পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$98 ক্যাপ্টেন বলিল, “না, আপনাকে ব্যস্ত হ'তে হ’বে ন। তবে দয়া ক’রে তোরণে পৌছবার সোজা পথটা যদি দেখিয়ে দেন ত ভাল হয় । আর আমার গষ্টেভস নামে ঘোড়াটা যদি কোন চাকরকে দিয়ে ফটকের কাছে মানিয়ে দেন ত খুব ভাল হয় ; কোথায় ঘোড়ার অস্তিাবল আমি জানিনে, আর আমার এই গাইড, ও আমার ভাষা মোটেই বোঝে ন ও ইংরেজি জানে ন| কি না ।"

  • আচ্ছ, আমি সে ব্যবস্থা করছি । পথে যান ।”

ডেলগেটি আপন মনে বলিল, “ষাকৃ, বাচ। গেল । ভেবেছিলাম, গষ্টেভসকে ফেলে রেখেই আমাকে পালাতে হয় ।” ধৰ্ম্মযাজক তৎপরতার সস্থিত তী{ঙ্কার প্রতিশ্রতি রক্ষা করিলেন । তোরণের প্রহরীদিগকে ছাড়পত্র দেখাইয়া, সঙ্কেতকথা উচ্চারণ করিষ্ণু! ডেলগেটি রেণ।ডেস কুর্গের বাহিরে আসিল । প্রকাশুভাবে ডেলগেটিকে বন্দী করা হইয়াছিল, এখন সে মাকু ইসের ছাড়পত্র দেখাইয়া ঢলিয়া যাইতেছে দেখিয়া, কাহার ও মনে সন্দেহ জাগিল না। কারণ, মাকু ইসের এরূপ ব্যবহারের কথা সকলেরই বিদিত ছিল । সকলেই ভাবিল, কোন গুপ্ত উদ্বেশু-সিদ্ধির জঙ্গ মাকুইস এরূপ ব্যবস্থা করিয়াছেন । সুতরাং পথে কোথাও ডেলগেটি বাধা পাইল না । সহরের ভিতর দিয়া ডেলগেটি ধীরে ধীরে অশ্বচালনা করিল । রেণালন্ড তাহার পাশে পাশে চলিল । যেখানে ফাগীমঞ্চে মৃতদেহগুলি ঝুলিতেছিল, সেখানে আসিয়া দসু্যদলপতি একবার বিষঃ-দৃষ্টিতে চাহিল । সেখানে যে কয়জন নারী ছিল, তাহাদের একজনের কাণে কাণে কি একটা কথা বলিতেই সে টমকিয়া উঠিল । সে তাহার কণ্ঠস্বর গুনিয়া তাহাকে বোধ হয় চিনিতে পারিয়াছিল । সেও ইঙ্গিতে দসু্যদল পতিকে কি যেন বলিল । সহর হইতে বাহির হইবার সময় ডেলগেটি ভাবিতেছিল, সে কোন নৌকা ভাড়া করিয়া হ্রদ পার হইবে, কিম্বা অরণ্যে প্রবেশ করিয়া আত্মগোপন করিবে । কারণ, সে জানিত, আর কিছুকাল পরেই যখন তাহার পলায়নবাৰ্ত্তা প্রকাশ পাছবে, তখন তাহাকে বন্দী করিবার জন্য মাকু ইসের বাহিনী চারিদিকে ধাবিত হইবে । যদি সে নৌকার আশ্রয় লয়, তা হইলে মাকুইসের দ্রুতগামী লীকা অনতিবিলম্বে ভtহার নৌকাকে ধরিয়া ফেলিবে, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই ; যদি সে অরণ্যে আশ্রয় লয়, আপনি এই পার ওয়াণ্টার স্বটের গ্রন্থাবলী তবে অজ্ঞাত অরণ্যে সে আত্মরক্ষা করিবেই বা কি প্রকারে ? পথ সে চিনে না। এতক্ষণ অপেক্ষাকৃত সঙ্গজ ভাবেই সে পলায়ন করিতে পারিয়াছে, কিং ঈষ্ঠার পরের অবস্থাই অত্যন্ত বিয়বহুল । সে জানিত, এবার ধরা পড়িবামাত্র তাহার প্রাণ যাইবে সে কৰ্ত্তব্য-নির্ণয়ে অসমর্থ হইয়। ভাবিতে ভাবিsে রেণাল্ডের দিকে চাহিল । দস্থ্যপতি জিজ্ঞাসা করি, "এখন কোন পথে যাবেন ?” ৬েলগেটি বলিল, “আমিও তোমাকে সেই প্রশ্নঃ জিজ্ঞাসা করছি। আমি কি করব, বুঝতে পারছি না । এর চেয়ে কারাগারে পোড়া রুট থেয়ে থাকাও ভাল ছিল । সার ডনকান এলে যা হয় একটা ব্যবস্থ: হত । নিজের মান রাখৰ!র জন্য তিনি মুক্তি দিতেন ।” রেণাল্ড বলিল, “দেখুন, কারাগারের বদ্ধ বায়ুঃ বদলে এই মুক্ত বায়ু সেবন করবার সুযোগ পেয়েছেন। এ জন্ত অমুতাপ করবেন ন! । তা ছাড়া আমাকে মুক্তি দিয়েছেন ব’লে অমুগুপেরও প্রয়োজন নেই । আমি ষ বলি, তাই করুন । আমি পথ দেখিয়ে আপনাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাব—শুধু আমার উপর নির্ভর করুন * “ত কি পারবে, ভাই ? পাঠাড়ের ভেতর দিয়ে নিৰ্ব্বিপ্নে মনট্রোজের কাছে আমায় নিয়ে যেত্নে পারবে ?” রেণাল্ড বলিল, “পারব ! অন্ধকারের সপ্তান স্বার, তারা পাহাড়-পৰ্ব্ব গু, বন-জঙ্গলের পথ যেমন চেনে, এমন আর কর্ড চেনে না । আগাইলের সমস্ত কুকুরের ও সাধা নেই আমাদের ধরে—এত তাড়তাড়ি আমি আপনাকে নিয়ে বাব i* "সত্য বলছ, ভাই ? তবে তাই কর । আমি তোমার হাতে আমাকে সাপে দিলাম * তখন দস্যেদলপতি অরণ্য-পথে চলিল । সে এত দ্রুত চলিতে লাগিল যে, অশ্বপুষ্ঠে ডেলগেটিকেও অতি কষ্টে তাইfর অমুসরণ করিতে হইল । সে এখান দিয়া ওখান দিয়া এমন মাক-বাক পথে চলিল ষে, ডেলগেটি বুঝিল না, কোথায় সে চলিয়াছে। ক্রমশঃ পথ সঙ্কীণতর হইল—ঝোপঝাড় গতিরোধ করিতে লাগিল । অশ্বপূণ্ঠে সে পথে চলা দুঃসাধ্য। এইরূপে ৩াহারা একটা ঝরণার কাছে আসিয়া পৌছিল । এই পথে অশ্ব লইয়া চলিবার উপায় নাই ! ৬েলগেটি বলিল, “এখন উপায় ! গষ্টেভসকে ফেলে রেখে যেতে হবে দেখছি।”