পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a Jు র্তার সঙ্গে বোঝাপড়া করবার সময় আমি দেব । * আমার এখানকার কাজ শেষ হ’তে বেশী-সময় লাগবে না । ম্যাডাম, এ লেখা কি আপনার ?” সঙ্গে সঙ্গে কোমল কণ্ঠে মিস অ্যাসটনের শেষ পত্র তিনি লুপীর দিকে বাড়াইয়া দিলেন । কিস্মিত কণ্ঠে উত্তর হইল, “ষ্ঠ্য ।” পরম্পরের চুক্তিপর বাহির করিয়া দিয় যুবক বলিলেন, “এটাও আপনার লেখা ?” লসী নীরব খুন্সিলেন । ভয়ে ৪ অল্পবিধ ভাবের আতিশষে তিনি এমন অভিভুত হইয় পড়িয়াছিলেন যে, প্রশ্নটা যে তাঙ্গাকে করা হইয়াছিল, ইত। যেম তিনি বুঝিতেই পারেন নাই । সার উইলিয়ম্ অ্যাসটন বলিলেন, “ঐ কথাটাকে যদি আপনি আইনসঙ্গত ব’লে মনে ক'রে থাকেন, ত! হ’লে মশাই, কোন উত্তর পাবার প্রত্যাশা করবেন না।” র্যাভেনসউন্ড বলিলেন, “সার উইলিয়ম্ অ্যাসটন, অনুগ্রহ ক'রে আমাকে ভুল বুঝাবেন না। এই যুবতী ভদ্র মহিল| যদি নিজের স্বাধীন ইচ্ছাবশে এই সৰ্বটাকে ফিরিয়ে আনতে চান, ওঁর পত্রের মৰ্ম্ম সেই রকম, তা হলে জীর্ণ পাতার মত আমার কাচে ওর কোন মূল্যই নেই ; কিন্তু আমি ওঁর মুখ থেকেই সে কথা শুনতে চাই । তা না শোনা পর্য্যস্ত এ স্থান আমি ত্যাগ করব না । ভয় ত অনেক লোক মিলে আপনার আমীয় স্থত করতে পারেন ; কিন্তু আমি সশস্ত্র, তা ত দেখছেন । তা ছাড়া আমি মোরিয়া হয়েছি—উপযুক্ত প্রতিশোধ ন নিয়েও আমি মরব না। এই আমার দৃঢ় সংকল্প । অামি ওঁর মুখ থেকেই গুর মনের কি ইচ্ছে, তা জানতে চাই । ওঁর নিজের মুখ থেকে শুনূবেকেউ এখানে থাকবে ন! আমি সার্থী থাকতে কাকেও এখানে দেব না । এখন আপনার বিবেচন। ক'রে দেখুন - বলিঙে বলিতে তিনি তরবারি কোষমুক্ত করিলেন এবং একটা পিস্তল বাম হস্তে তুলিয়া লইয়। তাঁহাতে টোটা ভরিলেন । কি স্থ তরবারি ও পিস্তল মাটীর দিকে নামাষ্টলেন । ভার পর বলিলেন, “এখন বিবেচনা ক’রে দেখুন, ঘরের কোণেতে রক্তের স্রোত বহাবেন, না আমার বাগদত্ত কন্যার সহিত আমাকে নির্জনে এ বিষয়ে আলোচনা করতে দেবেন? দেশের আইন ও ভগবানের অভিপ্রায় দুইয়েরই দাবী মত্ত্বে আমি এ অধিকার পেতে পারি।" র্তাহার কণ্ঠস্বরে সকলেই পিছাইয়। গেল । র্তাহার কথায় এমন দৃঢ়তা ছিল যে, কেহু প্রতিবাদ সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী করিতে সাহস করিলেন না । নীরবতা ভঙ্গ করিয়া সৰ্ব্বপ্রথম ধৰ্ম্মযাজকই কথা কছিলেন । তিনি বলিলেন, “ভগবানের দোহাই, শাস্তিস্থাপনের জন্য নিম্নতম, হানতম ঈশ্বরের দাসের কথাও শোনা উচিত। এই ভদ্রলোক বলপ্রয়োগের কথা বলা সত্ত্বেও আমার মনে হচ্ছে, ওঁর কথায় যুক্তি আছে । লুসী নিজের মুখেই ওঁকে জবাব দিন যে, মায়ের আদেশ পালন করতে তিনি আইনতঃ ও ধৰ্ম্মতঃ বাধা । উনি জামৃতে পারলে নিজেই চলে ষাবেন—শান্তি স্থাপিত হবে । তা হ'লে মাষ্টার র্যাভেন উডের সর্বমত ওঁকে এখানে থাকতে দিন —4ণীর সঙ্গে কথা বলবার সুযোগ দেওয়৷ হোক্ । অবষ্ঠ বাপ-মায়ের কথা মন্ত লুণী অঙ্গীকারে আবদ্ধ ব'লে ষ্ট্রর মনে একটু যাতন হতে পারে । কিন্তু সে ভক্ষণস্থায়া। সুতরাং তাই হোকু ; ওঁর কথামত সকলে এ ঘর থেকে চ'লে যান ।” শঙ্ক ও বিস্ময়ের প্রভাব অতিক্রম করিয়া লেডী অ্যাসটন প্রকৃতিস্ত হুইয়াছিলেন । তিনি সক্রোধে বলিয়া উঠিলেন, “ন, তা হ’তে পারে না । আমার মেষে অন্যের বাগদত্ত পত্নী, তার সঙ্গে এই লোকটিকে আমি একলা কথা বলতে দিতে পারব না। ষার যেতে হয়, সে এখন থেকে চ’লৈ যাকৃ, আমি এখানে থাকবই । আমি ওর রাগ বা অস্ত্রকে ডরাই না।” এই বলিয়। তিনি পুল কর্ণেল অ্যাসটনের দিকে অপাঙ্গে দৃষ্টিপাত করিলেন । তার পর বলিলেন, “যদিও দেখছি, আমার নাম ধারণ ক’রেও কেউকেউ ভয়ে আড়ষ্ট হয়েছেন।" ধৰ্ম্মযাজক বলিলেন,"ম্যাডাম, দোহাই তোমাদের, আপনি আগুনে আর ইন্ধন দেবেন না। মাষ্টার আপনার উপস্থিতিতে বোধ হয় আপত্তি করবেন না। কারণ, এষ্ট যুবতীর স্বাস্থ ভাল নয়, আর মায়ের একটা কৰ্ত্তব্যও আছে । আমিও এখানে থাকুব ; কারণ, আমার পলিষ্ট কেশ দেখে ক্রোধ দূরে সরে शरिर्थ !" র্যাভেন উড পলিলেন, “আপনি থাকৃতে পারেন । লেডী আসর্টন যদি সঙ্গত মনে করেন, তিনিও থাকতে পারেন । কিন্তু আর সকলকে যেতে হবে ।” ঘরের বাহিরে যাইবার সময় কর্ণেল অ্যাসটন বলিলেন, “র্যাভেনসউড, শীঘ্ৰ তোমাকে এর জবাবদিহি করতে হবে ।” র্যাভেনসউড বলিলেন, “তথাস্তু-যখন বলবেন, আমি ৰাজি ।”