পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দি-খ্রাইড অব ল্যামারপুর ඵ්’ স্মরণ করাইয়া দিলাম, গল্পের হরিণের স্তায় তিনি যে উপায়ে এ বিপদ হইতে উত্তীর্ণ হুইয়াছেন, সে উপায়কে যেন অবজ্ঞা না করেন—চিত্রবিষ্ঠা তাহাকে এ বিপদ হইভে মুক্ত করিতে পারে নাই অবশু আমি তাহার নিদর্শন চিত্র এবং তৈলচিত্র সম্বন্ধে তাহার গুণের অজস্র প্রশংসা করিলাম । জনসাধারণ র্তাহার এই গুণের সমাদর করে নাই বলিয়া তিনি যেন এই কলাবিদ্যার চর্চায় অনবৰহিত মা হন । প্রকাগু ক্ষেত্রে তাহার চিত্রবিদ্যার এক দিন সমাদর হইবে ; তিনি খ্যাতি লাভ করিবেন । ডিক্‌ বলিলেন, “বন্ধু তুমি ঠিকই বলেছ । কেন অামি আমার চিত্রবিদ্যা-জনিত নাম পরিহার করব ? শুধু ধনী এবং সম্বাস্তদের জন্য ছবি কেন আঁকিব ? জনসাধারণের জন্যই অঁাকব—তাদের মধ্যে উৎসাহের সঞ্চার করব । যাক, বন্ধু, কঠাৎ আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যাচ্ছে ।" গুহস্বামী যে বিদঃস-ভোজ দিলে , অতঃপর আমরা তাঙ্কাভে যোগ দিলাম : তার পর f কের সহিত অামি পদব্রজে এড়িল এবার দিকে অগ্রস র হইলাম । গ্রাম হইতে এক মাইল দূরে অrমরা পর” রের নিকট বিদাস গ্রহণ করিলাম । এডিনবরায় গিয়া ডিস্কৃএর 'তভ। প্রকাশ পাইল অনেকেই ত{হার চিত্রশিল্পে অভিনবত্বের : করিলেন ; কিন্তু সমালোচনা ভীত নগদ অর্থ তিনি থচ ডিকের অর্থেরই 2 শংস। বিশেষ কিছু পাই:ে বিশেষ প্রয়োজন ছি নি এডিচ বা ত্যাগ করিয়া লণ্ডনে গম করিলেন ; কিন্তু :ে tনেও ক্রেতা সপেক্ষ বিয়ে রই সংখ্যা : ক । ডিকের স্বাভাবিক প্রতিভা যথেষ্ট ছিল ভাবিয়াছিলেন, পরিণামে তিনি নিশ্চয়ই সাফল্য লাভ করিবেন । এজন্য লণ্ডন সহরের ভিড় ঠেলিয়া তিনি পথ করিয়া চলিলেন । তাহাকেও ঠেলিয়া দিয়; অপরে পথ করিয়৷ চলিতে লাগিল । সংগ্রাম করিতে করিতে, অবশেষে তিনি কাহারও কাহারও দৃষ্টিপথে পতিত হইলেন । নানা কৌশলে তিনি সমারসেটগৃহের চিত্র-প্রদর্শনীতে কতকগুলি চিত্র পাঠাইয়া দিতে সমর্থ হইলেন । কিন্তু এমন সাহসিকতার সহিত যুদ্ধ করিয়াও তিনি সংগ্রামে পরাজিত হইলেন । কলাবিস্তায় হয় ত বিশেষ প্রসিদ্ধিলাভ, নয় ত পরাজয়, ইহা ছাড়া মধ্যপথ কিছু নাই। এত চেষ্টা করিয়াও প্রসিদ্ধি লাভ কৱিতে না পারায় তিনি শেষেরটিরই অধিকারী হইলেন । অবশেষে দুঃখে কষ্ট্রে রিচার্ড টিটাে অকালে ইহলোক হইতে প্রস্থান করিলেন । ইহাতে প্রমাণিত হুইল যে, কলাৰিস্কায় মাঝামাঝি স্থান বলিয়া কিছু নাই । টন্‌টোর স্মৃতি আমার কাছে অতি প্রিয় । তাহার সস্থিত আমার যে সকল আলোচনা হইত, তাহার ফলেই আমার এই বৰ্ত্তমান প্রচেষ্টা জাগিয়াছে । আমার রচনা পড়িয়। তিনি আনন্দ লাভ করিতেন এবং প্রায়ই চিত্রসমম্বিত একটি সংস্করণ প্রকাশের কথা বলিতেন । অনেক সময় আমার গ্রন্থের ক্ষনেক চিত্র তিনি পেনসিলে অ কিণ্ঠেন । । এক দিন বন্ধু বলিলেন, “প্রিয় প্যাটিসন, তোমার চিত্রিত চরিত্রগুলি বড় বেশী কথা বলে । অনেক পাতা শুধু কথোপকথনে ভর; " উত্তরে আমি বলিলাম, "প্রাচীন কালের দার্শনিক বলতেন, ‘কথা কও, তা হলে আমি তোমাকে বুঝতে পারব ’ গ্রন্থের চরিত্রগুণি যদি কথা না বলে, তা হ'লে লেখক কি ক’রে পাঠকদের কাছে তাদের বিভিন্ন চরিত্র ফুটিয়ে তুলবেন ?” - টিন্‌টে। বলিলেন, “ওটা বাঞ্জে যুক্তি, পিটার । আমি ও রকম পছন্দ করিনে। শম্ভূ পাত্রকে আমি স্থণা করি । অবশু আমি এটা স্বীকার করি ক্ষে, মামুষের ব্যাপারে কথার প্রয়োজন আছে, কিন্তু তাই ব’লে ললিত কলার কোন অধ্যাপক ভাষায় তার দৃপ্তকে কুটিয়ে ভুলবেন এবং তার সাহায্যে পাঠকবর্গকে সস্তুষ্ট করবেন, এটা ঠিক নয় । বরং আমি বল্ব যে, প্রত্যেক ব্যাপারটা বুঝোবার জন্য তুমি যে পাতা পাত কথাবাৰ্ত্তা দিয়েছ, তার চা ত যদি এ কথায় সবটা তুমি থ’লে দিতে, দু চারট রেখা দিয়ে ছবি আঁকতে, তা হ’লে সবই বলা হ’ত অথচ তিনি বললেন, সে উত্তর করিল, এ সব দিয়ে বয়ের পাতা ভরাতে ॐ ॐ न উত্তর করিলাম তুলিক ও লেখনীতে ভুল ধার করলে চলবে না । চিত্রবিদ্যা হচ্ছে চোখকে তৃ গু দেওয়া িদ্য অভিভূত করতে কারণ, শ্রবণশক্তিকে চিত্রবে না । কিন্তু কবিতা ঠিক তার বিপত্নী সে কাণকে মুগ্ধ করে, চোখের সঙ্গে তার কোন সম্বন্ধ নেই চাখ দিয়ে কাণের কাজ চলে না। " অামার যুক্তির বহয় দেখিয়া ডিক বিন্দুমাত্র ৰিচলিত হইলেন না । তিনি বলিলেন, “চিত্রকরের কাছে তুলিকাম্পর্শে বর্ণসম্পাত যেমন প্রয়োজনীয়, উপন্তাসে । তেমনি বর্ণনার প্রয়োজন । লেখক শকের দ্বারা ৰণসম্পাতের কাজ করেন । ত্রিকর যেমন তুলিকাৰ পর্শে ধর্ণের সাহায্যে অঙ্কিত বিষয়টি দর্শকের কাছে く