পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দি ব্রাইড অব ল্যামারমুর করেন " কথা শেষ হুইবার সঙ্গে সঙ্গে র্যাভেনদউণ্ড কক্ষ হইতে নিষ্ক্রাস্ত হইলেন । সার উইলিয়ম বহু চেষ্টা করিয়া পুত্র ডগলাস ও বাকৃলোকে দুর্গের অন্ত দিকে পাঠাইয়া দিয়াছিলেন । র্যাভেনসউডের সহিত তাঙ্গদের আর যাহাতে দেখা না হয়, ইহাই তাহার উদ্দেশ্য ছিল । কিন্তু সোপানপথে র্যাভেনসউড যথম অবতরণ করিতেছিলেন, তখন লকহার্ড সোলটে ডগলাস অ্যাস্টন স্বাক্ষরিত একখানি পত্র দিলেন । তাঙ্গাতে লেখা ছিল, আজ হইতে চারি পাচ দিন পরে কোথায় তাহার সহিত সালটো অ্যাস্টনের সাক্ষাৎ হইবে। পরিবারিক প্রয়োজনীয় ব্যাপার শেষ হইবার পরই তিনি র্যাভেলসউডের সহিত বুঝাপড়া করিয়া লইতে চাংেন । শান্তভাবে প্ল্যাভেনস উড বলিলেন, “কৰ্ণেল অ্যাসটনকে ব’লে দিও, যখন তার অবকাশ হবে, আমাকে উলফ সক্রাগে পাবেন ।” সেখান হইতে মামিয়? অার একটা সোপানপথে যখন তিনি নীচে নামিতেছিলেন, সেই সময় ক্রেগেন্‌গেলুড় তাহার সম্মুখে আসিয় দাড়াইলেন । তিনি বাঞ্চলের করুফ হইতে মাষ্টারকে জানাইলেন যে, মাষ্টার দশ দিনের মধ্যে যেন স্কটল্যাণ্ড ত্যাগ না করেন । কারণ, বাকলো তাহার প্রতি কুতজ্ঞতা প্রকাশের অভিলাষ করেন । ক্রোধভরে মাষ্টার বলিলেন, "তোমার মণিবকে বলে যে, সময় যেন নিদ্দেশ করেন। আষয়ক তিনি উলফস ক্রাগেই পাবেন ।” =ہوا নিন্মতলে কর্ণেল ও বাপ-লোকে দেখিয়া সাহসভরে ক্রেগেন্‌গেল্ট বলিয়া উঠিলেন, “আমার মলিব ? এ জগতে এ রকম কেউ নেই যে, আমার মনিব হতে পারে । আপনাকে এ রকম কথা বলবার অধিকার অামি দেব না ।”

  • তবে তোমার মনিবের সন্ধানে মরকে যাও।" বলিয়া উষ্ঠত ক্রোধাভরে তিনি তাঙ্গকে এমন জোরে ধাক্কা দিলেন যে, বেচার গড়াইতে গড়াইতে নীচের ধাপে পড়িম্ব চৈতন্য হারাইলেন । সঙ্গে সঙ্গে মাষ্ট্রার বলিয়া উঠিলেন, “কি নিৰ্ব্বোপ আমি ! এমন একট। অপদার্থের উপর আমার ক্রোধ প্রকাশ ঠিক श्झ नेि ।"

প্রাঙ্গণে আসিয়া তিনি নিজের ঘোড়ার পিঠে চাপিয়া বসিলেন । অতি ধীর মম্বরগতিতে তিনি বাক্লো ও কর্ণেল অ্যাসটনের পাশ দিয়া চলিয়া গেলেন। যাইবার সময় উভয়ের জন্যই তিনি মাথার টুপি খুলিয়া অভিৰাদন জানাইভে ভুলিলেন না । 2 * * র্তাহারাও ভেমনই কঠোর ভঙ্গীতে প্রত্যভিবাদন করিলেন । শেষ তোরণ হইকে বাহির হইয়া শুিনি ঘোড়ার মুখ ফিরাষ্টয়া দুর্গের দিকে চাহিলেন । তিনি যে উভয়কে এড়াইয়। যাইতেছেন না, বরং র্তাহাদের সহিত সংগ্রামে ইচ্ছুক, ইহা তাহার ব্যবহারে প্রকাশ পাইল । অবশেষে যখন তিনি দেখিলেন, কেহই আসিতেছেন না, তখন তিনি অশ্বপুষ্ঠে কশাধ1৩ করিয়া পলায়মান দৈত্যের ন্যায় ঝড়ের বেগে ঢলিয় গেলেন । চতুঞ্জিৎশ পরিচ্ছেদ Who comes from the bridal chamber 7 It is Azrael, the angel of doath. Thalaba, দুর্গে পূৰ্ব্বাধ্যায়-বর্ণিত ঘটনার পর, লুসীকে তাছার শয়নকক্ষে পাঠাষ্টয় দেওয়া শুইল । সেখানে তিনি কিছুক্ষণ মূৰ্ছিতের ন্তাষ পড়িয়া রছিলেন । পরবর্তী দিবসে তিনি ষেণ সাত্মচেতনা লাভ করিলেন। তিনি যেন পূৰ্ব্বাবস্ত ফিরিয়া পাতেন । তবে কখনও কখনও তিনি মীপূব হইয়! থাকিতেন । কখনও বা গভীর বিষাদে অভিভূত হইলেন, আবার । কোন ও সময়ে বা অতিমাত্রায় চঞ্চল হইয়া উঠিতেন । এরূপ ব্যবহার কিন্তু তাংরি প্রকৃতিবিরুদ্ধ। লেজী অ্যাস্টন কণ্ঠার এরূপ অবস্থা দেখিয় শঙ্কিত হক্টলেন-গৃহচিকিৎসব গণকে ডাক হুইল । নাড়ীর গতি দেখিয়: চিকিৎসকগণ শরীরের কোন ও পরিবর্তন বুঝিতে পারলেন না । মানসিক অসুস্থত বশতঃ এইরূপ হইতেছে বলিয়া তাহার লুসীকে প্রফুল্প রঃখিবার জন্য এবং কোমল ব্যবহার দেখাইবার জন্য উপদেশ দিলেন । মিস অ্যাসটন কাহারও কাছে সে দিনের ধটনার কথা উল্লেখ করেন নাই । সম্ভবতঃ সে দিনের ঘটনার সম্বন্ধে তাতার কোন ধারণাই ছিল না, এমন অসুমিত হুইল । কারণ, প্রায়ই তিনি গলদেশে হাত দিয়া ফিতা খুঞ্জিতেন । উঃ দেখিতে লা পাইয়া অসন্তোষভরে তিনি বলিভেন, “আমার জীবনট! যে তাতে বাধা ছিল ।” এইরূপ বিশিষ্ট লক্ষণ সত্ত্বেও লেডী অ্যাসটন কন্যার অসুস্থ অবস্থাতেই তাই1র • বিবাহ-ব্যাপার সম্পন্ন করিবার জন্য বাম হইয়। উঠিলেন । কারণ, ধাকৃলোর মনে কে1ন ও সন্দেহ ষlহাতে ন! জন্মিতে