পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভগবৎসান্দর্ভের ՀԳՀ) (শ্বেতাশ্ব, ৬৭)। ਫਿਕਿ কারণ, কারণসমূহের অধিপতিরও অধিপতি, তাহাকে জানে, এমন কেহ নাই, তাহার অধিপতি ও কেহ নাই ; ধীর ব্যক্তি”ৰ্তাহার সকল রূপ চিন্তা করিয়া, সকল | - নাম উচ্চারণ করিয়া তাহার প্রকৃত তত্ত্ব অভিব্যক্তি করেন? ( যজুঃ অঃ, ৩১২)। //“তমের পরপারে আদিত্যবর্ণ এই মহাপুরুষকে আমি জানি’(যজুমাঃ,৩১২)। “এই বিদ্যুৎ| ..." । পুরুষ হইতে নিমেষ-সকলের উদ্ভব হইয়াছে।” (তৈং নারায়ণ, ১) এই সকল শ্রুতিবাক্যে পর, ===~ ব্রহ্মের প্রাক্কত হেয় গুণসমূহ-হেয় দেহ-সম্বন্ধ এবং তন্মল কৰ্ম্মবশ্যতা-সম্বন্ধ প্ৰতিষেধ করিয়া, ஆ *প্তাহার কল্যাণগুণ ও কল্যাণরূপ সম্বন্ধে বলা হইয়াছে। পরমকারুণিক ভগবান উপাসকগণের প্রতি অনুগ্রহ নিবন্ধন তাহাদের বোধের উপযোগী দেব-মনুষ্যাদি রূপে তেঁাহার স্বাভাবিক রূপ স্বেচ্ছাপূৰ্ব্বক প্ৰকটন করেন। তাই পুরুষসূক্ত বলেন,-“তিনি অজায়মান হইলেও বহুভাৰে দেব, মনুষ্য ও তিৰ্য্যাগাদিরূপে অবতীর্ণ হয়ে না।” গীত, বলেন- “সেই অব্যয় আত্মা, ভূতগণের ঈশ্বর, অজ হইয়াও জন্ম পরিগ্রহ করেন।” সাধুগণের পরিত্রাণের জন্য তিনি আবিভূতি হয়েন। এ স্থলে সাধু শব্দের অর্থ-উপাসক। তঁহাদের পরিত্রাণই তাহার অবতরণের উদ্দেশ্য। দুস্কৃতিগণের বিনাশ আনুষঙ্গিক মাত্র-কেন না, সঙ্কল্পমাত্রই তাহদের বিনাশ সম্ভব।-- পর হয়। “আমি স্বীয় প্রকৃতিতে অধিষ্ঠান করিয়া অবতীর্ণ হই’ ( গীতা )। এ স্থলে প্রকৃতি * অর্থ-স্বভাব ; আমি স্বীয় স্বভাব অবলম্বন করিয়া অবতীর্ণ হই, কিন্তু সংসারী স্বভাব অবলম্বন করিয়া নহে, ইহাই ভাবার্থ। “আত্মমায়য়া” ( গীতা )। আত্মমায়া পদের অর্থ স্বসঙ্কল্প নির্ঘণ্টকারগণ বলেন, মায়া শব্দের অর্থ জ্ঞান। শ্ৰীবিষ্ণুপুরাণে ভগবান পরাশরের উক্তিতে লিখিত হইয়াছে,-“যাহাতে প্রতিষ্ঠিত সমস্ত শক্তি এই বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ডস্থ পদার্থে বিততরূপে বৰ্ত্তমান, সেই শক্তিসমূহের অভিব্যঞ্জক এই বিশ্বরূপ হরির বৈরূপ্য মাত্র, তাহার স্বকীয় রূপ এই বিশ্বরূপ হইতে ভিন্ন। দেব, তিৰ্য্যক ও মনুষ্যাদি তাহারই শক্তিরূপ, তিনিই স্বীয় লীলায় এই 皋 সকল শক্তিরূপ, জগতের উপকারের জন্য প্ৰকটন করেন। তাহার লীলা-মনুষ্যের কাৰ্যের ন্যায় কৰ্ম্মজা নহে।” (বিষ্ণু পুত্ৰ, ৬৯'র্ন's ) । মহাভারতেও অবতার-রূপের অপ্রাকৃতিত্ব বর্ণিত হইয়াছে। উদ্যোগপর্বে লিখিত আছে,- ས། ། পরমাত্মার দেহ পাঞ্চভৌতিক নহে। শ্ৰীভাষে লিখিত হইয়াছে,-“অতএব পরব্রহ্মের এইরূপ রূপবত্তাদি তাহারই ধৰ্ম্ম।” (শ্ৰীভাষ্য ১১২০)। ভগবান পরাশরের প্রাগুক্ত নির্দেশে জানা গিয়াছে যে, শ্ৰীহরির স্বয়ংরূপ বিশ্বরূপ হইতে ভিন্ন, * উহা ভগবানের স্বরূপান্তরঙ্গ ধৰ্ম্ম স্বরূপ-ধৰ্ম্মী ; স্বরূপান্তরঙ্গ ধৰ্ম্মগুলি স্বরূপের" অবয়ব। উপপন্ন হইল যে, স্বরূপ-অৱয়বী, সুতরাং দেহ। (মূল ভগবৎসন্দর্ভে লিখিত হইয়াছে, স্বরূপ ও মূৰ্ত্তি—একই ) শ্ৰীভগবৎস্বরূপই সমস্ত শক্তি প্রাদুর্ভাবের কৰ্ত্তা। এই কর্তৃত্ব দ্বারা স্বরূপত্ব ও পূর্ণত্ব স্বীকৃত হইল। এই শক্তি-সকল আবার নিজেচ্ছাত্মক শক্তিময়ী, এই নির্মিত্ত ইহার স্বরূপশক্তি নামে অভিহিক্ত হয় । রূপ জ্ঞান-মায়া শব্দের অর্থ বায়ুন ও জ্ঞান ( বেদ-নির্ঘণ্টে ধৰ্ম্মবর্গের ২২ শ্লোক দেখ )।