পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাখ্যদর্শন । [ ঔপদেশিক জান ও وخليج . “জাপ্ত বাক্যও যথার্থ জ্ঞানের জনক”—এতদ্বন্ধটিত তিনটি মত বলা হইল। এতৎসম্বন্ধে আরও মত আছে, তাহা আর বলিবার আবশ্যক নাই। কেন না, আগু বাক্যের লক্ষণ-ঘটিত মত যতই কেন থাকুক না, সকল মতেই বেদ বাক্যের আগুন্তী স্বীকার আছে। এমনকি,তৎকালের সমস্ত আস্তিক সুম্প্রদায়ই বেদের নামে শিরোনমন করিতেন । ভারতবর্ষীয় প্রাচীন ঋষিদিগের বুদ্ধি যতই তীব্ৰ—যতই স্বক্ষবস্তুর গ্রহণক্ষমা থাকুক-দেখা যায় বেদের নিকট সকলকারই বুদ্ধি কুষ্ঠিত হইয়াছিল। বেদের নিকট র্তাহীদের বুদ্ধি যে কেন কুষ্ঠিত হইয়াছিল --কে বলিতে পরে ? তাহারা যে বেদকে অভ্রান্ত মনে করিতেন, করিতেন কি না অথবা কেন করিতেন ? তাহা তাহারাই জানেন। ফল, তাহাদিগের লিখনভঙ্গী দেখিয়া আমাদিগকে সিদ্ধান্ত করিতে হয় যে তাহারা বেদবাক্যকে অভ্রান্তবাক্য বলিয়াই জানিতেন। কিন্তু সে পক্ষে [ বেদের অাপ্ততাপক্ষে ] যে সকল হেতুবাদ দেখিতে পাই—সে সমস্ত এক্ষণকার লোকের অশ্রদ্ধাস্কন্দিত জড়-বুদ্ধিতে অকিঞ্চিৎকর বলিয়া প্রতীয়মান হয় সুতরাং সে সকল উদঘাটন করিয়া এক্ষণে লেখনী ক্ষয় করা বৃথা । তবে এই মাত্র বলিলেই পৰ্য্যাপ্ত হয় যে, ঋষিদিগের লেখা দেখিয়া বোধ হয়, ঋষিদিগের ব্লিশ্বাসে ও সিদ্ধান্তে "বেদ অপেীরুষেয়—বেদ অম্মদাদির ন্যায় কোন প্রাকৃতিক মনুষ্যের যাদৃচ্ছিক রচনা বাক্য নহে ।” g * আশ্চৰ্য্য ! অন্মদাদির মনে বেদের অপৌরষেয়ত্ব বিরুদ্ধে যে সকল তর্কের উদয় হয়, ঋষিদিগের মনেও সেই সমস্ত বিতর্কের উদয় হইয়াছিল ; তথাপি তাহারা আমাদের ন্যায় বেদের পৌরুষেরত্ব শঙ্কা