পাতা:সাধনা (তৃতীয় বর্ষ, প্রথম ভাগ).djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বধ করিল এবং বক্ষতলে শিশুসহ বৃদ্ধ শুক ভূমিতলে নিক্ষিপ্ত এই শিশু শুক কালক্রমে বয়ঃপ্রাপ্ত হইয়া, রাজসন্নিধানে আপন পিতার অবস্থা এইরূপ বর্ণনা করিয়াছে — · * “তাতন্তু তং মহান্তমকাণ্ড এব প্রাণহরমপ্রতীকীরমুপপ্লবমুপনতমবলোক্য দ্বিগুণতরোপজাতবেপথুঃ, মরণভয়াহুদ্ৰান্ততরলতারকাং বিষাদশূন্যামশ্রজলঃ তাং দৃশমিতস্ততে দিক্ষু বিক্ষিপন,উছুষ্কতালুরাত্মপ্রতীকার্যক্ষমত্ৰাসম্রস্তসন্ধিশিথিলেন পক্ষপুটেনচ্ছেদ্য মাং তৎকালোচিতপ্রতীকরং মন্যমনঃ, স্নেহপরবশে মন্দ্রক্ষা কুলঃ কিংকৰ্ত্তব্য তবিমূঢ়ঃ ক্রোড়ভাগেন মামবষ্টভ্য তন্থেী। অসাবগি পপ, ক্রমেণ শাখান্তরৈঃ সঞ্চ রমাণঃ কোটরদ্বারমাগত্য, জীর্ণাসিত ভুজঙ্গভোগভীষণং প্রসার্য্য বিবিধবনবরাহবসাবিস্ত্ৰগন্ধিক রতলমনবরতকোদণ্ডগুণাকর্ষণব্ৰণাঙ্কিতপ্র কোষ্ঠমন্তকদণ্ডনুকারিণংবামবাহুমতিনৃশংসোমুহুর্মুহুৰ্দত্তচন্ধুপ্রহরমুংকুজন্তং তম কৃষ্য তাতমপগতীস্মকরোৎ ।” - - - এই দৃষ্ঠে কবির সহানুভূতি কোনখানে তাহ আর ব্যাখ্যা করিয়া বুঝাইবার আবষ্ঠক করে না। বৃদ্ধ শুক তাহার পত্নীবিয়েী গের পর যে কত কষ্ট এবং কত স্বাৰ্থত্যাগ স্বীকারপূর্বক আপন । - * * * * * 1-صب vo দুঃখের পালিত সন্তানটিকে রক্ষা করিবার জন্য যে কি যন্ত্রণা সহ করিয়া মরিল—এই বর্ণনাতেই কবিহুদয় সম্যক্‌ ব্যক্ত হইয়াছে। পক্ষীকুলের অন্তরের মধ্যে তিনি কেমন প্রবেশ করিয়াছেন ! কেমন সহৃদয়তার সহিত সুন্দর রূপে তিনি দেখাইয়াছেন যে, আমাদের সন্তান আমাদের নিকট যেমন প্রাণাধিক প্রিয়, পার্থীর সন্তানও পার্থীর কাছে ঠিক সেইরূপ ! ভিন্নজাতীয় জীবের প্রতি করুণী সঞ্চার করিবার ইহাই একমাত্র উপায়। আমরা কল্পনা অভাবে অষ্ট - - - ** , . پیسہ جتنی ہی۔ہم مہتر শাবকটিকে প্রাণপণে পালন করিয়া আসিয়াছে এবং সেই অনেক জীবের স্থখসুঃখ অনুভব করিতে পারি না, কবি যখন দেখাইয়া দেন, আমাদের জননীর বাৎসল্য। পিতার স্নেহ জীবনের মমত ভাষাইন পাখীর নীড়ের মধ্যেও আছে, তখন সেই “Touch of nature makes the whole world kin.” Exist of towa of সমস্ত অনাথ জীবজন্তুর প্রতি আত্মীয়ভাবে ধাবিত হয়। । কেবলমাত্র কাদম্বরীতে নহে, জীবজগতের প্রতি এইরূপ সহানু ভূতি সংস্কৃত কাব্যে প্রায়ই দেখা যায়। রঘুবংশের নবম সর্গে মৃগয়ার মধ্যস্থলে রাজা দশরথের লক্ষ্য হইতে রক্ষা করিবার জন্য সহচরী । হরিণী প্রিয়তম হরিণকে আড়াল করিয়া দাড়ায়, এবং তদর্শনে । কঠিন রাজহৃদয়েও দাম্পত্যের নিবিড় অনুরাগ ঘনাইয়া আসে ; ৷ শিৰ্থীকুলের বহবৈচিত্র্যে মুগ্ধ হইয়া উদ্যত বাণ তুণীরে ফিরিয়া আসে, এবং এই মৃগয়ামত্ততার মধ্যেও মানবহৃদয়ের -- অন্তস্তল হইতে - সকরুণ স্নেহ ক্ষরিত হইতে থাকে । - শকুন্তলার প্রথম দৃশ্রেও দুষ্মন্তের মৃগাল্লুসরণে কালিদাসের এই গভীর সহানুভূতি প্রকাশ পাইয়াছে। নহিলে, উদ্যতবাণ ছদ্মন্তের : মুখ দিয়া তিনি সেই গ্রীবাভঙ্গাভিরাম সৌন্দৰ্য্য বর্ণনা করাইবেন । কেন ? এরূপ সহৃদয়তার সহিত যে প্রাণভয়ে ধাবমান পশুর সৌন্দৰ্য অনুভব করে, চতুরা মৃগয়া তাহাকে কঠিন করিয়া তুলিতে । পারে নাই –ঋষি রাজাকে শরসন্ধানে প্রতিনিবৃত্ত করিয়া যে । শ্লোক উচ্চারণ করিয়াছেন তাহ যেন পশুবৎসল ভারতবর্ষের । ব্যথিত হৃদয়ের ভাষা । আহ, এই হরিণকের অতিলোল জীবনটি । কতটুকুই বা, আর কোথায় তোমার বজ্রসার শর—পুষ্পরাশির ; মধ্যে কি আগুন ধরাইতে আছে ! কবি বড় করুণার সহিত এই ৷ কথা বলিয়াছেন। ংস্কৃত সাহিত্যে মৃগয়া আছে, কিন্তু সেই সঙ্গে । সঙ্গেই যেন একটা নিবারণের উদ্যত বাহু আছে– মনের সহিত । བ་ནས་མ་ཡོད་ সেই নিষ্ঠুর প্রমোদে কবি যোগ দিতে পারেন নাই। । কালিদাস পশুজগতের প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল। তপোবনে কাম- । ...