পাতা:সর্ব্ববেদান্ত-সিদ্ধান্ত-সার-সংগ্রহঃ.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যায় না; যেহেতু ভাবরূপে প্রতীয়মান হয়। সুতরাং সং ও অসৎ হইতে ভিন্ন অনিবার্ঘ্য ভাবরূপ পদার্থকে মায়া বলা যায়। মায়াবাদের বৈদিকত্ব সম্বন্ধে— “মায়াস্তু প্রকৃতিং বিদ্যান্মানিস্তু মহেশ্বরম্। তরত্যবিদ্যাং বিততাং হৃদি যুক্ষিগ্নিবেশিতে।" "ইন্ত্রো মায়াভি পুররপ ঈয়তে" ইত্যাদি শ্রতিই তাহার প্রমাণ । এতদ্ভিন্ন সংহিতা ও উপনিষদের বহুস্থলে মায়া শব্যের প্রয়োগ বিদ্যমান আছে। কোন কোন আধুনিক ধৰ্ম্মপ্রচারক মায়াবাদ অবৈদিক বলিয়া ঘোষণা করিতেও কুষ্ঠিত হ’ন না। বস্তুতঃ তাহারা যে স্বীয় স্বীয় ভ্রান্তমতের পোষকতার জন্য অন্ধ হইয়া, বেদের বহুস্থলে লব্ধ মায়া শব্দকে অপার্থ করিতে বিন্দুমাত্রও সঙ্কুচিত হ’ন না। র্যাহারা “মায়ান্তু প্রকৃতিং বিদ্যাং” এই শ্রুতিতে মায়াশাকে সাংখ্য. মতের প্রকৃতি বলিয়া ঘোষণা করিয়া থাকেন,তাহারা অন্বয়ের দিকে বিন্দুমাত্রও লক্ষ্য রাখেন না। কেন না, "মাধান্তু প্রকৃতিং বিষ্ঠাং”—মায়াকে প্রকৃতি বলিয়া জানিবে, এই মায়া শব্দ যদি সাংখ্যমতের প্রকৃতি হইত তাহ হইলে প্রকৃতিস্তু মায়াং বিদ্যাৎ’ অর্থাৎ প্রকৃতিকে মায়া জানিবে এইরূপ পাঠ থাক উচিত ছিল। কারণ এখানে মায়াং’-এই পদটি উদ্যে এবং ‘প্রকৃতিং এই পদটি বিধেয় ; অর্থাৎ মায়াকে উদ্বেগু করিয়া তাহার প্রকৃতিত্ব (উপাদান কারণত্ব) বিহিত হইয়াছে। আর যদি প্রতিবাদীর আগ্রহাতিশষ্য প্রযুক্ত মায়। শম্বকে সাংখ্যমতের প্রকৃতি বলা যায়, তাহতেই বা ক্ষতি কি ? সাংখ্য ও বেদান্ত শাস্ত্রে প্রকৃতির স্বরূপ একরূপ নিরূপিত হইয়াছে ; সাংখ্যবাদিগণ প্রকৃতির স্বতস্ত্রতা ও সত্যতা স্বীকার করেন, বেদান্তীরা তাঁহাই করেন না, এইমাত্র ভেদ। ইহা দ্বারা মায়ার বৈদিকতা অতি সহজেই হৃদয়ঙ্গম হয়। শ্রতিবাক্য উত্তমরূপে বিচার করিয়৷ দেখিলে, মায়াবাদের অস্তিত্ব অতি উত্তমরূপে অবগত হওয়া যায়। এক্ষণে মায়াবাদের বৈদিকতা স্থাপনের জন্ত ছাণোগ্যবাকের কিঞ্চিৎ বিচার প্রদর্শিত হইতেছে। "সদেব সৌম্য ইদমগ্র আসীৎ”—হে সৌম্য! এই জগৎ পূৰ্ব্বে সংস্বরূপ ব্ৰহ্মই ছিল, এই বাক্যে ইদং শঙ্কের অর্থ দ্বৈত, দ্বৈততাদাত্মাপন্ন ব্ৰহ্ম অগ্রকালসং এইরূপ শাধ্ব-ৰোধ হইবে। অর্থাৎ দ্বৈততাদাত্ম্যাপন্ন ব্রহ্মকে উদ্বেগু করিয়া অগ্রকাল সত্ব বিধেয় হইতেছে। উদেপ্ততাবচ্ছেদক দেশ ও কাল অবচ্ছেদে বিধেয়ের অন্বয় হইয়া থাকে,–এই স্থায় সৰ্ব্ববাদিসন্মত। যেমন ধনী মুখী এস্থলে উদেপ্ত ধনী, উদেখতাবচ্ছেদক ধন, তৎকালাবচ্ছেদে স্বত্ব প্রতীক মান হয় ; যৎকালে ধন বিদ্যমান আছে, তৎকালে পুরুষ মুখী থাকেন। সেই রূপ "সদেব সেীমা ইদমগ্র আলীং” এইবাক্যে -দ্বৈততাদাত্মাপন্ন ব্রহ্ম পাওয়া