰ্ম্মিত ; এবংবিধ ব্যাখ্যাগ্রন্থ কখনই বেদ হইতে পারে না। অপিচ, ব্রাহ্মণভাগে জনমেজর প্রভৃতির উপাখ্যান বর্ণিত আছে, এবংবিধ অৰ্ব্বাক্তন পুরুষের নাম তাহাতে বিদ্যমান থাকায়, তাহার পৌরুষেয়ত্ব এবং পরভবিকত্ব অনিবাৰ্য্য। তৃতীয়ত: পূৰ্ব্বে ঋষিগণ কৰ্ম্মযোগী ছিলেন, তারা মগ্নিহোত্র প্রভৃতি বিবিধ বৈদিক কর্থের

  • মন্ত্র ও ব্রাহ্মণের স্বরূপ ইহাতে সামান্ততঃ বিচার করা হইলে বিশেষ বিচার অন্ত গ্রন্থে

अग्नर्थिऊ श्t३ ।। }