পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাখ্যদর্শন । [ ঔপদেশিক-জ্ঞান ও ها নিক্ষেপ করা যাইবে, নচেৎ উক্ত সম্বন্ধত্রর রহিত অর্থাৎ অসমৃদ্ধ ও তাৎপৰ্য্য শূন্য ঈশ্বরের বাক্যেও বিশ্বাসকরা যাইতে পারে না । , এক্ষণে আকাজ কি ? যোগ্যতা কি ? আসক্তিই বা কি ?— এতদ্বিষয়ে মনোযোগ কর— - আকাঙ্ক্ষা,—একটি শব্দ উচ্চারুণ করিলে, তাহার অর্থসম্পূরণের নিমিত্ত যে শাস্তরের সংযোজন করার আবশ্যক হয়, সেই আবশ্যক ভাবের নাম আকাঙ্কা । যথা ‘রাম’ বা “রামের’ এবশুপ্রকার শব্দ উচ্চারণ করিলে, রাম বা রামের কি ?-এই রূপ জিজ্ঞাসা জন্মে। ইহারই নাম আকাঙ্কা। এই আকাজার পূৰ্ত্তি করিবার নিমিত্ত, ঐ উচ্চারিত বাক্যের অবয়বে আছেন’ বা ‘পুত্র প্রভৃতি শব্দের সংযোজন করা আবশ্যক হয়। কখন কখন বাহিরে ঐরূপ শব্দ-সংযোজন ব। উচ্চারণ করিবার আবশ্যক হয় না, মনে মনে উদয় হইয়াই উহ আকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি করিয়া থাকে। আসক্তি,—যতগুলি শব্দ উচ্চারণ করিয়া একটি বস্তু বোধক বাক্য নিৰ্ম্মাণ করিতে হইবে—সেই সমস্ত শব্দের পরস্পর সম্বন্ধ রাখিয়া, পর পর বিনা-বিলম্বে উচ্চারণ করার নাম আসক্তি। এই আসক্তিই বাক্যার্থ বোধের কারণ। শব্দ সকল আসক্তি-ত্রুমে উচ্চারিত না হইলে অর্থাৎ আজ, বলিলাম ‘রাম’ আর কাল বলিব আছেন এরূপ ব্যবহিত উচ্চারণ করিলে তাহা কোন অর্থের প্রকাশক হইবে না। - যোগ্যতা,-আকাঙ্ক wo আসক্তিঅনুসারে শবরাশি উচ্চারণ কৰিলেই কোন না কোন অর্থের প্রকাশ পাইবে, কিন্তু সেই প্রকাশ্যমান জুধ দি অযোগ্য হয়, তাছা হইলে বুদ্ধিতে হইবে যে, সে বাক্যে যোগ্যতা নাই। এতাদৃশ বাক্যকেই লোকে অযোগ্য বাক্য বলে।