পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१g সাক্ষাদর্শন । , [ যুক্তিw" দেখান, উপায় অর্থাৎ বাপ্তির স্মরণ করান এবং অবশেষে নিগমন। অর্থাৎ ব্যাপ্য বা হেতু বস্তুটি দেখাইরা তাহার সহিত যাহার অব্যভিচারীসহচরিত্ব আছে—তাহার অবশ্য সত্ত্ব অনুভব করান। প্রতিজ্ঞা—যেটি সিদ্ধ করিতে হইবে, তাহার উল্লেখ বা স্থাপন করার নাম প্রতিজ্ঞ যথা, সন্মুখস্থ,পৰ্ব্বতে বহি আছে)। পৰ্ব্বতে বহ্নির অস্তিত্ব সিদ্ধ করিতে হইবে সুতরাং কথিতরুপে তাহার উল্লেখ করাই প্রতিজ্ঞ শব্দের বাচ্য। * হেতু *—ব্যাপ্য পদার্থটি প্রদর্শন করা যে অদৃশ্য বস্তুটি সিদ্ধ করিতে হইবে, তাহার সহিত দৃশ্যবস্তুটির যে স্বাভাবিক ব্যাপ্তি আছে,

  • হেতুটি নির্দোষ হওয়া আবশ্যক। হেতুতে কোন প্রকার দোষ থাকিলে তদ্বারা সতা লাভের আশা করা যাইতে পারিবে না । এজন্য হেতুটি সদোষ কি নির্দোষ, বিবেচনা করা আবশ্যক। দোষ থাকে পরিত্যাগ কর—না থাকে গ্রহণ কর,—এই নিয়ম সৰ্ব্বত্র অনুস্থাত থাকিবে । হেতুর নির্দোষত প্রমাণ হইলে, ব্যাপ্তিরও স্বাভাবিকত্ব নিশ্চয় হইবে। দুষ্ট অর্থাৎ সদোষ হেতুকে শাস্ত্রকারের হেত্বাভাস বলিয়া থাকেন। হেত্বাভাসের অর্থ এই যে, দেপিতে হেতুর ন্যায় কিন্তু তাহ বাস্তবিক হেতু নহে। এই হেত্বাভাস পাঁচ প্রকার। সব্যভিচার, বিরুদ্ধ, অসিদ্ধ, সৎপ্রতিপক্ষ, ও বাধিত । এই সকল দোষ যুক্ত হেতুর বিবরণ সংক্ষেপে এই মাত্র বলা যাইতে পারে যে, যাহাকে হেতু বলিয়া অবধারণ করিতে হইবে, সাধ্যের সহিত তাহার যদি কখন কোথাও ব্যভিচার দৃষ্ট হয়, তবে তাছাকে সব্যভিচার বলিয়া জান। পক্ষে হেতুর সদ্ভাব এবং হেতুর সহিত সাধ্যের স্বাভাৰিক ব্যাপ্তি থাক। যদি পরীক্ষার সিদ্ধ না হয়, তবে তাহীকে অসিদ্ধ বলিয়া জান। বিরুদ্ধ-প্রমাণাস্তরের সহিত বিরোধ উপস্থিত হইলে তাহাকে বিরুদ্ধ নামক হেত্বাভাস বল। সাধ্যের অভাববোধক হেত্বস্তুর থাকিলে তাহাকে সৎপ্রতিপক্ষ বলা যায়। প্রমাণাস্তর দ্বারা হেতুর হেতুত্ব অপগত হইলে তাহা বাধিত নামে ব্যবহৃত হয়। এসকল বিস্তার করিতে গেলে অতি বাহুল্য হয়, শেষতঃ এ সকল বিচারের প্রদর্শন করা এ পুস্তকের উদ্দেশ্য নহে। হেত্বাভাস বা সদোৰ হেতুর লক্ষণ গুলি সংক্ষেপে বলা হইল, এতদনুসারে সমন্বয় বা উদাহরণ স্থলগুলি খাটাই লওঁ । r "