পাতা:সহরতলি (দ্বিতীয় পর্ব্ব) - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সনহৱতাৰ্লী হোক আর যে ভাবেই হোক, টাকা আদায় করাকে সত্যপ্রিয় বিশেষ সৃষ্টিছাড়া ব্যাপার বলিয়া মনে করে না, খুব বেশী অন্যায় বলিয়াও গণ্য করে না । যত মানুষকে সে চেনে তারা সকলেই টাকা টাকা করিয়া পাগল । তাই নিয়ম সংসারে । কেবল নিজের মেয়ে জামায়ের ব্যাপার বলিয়াই তার একটু খারাপ লাগিতেছে । নরনারীর সম্পর্কে যে মনের মিল বলিয়া একটা খুব বড় রকমের ব্যাপার আছে, সোজাসুজি আবিচার অত্যাচার না করিয়া, এমন কি রীতিমত ভাল ব্যবহার করিয়াও যে একজন আরেকজনকে অবহেলা করিতে পারে, মিষ্টি ভদ্রতার সম্পর্ক আর স্নেচ মমতার সম্পর্কের মধ্যে যে তফাৎ। অনেক, সত্যপ্রিয় তা প্ৰায় ভুলিয়াই গিয়াছে। পুরুষমানুয যদি অকারণে মেয়েমানুষকে মারধোর গালাগালি না করে, তবে আর মেয়েমানুষের সুখের জন্য কি দরকার চাইতে পারে সে বুঝিতে পারে না । কিন্তু যোগমায়ার অসুখী মন আজকাল নানা দিক দিয়া নানাভাবে আসিয়া তাকে ক্রমাগত আঘাত করে । সাধারণ অবস্থায় হয়তে সে খেয়ালেও করিত না, কিন্তু এদিকে এখন তার মন গিয়াছে । দেশের স্বাধীনতা চাহিলে যে স্বাধীনতা পাওয়া যায় না। ববং না। চাইলেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাওয়া যায়। এই সমস্যার মত, কন্যার বিবাহিত জীবনটাও তার কাছে এখন একটা সমস্যা দাড়াইয়া গিয়াছে । মেয়ে যে অসুখী হইয়াছে এর চেয়ে তার যেন বেশী যন্ত্রণ বোধ হয়। এই ভাবিয়া যে সে মেয়েকে সুখী করিবার জন্য নিজে সে পাত্র ঠিক করিয়া মেয়ের বিবাহ ८छ्, ख्थ5 6भ८ शो शं नशे । بہ-'ص