পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

曦 সাখ্যার্শন। { ঔপদেশিকঞ্জান ও মানব জাতির স্বভাবতঃ সে সাধ্য থাকিত, তাহা হইলে আর লিখন গঠন পদ্ধতির উদয় হইত না, সংবাদ পত্রেরও আবশ্যক থাঙ্কিত না। অতএব, চক্ষুরাদি ইঞ্জিরের ন্যায় এবং তৎসম্বন্ধ-সমুখ যুক্তির ন্যায়, স্বত্য বাক্যেও একটি অকাট্য প্রামাণ্য আছে অর্থাৎ প্রত্যক্ষের ন্যায়, যুক্তির ন্যায়, সত্যবাক্যও একটি প্রমাণ বা যথার্থ জ্ঞানের কারণ। বাক্যের প্রামাণ্য থাকা যদি স্বীকাৰ্য্য হইল—তবে তাহার সত্যসত্যের রূপ নিৰ্দ্ধারণ করা আবশ্যক । যেহেতু, বাক্য মাত্রই সত্য হইতে পারে না, বা বাক্য সমুখ জ্ঞান মাত্রই যথার্থ জ্ঞান হইতে পারে ম। ঐক্রিয়ক জ্ঞানের মধ্যে ও যৌক্তিকজ্ঞানের মধ্যে, যেমন শত শত ভ্ৰম লুক্কায়িত থাকে, শাৰী-জ্ঞানের বোক্য জন্য জ্ঞানের ] মধ্যেও তেমনি ভ্রম থাকিতে পারে, স্বতরাং ইঞ্জিয় ও ঐন্দ্ৰিয়ক জ্ঞানের ন্যায় এবং যুক্তি ও যৌক্তিক জ্ঞানের ন্যায়, শব্দ ও শাক-জ্ঞানেরও পরীক্ষা করা আবশ্যক। পরীক্ষা করিতে হইলে প্রথমতঃ লক্ষণ নির্দেশ করা আবশ্যক। সেই অবশ্যকতা বিধায় কাপিল শাস্ত্রে উহার এইরূপ লক্ষণ নির্দিষ্ট হইয়াছে, "ঘাইম মহু।” অর্থাৎ উপদেশাত্মক আপ্ত বাক্যের নাম শব্দ’ এবং সেই শব্ব-শ্রবণের সমনস্তর যে জ্ঞান জন্মে, তাহাই শব্দ-জ্ঞান’ । এই শব্দজ্ঞানও অব্যভিচারী ও অভ্রান্ত । এখন জিজ্ঞাস্য হইবে যে “আগুশদের অর্থ কি? এবং বাক্যেরই বা আপ্ততা কি ?”— x কাপিল-মতানুসারীরা বলেন ‘মাপ্তাশকের অর্থ এই যে, যাহাতে ভ্ৰম প্রমাদ প্রভৃতি জৈবিক দোষের আশঙ্কা নাই, তাহাই আগুবাক্য। লেশ্বর সাংখ্য ও ঔপনিষদ জাচার্য্যের বলেন, জাপ্তত বাক্যের মন্তে আগুতা পুরুষের জীব, ভ্রম-প্রমাইজিয়াপাটৰ t ইজিয়ের