পাতা:সর্ব্বসম্বাদিনী - জীব গোস্বামী.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অনুব্যাখ্যা مناسRb অপরাপর শাস্ত্ৰসমূহ পূৰ্ব্বযুক্তি অনুসারে কৰ্ম্মকাণ্ড, উপাসনাকাণ্ড এবং জ্ঞানকাণ্ডেরই অনুসরণ করে। কাব্য, অলঙ্কার, কামতত্ত্ব, গান্ধৰ্ব্ব কলা প্রভৃতি দ্বারা শ্ৰীভগৰানের তত্তৎ- { বিষয়ক চরিত-মাধুৰ্য্যের অনুভব-জ্ঞান সিদ্ধ হয়। নীতি ও শিল্প দ্বারা তাহার সেবা-চাতুরী- } বিষয়ে অভিজ্ঞতা জন্মে। আয়ুৰ্বেদ ও ধনুৰ্বেদ দ্বারা তাহার' উপাসনার প্রতিবন্ধকতা নিবা । রণের সামর্থ ঘটে। এইরূপ অভিপ্রায় মনে করিয়াই শ্ৰীমৎপ্রহ্লাদ বলিয়াছেন,-“খৰ্ব, অর্থ ও কাম-এই ত্ৰিবৰ্গ, ( ঈক্ষা) আত্মবিদ্যা, उन्नी (कर्नूदिछ ), नत्र (ख्दीदिछ|) त्रिं . (দণ্ডনীতি) ও বিবিধ বাৰ্ত্ত (জীবিকা-নিৰ্বাহাৰ্থ বিদ্যা), এই সকল বিষয় যদি স্বসুহৃৎ (স্বান্তৰ্য্যামী") পরমপুরুষ শ্ৰীভগবানের সাধক হয়, তাহা হইলেই এই সকল বিষয়কে সত্য বলিয়া মনে করি, নচেৎ ইহারা অসৎ।”—(শ্ৰীভাগবত, ৭৬/২৬)। সুতরাং শ্ৰীভগবানের উপাসনার অনুকূলভাবে গ্ৰহণ করিয়া সকল বিস্কাই শিক্ষু করা কীৰ্ত্তন্য এবং সকল বিস্কারই তাহাতে সমন্বয়-জ্ঞান করিতে হইবে। শ্ৰীভগবৎসান্দর্ভের ১০৯ অঙ্কে , শ্ৰীভাগবতের একটি শ্লোক উদ্ধৃত করা হইয়াছে। শ্লোকটি এই,- . -- ܒ * “ব্ৰহ্মন ব্ৰহ্মণ্যনির্দেশ্যে নিগুণে গুণবৃত্তয়ঃ।

                        • " কথঞ্চৰন্তি শ্ৰাতায়: সাক্ষাৎ সদস্যতঃ পরে ॥”

অর্থাৎ হে ব্ৰহ্মন, ব্ৰহ্ম নিগুণ-সম্বাদি গুণাতীত, তজ্জন্য অনিৰ্দেশ্য এবং স্থল-সুহ্মেরও অতীত। এমন পদার্থে গুণবৃত্তিশীল শ্রুতিসমূহের সাক্ষাৎ সম্বন্ধে কি প্রকারে প্রবৃত্তি হইতে পারে ? এই স্থলে কিছু বিশেষ বক্তব্য আছে। ব্ৰহ্ম যদি অবিচনীয় হয়েন, তবে অবিচনীয় পদেই তিনি বাক্যের বিষয়ীভূত হয়েন। সুতরাং তিনি যে শব্দবাচ্য, ইহা প্ৰতিপন্ন হইল। যদি অবিচনীয় পদের দ্বারাই তাহাকে লক্ষ্য করা যায়, তাহা হইলে বস্তুতঃ তিনি তদ্বৎই লক্ষ্য হয়েন। লক্ষ্য-প্ৰতিপাদকের গঙ্গা শব্দের ন্যায় তাহারও। অবচনীয়ত্বাভাবে বিচনীয়ত্বই সিদ্ধ হয়। আর যদি বল, তেঁাহাতে বিচনীয়ত্ব অবাচনীয়ত্ব, এই উভয়েরই অভাব, তাহা হইলে অনিৰ্ব্বচনীয়ত্ব-দোষিসম্পাত у ঘটে, তাহা হইলে তিনি একেবারেই মিথ্যা হইয়া পড়েন। এখানে আবার সেই “ঘট্ৰিকুটীতেই প্রভাত।” অর্থাৎ যে ঘাটকরগ্রাহীর ভয়ে প্রবঞ্চনপ্রিয় বণিক রাত্ৰিতে বিপথে পলাইতে চায়, দিকৃহারা হইয়া নিশাবসানে আবার তাহার সম্মুখেই পড়িয়া তাহাকে যেমন অপ্রতিভা । হইতে হয়, এরূপ যুক্ত্যাভাস অনুসরণকারীরাও তাদৃশী বিড়ম্বনা ঘটে। এইরূপ লক্ষ্য শব্দ দ্বারা ব্ৰহ্মকে বাক্যের বিষয়ীভূত করিলেই তাহার সম্বন্ধে বচনীয়ত্ব সিদ্ধ হয়। অর্থাৎ ব্ৰহ্ম বে বাক্যের বিষয়, ইহা সিদ্ধ হয়। যাহা লক্ষিত হয়, তাহার লক্ষ্যত্ব থাকে না ; যাহা গঙ্গা-শব্দ-লক্ষ্য, তাহা যেমন লক্ষ্যত্বহীন, লক্ষ প্রতিপাদক শব্দ লক্ষ্য বস্তুও আর পুনর্বার সেইরূপ লক্ষ্য হইতে পারে না।

  • (যেমন "গঙ্গায়াং ঘোষঃ” এই কথা বলিলে গঙ্গা শব্দ যেমন তটকেই লক্ষ্য করে, এই তট শব্দ যখন

লক্ষিত হয়, তখন আর উহার লক্ষ্যত্ব থাকে না, অন্যান্য বিষয়েও সেইরূপী। কোন শব্দ দ্বারা ব্ৰহ্ম যখন লক্ষিত হয়েন, তখন আর উহার লক্ষ্যত্ব থাকে না। )। যদি বল, দ্বিতীয় বার এই ব্ৰহ্ম ' ' );