পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8צל পঞ্চত্রিংশ পরিচ্ছেদ Whose mind's so marbled, and his heart so hard, That would not, when this huge mishap was heard, To th’ utmost noto of sorrow - set their song, To seo a gallant, with so groiit a grace, So suddenly unthought on, so o'er thrown, And so to perish, in so poor a place, By to rash riding in a ground unknown Poem, in Nisl et'* Hernldry. Vo] II. ৰাক্লোর আরোগ্য লাভ করিতে সময় লাগিয়াছিল, কিন্তু তাই বলিয়। লুসীর অস্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কার্য বন্ধ ছিল না । একদা কুহেলিসমাচ্ছন্ন হেমস্তের প্রভাতে অতি সামান্তভাবে লুসীর দেহ সমাঙ্গিত করিবার জষ্ঠ সমাধিক্ষেত্রে নীন্ত হইয়াছিল । অল্প কয়েক জন নিকটাত্মীয় ব্যতীত আর কেহু শবাধারের সহিত আগমন করেন নাই। যে গির্জায় তাহার পরিণয়-ক্রিয়৷ নিম্পন্ন হইয়াছিল, সেখানেই তাহাকে সমাহিত করিবার জন্ত আনয়ন করা হইয়াছিল । এই সমাধিক্ষেত্রে কোন গুরূপ আড়ম্বর না করিয়! . অপূৰ্ব্ব সুন্দরী লুসীর দেহ সমাহিত হুইল—সমাধি-সৌধের গাত্রে কোনও লিপি উৎকীর্ণ হইল না । অত্যাচারে উৎপীড়িত হইয়া অকালে এই হনরী কিশোর ইহজগৎ ੇ বিদায় লইয়াছিলেন । যখন সকলে শোক প্রকাশ করিভেছিল, তখন সেই তিনটি গ্রাম্য বুদ্ধ সেই প্রত্যুষেও অস্তেষ্টক্রিয়া দেখিতে সমাগত হইয়} ष्ट्रिल । ডেস্ গোলে বলিল, “কেমন, আমি বলেছিলুম না, বিয়ের উৎসবের পরেই গোর দেবার বাবস্থা ?” বৃদ্ধ উইনী বলিল, “আরে, ওতে আর বড়াই কিসের ? এতদূর এসে প্রায় খালি হাতেই ফিরে যেতে হবে । আমরা পেলাম কি ?” বুড়ী গোলে বলিল, “তুই থাম্। ওরা যতই দান করুক না কেন, প্রতিশোধ ত পেয়েছে । সেটাই মোট লাভ । দেখছ না, ৪র কেমন মন-মরা হয়ে জছে। মিস লুণী অ্যাস্টন অামাকে দেখে নাক সিটকাতো । এখন কেমন ! লেডী অ্যাসটনের বুকে এখন নরকের আগুন জল্‌ছে। সার উইলিয়ম এখন টের পাচ্ছেন, ডাইনীর মায়া কি ब्लकन * সার ওয়ান্টার স্কটের গ্রন্থাবলী পক্ষাঘাতগ্রস্তা বৃদ্ধ বলিল, “এ কথা কি সত্যি যে, কনেকে ভূতগুলো চিমুনির ভেতর টেনে নিয়ে গিয়েছিল ? অার বরের ঘড়ি মুচড়ে দিয়েছিল?” “আরে, কি হয়েছিল, কে করেছিল, তা জেনে দরকার কি ?” অ্যানী উইনী বলিল, “দিদি, তুমি ত সবই জান । আচ্ছ, বল দেখি বুড়ে সার ম্যালিস্ র্যাভেনসউডের ছবি হলঘরের মেঝেতে নেমে এসে ওদের সকলের সাম্নে দিয়ে চ’লে গিয়েছিল, এ কথা কি ঠিক ?” “না, তা নয় । তবে বর ছবি টানান হয়েছিল—কি ক'রে ও ছবিখানা হলঘরে এসেছিল, তা আমি জানি । ওদের সাৰধান ক’রে দেবার জন্ত ছবিখান টানান হয়েছিল—অত দৰ্প ভাল নয়, সে কথাটা জানাবার জন্তই হয়েছিল। কিন্তু ও কথা থাক্, ওদের দিকে ভাল ক’রে চেয়ে দেখ, ” “দেখে কি হবে, দিদি ?” “দেখ না, ওরা বারে! জন এসেছিল । এখন দেখছি তের জন । পুরু; কিন্তু তা জানে না । কিন্তু ১৩ জন যেখানে থাকে, তার মধ্যে এক জনকে শীঘ্রই মরতে হবে । যাকু,"শ্লষ্ট, এখন স’রে পড়৷ যাক। ওরা আমাদের দেখতে পেলে এখুনি ধরে হয় ত চালান দেবে ।” তিনটি বৃদ্ধ সেখান হইতে সরিয়া পড়িল । প্রকৃত প্রস্তাবে শববাহিগণ অবশেষে আবিষ্কার করিলেন যে, এক জন লোক দলে বেশী হইয়াছে। একটি স্তম্ভের উপর ভৰ দিয়া কৃষ্ণপরিচ্ছদপারী এক ব্যক্তি নীরবে দাড়াইয়াছিলেন । তাহার তখন বাহ-চেতম ছিল না । সকলে তখন কানাকানি করিতে লাগিলেন, নৱাগত লোকটি কে ? তাহার মুখ দেখা যাইতেছিল না । বাধা দিয়া কর্ণেল অ্যাসটন বলিলেন, “ডান কে, তা আমি জানি । ওঁর সম্বন্ধে য! কিছু করবার, তা আমি করব । আপনাদের ব্যস্ত হ'তে হবে না । আপনারা এখানকার কাজ শেষ ক'রে চলুন।" অতঃপর তিনি অপরিচিত ব্যক্তির অঙ্গাবরণে হাত দিয়া টানিয়া বলিলেন, “আমার সঙ্গে আসুন " কণ্ঠস্বরে চকিত হইয়া অপরিচিত ব্যক্তি মন্ত্রচালিতবৎ কর্ণেলের অনুবাওঁী হইলেন । উভয়ে সমাধিক্ষেত্রের নির্জনতম অংশে পোছিবার পর, কর্ণেল অ্যাসটন প্রশান্তভাবে কঠোর ভাষায় বলিলেন, “আমি জানি, মাষ্টার র্যাভেনসউড়ের লঙ্গে আমি কথা বলুছি।” কোনও উত্তর অপর ব্যক্তির নিকট হইতে আসিল না। তখন উন্থত ক্রোধভরে কর্ণেল