পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপদেশ । ] সাজ্যদর্শন । " و ». কি হইলে যোগ্য বাক্য হয় ?—আর কিম্বিধ অর্থ হইলেই বা তাহাকে যোগ্য অর্থ বলা যায় ?— যে বাক্যের অর্থ, প্রত্যক্ষ বা যুক্তির অবিরোধী—সেই বাক্যই যোগ্য বাক্য এবং তাহারই অর্থ যোগ্য অর্থ ; যথা—“এই স্ত্রী বন্ধ্য"," এই বাক্যটি যোগ্য এবং ইহার মর্থও যোগ্য অর্থ; কেননা, ইহা প্রত্যক্ষ বা যুক্তির বিরোধী নহে। যাহার অর্থ প্রত্যক্ষ বা যুক্তির সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ, সেই বাক্যই অযোগ্য বাক্য ; যথা—“এই ব্যক্তির জননী বন্ধ্যা”—এই বাক্যটি কি যুক্তি, কি প্রত্যক্ষ,সৰ্ব্বাংশেই সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ। । তাৎপর্য্য,—বক্তার অভিপ্রায় অর্থাৎ মনোগত ভাব-বিশেষকে শাস্ত্র কারের তাৎপৰ্য্য’ নামে উল্লেখ করিয়া থাকেন। এই তাৎপৰ্য্যই শব্দ-জ্ঞানের প্রধান অঙ্গ। যে বাক্যের কোন তাৎপৰ্য্য নাই, অথবা উপলব্ধি হয় না, সে বাক্য আকাঙ্ক্ষা, আসক্তি ও যোগ্যতা অনুসারে উচ্চারিত হইলেও কাৰ্য্যকারী হয় না। কিন্তু এক মাত্র তাৎপর্য্যের বলে যোগ্যতা বিহীন বাক্যও সাধু বলিয়া সমাদৃত হইতে পারে। মনে কর—-"ইহার জননী বন্ধ্যা”—এই বাক্যটি নিতান্ত অধোগ্য হইলেও বক্তার যদি ঐৰূপ বলিবার কোন তাৎপৰ্য্য থাকে-তাহ হইলে ঐ বাক্য কদাচ অগ্রাহ্য হইবে না ; ববং, উহা কোন উৎকৃষ্ট ভাবের ব্যঞ্জক হইবে। অতএব, তাৎপৰ্য্যই বাক্যের সার ; তাৎপৰ্য্য বোধই ঔপদেশিক জ্ঞানের প্রাণ, তাৎপৰ্য্য-ব্যতিরেকে বাক্যের বা বাক্যার্থের জ্ঞান হইতে পারে না। ফলতঃ নিষ্কৰ্ষ এই যে আকাজ, আসক্তি, যোগ্যতা ও তাৎপর্যন্ধু—এই চারি প্রকার সম্বন্ধ স্বত্রে আবদ্ধ যে বাক্ষ্য, সেই বাক্যই আপ্ত বাক্য ; তদ্ভিন্ন অন্যপ্রকার আগুবাক্য এ জগতে নাই।