পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• भोक्षज्वलन्म । { যুক্তি ও অবয়বের মধ্যে তিস্ট মাত্র অবয়বকে কাৰ্য্যকারী মনে করেন। [ অন্য দুইটি অকৰ্ম্মণ্য ] সুতরাং ইহঁাদের মতে তিনটি মাত্র অবয়ব যুক্তির অঙ্গ। সে তিনটি এই—প্রতিঙ্গ, হেতু ও উদাহরণ। আবার কেহ কেহ বলেন, তিনটিরও আবশ্যক নাই, কারণ, ব্যপ্তিজ্ঞানসম্পন্ন পুরুষের নিকট, প্রতিজ্ঞার উপর একমাত্ৰ হেতু প্রদর্শন করিলেই যথেষ্ট হয়। এমতে দুইটি মাত্র অবয়ব বলা হইতেছে। এবম্বিধ অবয়ব সম্পন্ন যুক্তি ‘ন্যায়’ নামে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। গৌতম ও কণাদ, এই পঞ্চাবয়ব ন্যায়কে বহু বিস্তার করিয়া বলিয়াছেন। তদনুসারে তাহদের কৃত গ্রন্থের নাম ন্যায় গ্রন্থ বা ন্যায় শাস্ত্র হইয়াছে। এই যুক্তির সহিত মনুষ্য মনের যে কিরূপ অনিৰ্ব্বচনীয় সম্বন্ধ আছে—যুক্তি মানবমনের উপর যে কি পরিমাণে প্রভুত্ব করিতে পারে,-তাহ অবধারণ করিয়া বলা যায় না। ফল, সন্দিগ্ধ পুরুষের সন্দেহ ভঞ্জন, ভ্রান্তপুরুখে ভ্রম-নিরাকরণ, অবোধপুরুষের বোধ উৎপাদন করিতে একমাত্র যুক্তিই পটীয়সী। জগতে যুক্তিরূপ পরীক্ষা বিদ্যমান না থাকিলে, কি আধ্যাত্মিক কি বাহ্যিক, কোন প্রকার উন্নতি হইত না ; এমন কি, এ জগং পুত্র কলত্রাদির সহিত একত্র বাসরেও উপযোগী হইত না। । পূৰ্ব্বে যে তিন প্রকার ব্যাপ্তির উল্লেখ করা হইয়াছে, তদনুসারে যুক্তির গতি ও নাম fন্তন প্রকার। এক প্রকারের নাম পুৰ্ব্ববৎ, অপর প্রকারের নাম শেষবৎ, তদ্ভিন্ন প্রকারের নাম সামান্যতোদৃষ্ট । . পূৰ্ব্বৱৎ-“কাৰ্য্য থাকিলে তাহার কারণও থাকে" এবপ্রকার ੱਚ ব্যাপ্তি হইতে যে যুক্তির উত্থান হয় তাহার নাম পূৰ্ব্বরং ধর্থ, কার্য দেখিয়া কারণের অনুসন্ধান বা নির্ণয় কর }