পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যৌক্তিকঙ্কান। } সাখ্যার্শন। - ૧૭ এবম্বিধ যৌক্তিক-জ্ঞান কখন আপনার অন্তরে স্বতঃই উৎপন্ন হয়, কখন বা পরের অস্তরে বলপূৰ্ব্বক উৎপাদন করিতে হয়। এ জন্য পূৰ্ব্ব পূর্ব পণ্ডিতেরা ইহাকে দুই শ্রেণী ভূক্ত করিয়া থাকীে । স্বার্থতুিমান ও পরার্থাকুমান । স্বার্থাকুমানে কোন গোলযোগ নাই ; কারণ, কোন পদার্থ দর্শন কফুিল পর, ব্যাপ্তিজ্ঞানসম্পন্ন পুরুষের হৃদয়ে আপনা হইতেই তৎসম্বন্ধ বস্তুর উপলব্ধি হইয়া থাকে-পূৰ্ব্ব কথিত যুক্তির আন্দোলন বা তাহার শরীর বিস্তার করিৰার আবশ্যক হয় না । চক্ষুর সহিত বিষয়ের সংযোগ হইবামাত্র বিনা আন্দোলনে যেমন জ্ঞানোৎপত্তি হয় অর্থাৎ তৎকালে বা তাহার পূৰ্ব্বে এমন জ্ঞান হয় না যে, আমি চক্ষুদ্বারা এই কারণে এই রূপ করিয়া ইহা দেখিতেছি,—এইরূপ, স্বার্থায়মান উৎপন্ন হইবার পূৰ্ব্বে বা তৎসমকালে আন্দোলন হয় না যে আমি এই কারণে এবংপ্রকারে ইহা জানিতেছি ; অতএব স্বাৰ্থ ঘুমানে যুক্তি কল্পনার প্রয়োজন হয় না— পরার্থকুমান পক্ষেই উহার প্রয়োজন। কারণ, অবোধ ব্যক্তিকে বা সংশয়িত ব্যক্তিকে বুঝাইতে হইলে, তাহার চক্ষুর উপর যুক্তির শরীর নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেখাইতে না পারিলে, হৃদয়ের মধ্যে প্রৰিষ্ট করিয়া দিতে না পারিলে, সে বুঝিবে না—সেনিঃসন্ধিও হুইবে না। এই জন্যই পণ্ডিতেরা তাশ ব্যক্তির নিমিত্ত যুক্তির শরীরনিৰ্ম্মাণের উপযোগী পাচটি অবয়ব কল্পনা করিয়া থাকেন। সেই পাঁচটি অবয়বের নাম যথাক্রমে প্রতিজ্ঞার উল্লেখ, হেতু প্রদর্শন, উদাহরণ, হইল । অপিচ, সংস্কার যদি কলেৰে দুষ্ট থাকে, তবে তৎসংলগ্ন জল মিথ্য হইৰে । যে বস্তু দেখিয়া যুক্তি স্থির করিতে হইবে, সেই বস্তুর দেখা যদি ঠিক, দেখা না হয়; তবে তত্ত্বখ মুক্তি কোম কাৰ্য্যকারী হুইবে না। "