পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cशङिरूछन।] সাজ্যদর্শন । や》 জীবের কতৃত্ব ক্ষণভঙ্গুর ও নশ্বরাদি দোৰাঘাত। বাহ ঈশ্বর ষ্টুতে উৎপন্ন হয়, তাহাই প্রকৃত স্বষ্টি—জীব হইতেgাহা জন্মে, তাহ স্বষ্টি নহে, তাহ নিৰ্ম্মাণ। এই কথা ঈশ্বরের সেবকের ব্যক্ত করেন— কিন্তু ঈশ্বর-নাস্তিক সাংখ্যের মনোভাব অন্যবিধ । সাংখ্য বলেন, ঈশ্বর স্বয়ং অসিদ্ধ সুতরাং তাহার কর্তৃত্বও অসিদ্ধ। প্রকৃতি ভিন্ন অন্য কাহারও কর্তৃত্ব নাই। তবে কি না, কত্ৰীস্বভাবা প্রকৃতির আবেশে জীবভাবাপন্ন পুরুষের কাল্পনিক, কর্তৃত্ব স্বীকার করা যায়। প্রকৃতি-সমালিঙ্গিত পুরুষই সংসারি-জীব নামে ব্যবহৃত হয়। এই সকল জীবের মূলে কর্তৃত্ব শক্তি না থাকিলেও ইহার প্রকৃতির কর্তৃত্বে কৰ্ত্ত হইয়া আছে। এতদ্বিধ কাল্পনিক কর্তৃত্বশালী জীব, আর প্রকৃত কত্রী প্রকৃতি, এই উভয়ের উভয়বিধ কর্তৃত্বে জগদ্যন্ত্র যস্থিত হইতেছে এবং তন্মধ্যে জীব যাহা নিৰ্ম্মাণ করিতেছে, তাহ জৈবিক স্বষ্টি বা জৈবিক নিৰ্ম্মাণ, আর বাহ প্রকৃতি হইতে সমুদ্ভূত হইয়াছে, হইতেছে বা হইবে, সে সমস্ত প্রাকৃতিক স্বষ্টি । * - ঐ জৈবিক-নিৰ্ম্মাণ দুই প্রকার। প্রথমতঃ আস্তর-নিৰ্ম্মাণ, অর্থাৎ [ মনে মনে গঠন ] পশ্চাৎ বাহ্যনিৰ্ম্মাণ। এই আস্তর-নিৰ্ম্মাণের এমনি আশ্চৰ্য্য গতি যে, যে বাহ্যদৃশ্যের নিৰ্ম্মাণ কালে যে কাল, যত দ্রব্য, যত লোকবল অপেক্ষা করে, মেই দৃশ্যটির আস্তরনিৰ্ম্মাণ-কালে তত । কাল, তত দ্রব্য, তত লোক বল, কিছুই লাগে না। জীব, ক্ষণপরিমিত-কালের মধ্যে বিনা দ্রব্যে, বিন সাহায্যে, এমন এক দৃশ্যনিৰ্ম্মাণ করিতে পারে যে, সেই দৃশ্যটির বহির্নির্মাণ-কালে দশ সহস্ৰ শিল্পী, শত সহস্র দ্রব্যসস্তার ও অখণ্ডদণ্ডায়মান একটি দীর্ঘতম কাল (ন) নম্বৰম নিৰত ন নিগমতন