পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এ লিজেণ্ড অব মনট্রোজ, r,চিছ না । আমি হ’লে এ সব কথা প্রকাশই করতাম মা ; বরং এখানে এষ্ট অন্ধকারে প্রাণত্যাগ করতাম।” দম্যদলপতি বলিল, “গুমন, মশাই, আরো কথা আছে । সার ডনকানের চারটি ছেলে মেয়ে ছিল । আমাদের হাতে তিন জন প্রাণ হারায় । কিন্তু শেষেরটি এখনো বেঁচে আছে। সার ডল্‌কান তাকে ফিরে পাবার জন্য সৰ্ব্বস্ব দিতে পারেন । আমার মুখর একটা কথা শুনলে তিনি নিজেকে ধন্যবাদ দেবেন—অার উপোস করতে হবে না। আমার নিজের মন দিয়েই ভা বুঝতে পারছি । আমার ছোট নাতি কেনেথ আমার কত প্রিয়,ত! জানি । সে নদীর ধারে প্রজাপতির পেছনে পেছনে ছুটে বেড়ায় । আমার দশ দশট ছেলে গেছে, তাদের জন্য আমার ৩ত দুঃখ হয় ন৷ ” ৬েলগেটি বলিল, “Lরণার্ল্ড, বাজারে তিনটি সুন্দর ছোকরার মৃতদেহ সিাকাষ্ঠে ঝুলছে দেখে এসেছি । sাদের সঙ্গে তোমার কোন সম্পক আছে {{ কি ?” একটু থামিয়া উত্তেজিতভাবে রণার্ল্ড বলিল, “ও তিনটিই আমার ছেলে । ওরা আমার বুকের হাড়, হৃদয়ের রওঁ ! ওদের হঠাৎ কেড় ধরতে পারেনি । প্রাণপণে তার। লড়াই করেছিল । শেষে অনেক লোক তাদের ঘিরে ফেলে । তার গেছে— আমার ডালপালা সব গছে । শুধু আমি আছি। এর পরেও কেন আমি বঁচিতে চাই, শুনবেন ? কেনেথ —আমার ছোট নাভি ষাতে প্রতিশোধ নিতে পারে, তার শিক্ষ। তাকে দিতে হবে । শুধু তার জষ্ঠে আমি নিজের জীবন রক্ষা করতে চাহ । তাই সার ডনৃকান্‌কে আমি গোপন কথা বলব, তাতে তিনি আমার জীবন রক্ষা করতে বাধ্য ইবেন ?” সহস। তৃতীয় ব্যক্তির কণ্ঠস্বর শোন। গেল । সেই কণ্ঠ হইতে উচ্চারিত হইল, “তোমার উদেপ্ত সহজেই সিদ্ধ হ'তে পারে । আমার কাছে সে কথা বল ।” হাইল্যাণ্ডাররা সকলেই কুসংস্কারান্ধ । রেণাল্ড লাফাইয়া উঠিয়া বলিল, “মানুষের চিরশত্রু এখানে উপস্থিত ” তাহার চরণের শৃঙ্খল ঝন্‌ঝৰ্‌ করিয়া উঠিল । সে যতদুর সম্ভব পিছাইয়া গিয়া দেওয়ালে ঠেঙ্গ দিয়া দাড়াইল, ডেলগেটিও তাহার মত ভয়ে নান কথা উচ্চারণ করিতে লাগিল । এমন সময় পূৰ্ব্বোক্ত কণ্ঠে উচ্চারিত হইল, “আমি হঠাৎ তোমাদের মধ্যে এসে পড়েছি ব’লে তোমরা ভয় পেয়েছ ; কিন্তু,আমি সত্য বলছি, আমি তোমাদের মতই রক্তমাংসে গড়া মানুষ । আমার আগমনে እ¢ግ তোমাদের বরং কথা শোন ।” বলিতে বলিতে একটি আঁধারে লন্ঠনের ঢাকা সে খুলিয়া ফেলিল স্বল্পালোকে ডেলগেটি লোকটার অবয়ব দেখিতে পাইল । সে দীর্ঘাকার এবং মাকু ইসের ভূতাদিগের অনুরূপ পরিচ্ছদে আবৃতাঙ্গ । ডেলগেট বিশেষ করিয়া লক্ষ্য করিয়! দেখিল, এই আগন্তুকের চরণ উপকথায় বর্ণিত শয়তানের চরণের অনুরূপ নষ্ঠে । তখন সে প্রশ্ন করিল, আগন্তুক কেমন করিয়| এখানে আসিল ? সে বলিল, “দরজা খুলে তুমি আসনি, গু হ'লে ক্যাচর্কোচ শব্দ শুনতে পেতাম। যদি চাবির ছিদ্রপথে এসে থাক, তাও সম্ভব নয় । কারণ, তা হ’তে পারে না ! যাই হোক, তোমাকে জ্যাস্ত মানুষের মধ্যে ধর। স্tয় ন! * আগন্তুক বলিল, “কি ক’প্লে আমি এসেছি, তা বলুর ন। অন্ততঃ .sামাদের গোপন কথ। না জানা পর্ষপ্ত শু; বল্ব না । সব কথা শুনে, হয় । আমি তোমাদের মুক্তি দিতে পারি—যে পথে আমি এসেছি, সেই পথ দিয়ে তোমাদের ছেড়ে দিতে পারি ” ক্যাপ্টেন ডোগেটি বলিল, "চাবির ছিদ্রপথে ত আর নয় ? মাক, আমার নিজের কোন গোপন কথা নেক্ট । তোমার কি জ:ন! দরকার, তাই আগে ত বল, হু! হ'লে বুঝতে পারব, তুমি কি জানতে চাচ্ছ ।" আগন্তুক বলিল, “তোমার সঙ্গে আমার প্রথম কাজ নয় ।” রেণাল্ড তখন প্রাচীর দোষয় দাড়াইয়াছিল । তাহার মনের সনেষ্ঠ তখন ও ষায় নাই । লোকটা জীয়ুস্ত না প্রেতলোকের অধিবাসা, সে সম্বন্ধে সে তখনও সিদ্ধাপ্ত করিতে পারে নাই ! স্নিগ্ধকণ্ঠে আগন্তুক আবার বলিল, “বন্ধুগণ, তোমাদের জন্য কিছু জিনিষ এনেছি । কাল যদি মবঙেই হয়, তা ব’লে ত আজ বেঁচে থাকতে দোষ নেই ।” ক্যাপ্টেন ডেলগেটি সঙ্গে সঙ্গেই উত্তর দিল, “মোটেই ন৷ ” সে দেখিল, আগন্তক একটা পুলিনা খুলিতে লাগিল ; রেণাল্ড কিন্তু সে দিকে দৃষ্টিপাতও করিল সুবিধাই হবে, যদি তোমরা সে হইতে খাবার তুলিয়া লইয়৷ চৰ্ব্বণ করিঙে করিতে ডেলগেটি বলিল, “তোমার নাম কি, বন্ধু ?”