পাতা:সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8br সাংখ্যতত্ত্ব-কৌমুদী। যে অপরটীর সেপানে অবশুই থাকা আবশ্বক, সেইটী তাহার ব্যাপক, বঞ্জি ধূমের ব্যাপক, কেন না যেখানে ধুম আছে, অবশুই সেখানে বহি থাকিবে। প্রথমতঃ ধূম ও বঙ্কুির ব্যাপ্তি নিশ্চয় হয়, অর্থাৎ বহিকে ছাড়িয়া ধুম কখনই থাকিতে পারে না, ইহা বিশেষরূপে পরীক্ষিত হয়, ব্যাপ্তিজ্ঞানেব প্রতি ব্যতিরেক নিশ্চয়ই প্রধান কারণ। ঘুম বক্লিকে ছাড়িয়া কখনই থাকিতে পারে না, যেকাল পর্যন্ত এরূপ জ্ঞান না হয়, ততক্ষণ শতসহস্ৰ স্থলে বঙ্কি ও ধূমের একত্র অবস্থানরূপ অম্বয় নিশ্চয়ে ব্যাপ্তি স্থির হয় না। উক্তরূপে ব্যাপ্তি স্থির হইলে পর পর্বতাদিতে অবিচ্ছিন্নমূল ধুম দর্শনের পর ধুম বহির ব্যাপা এরূপ স্মরণ হয়, হইলে বহি ব্যাপা ধুম পৰ্ব্বতে আছে, এরূপ পরামর্শ হয়, অনন্তর পৰ্ব্বতে বহি আছে, এরূপ অনুমান হইয়া থাকে। - ব্যাপ্তিজ্ঞানস্থলে দেখা.চাই, কোনরূপ উপাধির সম্ভাবনা আছে কি না ? উপাধি থাকিলে ব্যাপ্তি থাকে না । সাধ্যের ব্যাপক হইয়া যেটা সাধনের অব্যাপক হয়, তাহাকে উপাধি বলে । এরূপ উপাধি থাকিলে স্পষ্টতঃ বোধ হয় হেতুতে দোষ আছে, নতুবা উপাধিট সাধারূপ ব্যাপকটর ব্যাপক হইয় সাধনরূপ ব্যাপাটীর ব্যাপক হইল না, ইহা সঙ্গত নহে। হেতু ব্যভিচারী হইলেই উপাধি থাকে, এই ব্যভিচারী হেতুকেই অসদ্ধেতু বলে, পক্ষত্ত্বরে অবভিচারী হেতুর নাম সদ্ধেতু। "বহ্রিমান ধূমাৎ" এখানে ধৰ্মটা সদ্ধেতু, কেন না, ধুম বহির ব্যভিচারী নহে “ধুমবান বত্নেঃ” এখানে বহ্লিট অসন্ধেতু, কেন না, বঙ্কিটা ধুমের ব্যভিচারী, বঙ্কিটা ধুমকে ছাড়িয়া অয়োগোলকে ( অতিতপ্ত লৌহপিণ্ডে) থাকে, এখানে আর্সেন্ধনটা উপাধি হইয়াছে, আন্দ্ৰেন্ধন ধূমরূপ সাধের ব্যাপক হইয়াছে, যেখানে ধুম আছে, সেখানে আর্সেন্ধন (ভিজা কাঠ ) আছে, অথচ বঙ্কুিরুপ সাধন অর্থাৎ হেতুর ব্যাপক হয় নাই, অয়োগোলকে বঙ্কুিরুপ সাধন আছে, কিন্তু আন্দ্রেদ্ধন নাই, বহিরূপ সাধনটা অয়োগোলকে ধূমরূপ সাধ্য ও আর্সেন্ধনরূপ উপাধি উভয়ের ব্যভিচারী হইয়াছে। উপাধি দুই প্রকার ;–শঙ্কিত ও সমারোপিত বা নিশ্চিত । যেখানে উপাধিতে সাধ্যের ব্যাপকতা সন্দেহ হয়, তাহাকে শঙ্কিত উপাধি বলে । 'প্রদর্শিত আঙ্কেনটা 'সমারোপিত উপাধি উপাধির শঙ্কা হইলে ব্যভিচারের শঙ্ক হয়, সুতরাং ব্যভিচারাভাবরূপ ব্যাপ্তির নিশ্চয় হয় না, ব্যাপ্তির সংশয় হয়। উপাধির নিশ্চয় হইলে ব্যভিচারের নিশ্চয় হয়। - - কেহ কেহ উপাধির লক্ষণ এইরূপ • বলেন, “যেটা সাধনের অব্যাপক