পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

4 निष्छ७ अक् भन्द्वैङ আটকালেন । অনেক কষ্ট্রে মূৰ্ত্তির দেখা মিলুলো । তিনিই গৃহিণী ৰটেন, কিন্তু সম্পূর্ণ উন্মাদ-রোগগ্ৰস্ত । এগুলিন বনের মধ্যে তিনি কি খেয়ে বেঁচেছিলেন, জানা গেল না। তবে অনেকে মনে করলেন বনের ফল-মূল খেয়ে কোনমতে জীবনধারণ করেছিলেন । তিনি ফিরে এলেন কেন, তা সহজে নিৰ্দ্ধারিত হল । আগে নিজেই গোদোহনের কাজ তিনি ভালবাসতেন। বনের ভেতর থেকে গরু দোহার কাজ হচ্ছে দেখে সংস্কারের প্রভাবে তাই দেখতে এসেছিলেন । যথাসময়ে মহিলাটি একটি সন্তান প্রসব করলেন । ছেলেটি অসাধারণ হৃষ্টপুষ্ট এবং তার দেহ ও মনে কোন ব্যাধির চিহ্ন দেখা গেল না । স্থতিকাগারে থাকবার সময় মহিলাটির আগের জ্ঞান আবার ফিরে এল । কিন্তু স্বাস্থ্য বা মনের পূৰ্ব্বভাব অার এলে না । আলানই তার একমাত্র আনন্দের উৎস ছিল । এই ছেলের প্রতি তার অসাধারণ অাকর্ষণ ছিল । তারই প্রভাবে অালানের শিশু মনে কুসংস্কার স্থান পেয়েছিল । ছেলের যখন ১৫ বছর বয়স, সেই সময় মহিলাটি মার। ষান ! অস্তিম কালে তিনি গোপনে আলানকে কতকগুলি কথা ব’লে মান } সম্ভবতঃ ভ্ৰাতৃহত্যার প্রতিশোধের কথাই তিনি ক’লে গিয়েছিলেন । “মার মৃত্যুর পর হতেই আলান সম্পূর্ণ বদলে গেল ; এত দিন সে সব সময় তার মার সঙ্গে সঙ্গেই ফিরত । বয়সের অনুপাতে সে খেলাধূলা কারও সঙ্গে করত না । সে মার কথা শুনৃত, নিজেও কল্পনালোকে বিচরণ করত । তার মাথাও ঠিক ছিল না। যা তা বকৃত । সে ভারী ভীতু ছিল । লোক দেখলে ভয় পেত, কারও সঙ্গে মিশত না । সমান বয়সের ছেলেমেয়েদের দেখলে ভয়ে স’রে বেত । আমার বেশ মনে আছে—আমার বয়স ওর চেয়ে কিছু কম—আমি বাবার সঙ্গে এখানে এসেছিলুম । আমি ওকে কত রকম চেষ্টা ক'রে মিশবার প্রয়াস পেয়েছিলুম। কিন্তু ও কিছুতেই আমার সঙ্গে মিশত না । আমার মনে আছে, ওর বাৰ! আমার কাছে কত দুঃখ করেছিলেন । স্ত্রীর কাছ থেকে ওকে সরিয়ে আনলে, তিনি ব্যথ। পাবেন ব’লে কৰ্ত্তা আর সে কাজটা করেননি । কিন্তু মার মৃত্যুর পর হঠাৎ আলান একদম বদলে গেণ । অবশু ও চিরকালই গম্ভীর-প্রকৃতির এবং স্বল্পভাষী । মাঝে মাঝে ফিটের মতও হ’ত ; কিন্তু দেখা গেল, সব রকম ব্যায়ামে ও মেতে উঠেছে । ওর শরীরে অসাধারণ শক্তি ছিল । ওস্ত্র দাদা বা বড় বড় ছেলেরা কেউ কিন্তু ওর সঙ্গে ব্যায়ামে পেরে উঠত أسا లిలి ন। ও সকলকে ছাড়িয়ে উঠল। তার পর থেকে যারা ওকে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করত, তারাও ভয় পেয়ে গেল । সকল রকম অস্ত্র-চালনায় ওর সমকক্ষ এ অঞ্চলে কেহ ছিল না । খেলার সময়েও ভুলে যেত যে, আপোষে বল-পরীক্ষা হচ্ছে । কিন্তু আমি বৃথা বকে চলেছি। ঐ দেখ ক্যাপ্টেন ঘুমিয়ে পড়েছে।” সত্যই ডেলগেটির তথন নাস-গর্জন অরম্ভ হইয়াছিল । এণ্ডারসন বলিল, “ও লোকটার কথা ছেড়ে দিন । আপনার কোন কথাই ও শোনেনি । গল্পট এত ভাল লাগছে যে, ন! শুনলে স্থির থাকতে পারব না । লিবালন্ড ও আমাকে আপনি গল্পটা শোনান * লর্ড মেনটথ বলিয়া চলিলেন, “পনর বছর বয়স পর্য্যস্ত আলানের বল ও কার্য্যতৎপরতা বেড়ে ষেতে লাগল ! এই সময় থেকে ওর সাহস ও স্বাধীনপ্রবৃত্তি সম্যক্ পুষ্ট হয়ে উঠল । ও এত অধীর হয়ে পড়ত যে, ওর বাবা ভয় পেয়ে গেলেন । বনের ভেতর শিকার করবার অজুহতে দিনের পর দিন রাত্রির পর রাত্রি ৪ অমুপস্থিত থাকত। যখন ফিরে আস্ত, কোন শিকারই সঙ্গে দেখতে পাওয়া যেত না । এই সময় ডাকাতরা আবার বনে ফিরে এসেছিল । রাজ্যে তখন ভারী গোলমাল । সে স্বযোগে আবার তার বনে এসে রাজত্ব করতে লাগল। এতে আলানের বাবা পুত্রের জন্ম ভারী চিস্তিত হয়ে পড়লেন । এখন এমন অবস্থা যে, ডাকাতদের আক্রমণ করাও নিরাপদ ছিল না । পাছে সেই হিংস্র ডাকাতরা তার ছেলের কোন অনিষ্ট করে, এই ভয়ে দিন-রাত তিনি চিস্তিত, থাকৃতেন ! “এই সময়ে আমি দুর্গে বেড়াতে এসেছিলাম । শুনলাম, ভোর হতেই অ্যলান বনে গেছে । আমিও ভার সন্ধানে গেলাম । কিন্তু কোথাও তাকে খুজে পেলাম না । সে রাত্রিটাতে ঝড়-বৃষ্টি আরম্ভ হ’ল । আলান সারা রাত্রির মধ্যে ফিল্পে এল না । তার বাবা দুশ্চিন্তায় অবসন্ন হয়ে পড়লেন । ভোর হ'লেই একদল সেনাকে তিনি তার সন্ধানে পাঠাবেন ঠিক করলেন । রাত্রিতে আমরা আহারে বসেছি, এমন সময় ঘরের দরজা জোরে খুলে গেল । অালান দৃঢ়-গব্বিত-চরণে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করল । তার অবস্থা দেখে, তার বাবা তাকে কড়া কথা বলতে পারলেন না। শুধু বললেন যে, আমি একটা হৃষ্টপুষ্ট হরিণ মেরে এনেছি, আর জাগান শুধু হাতে