পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দি এ্যাণ্টিকোয়ারি বা প্রত্নতাত্ত্বিক সকলেরই দৃষ্টি ভ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। কেউ এটা বুঝে দেখেন নি। যত দিন এ জমিটী দখল করতে পারিনি, আমি এ কথা বলতে চাইনি। জমিটা জনি হাউইর ছিল। জমির দর-দাম নিয়ে তার সঙ্গে আমার অনেক আলোচনা হয়েছিল । তার পর এই জমির বিনিময়ে আমি অনেক ফসলভরা জমি তাকে দিয়েছি । এই বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থানটির মালিক হয়ে আমার লাভ বেশীই হয়েছে । কারণ, এটা জাতীয় সম্পত্তি । আমি তার পর এখানে খনন-কাৰ্য আরস্তু ক'রে দেই। তৃতীয় দিন আমি মাটীব নীচে থেকে একখানা পাথর আবিষ্কার করি। সেটা মস্কারনস্ এ রেখে দিয়েছি । পাথরটার ওপর এ, ডি, এল এলু, উৎকীর্ণ। সেটার অর্থ “এগ্রিকেল ডিকভিট লিবেনস্ লুরেন " “নিশ্চয়, নিশ্চয় । কারণ, ডচ, প্রত্নতাত্বিকরা বলেন । এগ্নিকোল। আলোক-স্তস্ত প্রথম স্থাপন করেন । “খুব সত্য কথা ! বুড়ে গুয়ে চশম ধরবার আগে আপনাকে আমরা তৈরী ক'রে নিতে পারব, যদি ৪ আপনি শিলর সংস্থাপনের জায়গাটি অস্পষ্ট দেখতে বলেছেন " - “সময়ে সব গুৰে । ট্রাল শিক্ষা পেলে—“ “না, ন, আপনি পরে এক জন পাক প্রত্নতাত্নিক হ'তে পারলেন, সে বিষয়ে আমার সন্দেহ মহ । এর পর যখন আপনি মঙ্কলfরনস এ আসবেন, তথন আমি আপনাকে এ সম্বন্ধে আমার প্রবন্ধ পড়তে দব বন্ধু, এটা নিশ্চিত । ক যে, জুলিয়স এগ্রিকে লি! এইখানে এষ্ট প্লিটোরিয়াণে দাড়িয়েষ্ট দেখেছিলেন—” এমন সময় পশ্চাৎ হইতে কে বলিয়া উঠিল, "এখানে প্লিটোরিয়ান, ওখানে প্রিটোরিয়ান ।” উভয়ে একই সঙ্গে পশ্চাতে ফিরিয়! চাহিলেন । লভেলের মুখে বিস্ময়, ওল্ডবকের অনিলে বিস্ময় ও ক্ৰোধ । তাহদের সম্পূর্ণ অজ্ঞাতসারে এক জন শ্রোত। সেখানে আসিয়া দাড়াইয়াছে ! লোকটাকে দেখিলেই ভিক্ষুক বলিয়। মনে হইবে । তাহার মাথায় প্রকাও টুপী । তাছার মুখে দীর্ঘ শ্বেত শ্মশ্র । বয়স তাহার হইয়াছে, কিন্তু শরীর বলিষ্ঠ । ওল্ডবক বলিলেন, "এ ডি, কি বলুছিলে তুমি ?” বিন্দুমাত্র দমিয়া না গিয়ু এড়ি বলিল, “এটার কথাই বলুছিলাম।" . বিশেষতঃ আপনার কাছে 5 ২০৩ “অারে হতভাগ! তোমার জন্মের আগেই এটা এখানে ছিল। তোমার মৃত্যুর পরও থাকবে ।” “আমি ফাসীকাঠেই বুলি বা জলে ডুবেষ্ট মরি— এখানেই চোক বা অন্য জায়গাতেই হোকৃ—এই জিনিষটা তৈরী হতে দেখেছি ।” প্রত্নতাত্ত্বিক ক্রোধাভরে বলিলেন, "ওরে হতভাগা ভবঘুরে, এর সম্বন্ধে তুমি কি জান ?” “মঙ্কধারনস্, এর কথা আমি জানি। মিথ্যে কথা বলে আমাৰ লাভ কি ? আমি জানি যে ২০ বছর আগে আমি ও আমার মত অfর এক জন, জন কয়েক রাজমিস্ত্রীর ছেলেক্ষে নিয়ে এটা তৈরী করেছিলুম। আপনারা যাকে প্রিটোরিয়ান বলেন, ওটা আমাদেরই তৈরী । এটা বাপ দেবার জন্তই তৈরী হয়েছিল । এইকেন্‌ ডুমের মেয়ের বিয়ের সময় এটা হয় ! একখান! পাথর ছিল। তার উপর লেখা ছিল, এ, ডি, এলু, এল। তার মানে এটকেন ডুমের ল্যাং ল্যাভল ।” লভেল হুখন অপাঙ্গে একলfর প্রত্নতাত্ত্বিকের প্রভি দষ্ট পা গু কবিলেন । কিন্তু কখনই সে দৃষ্টি সরাইয়। লগ:েম ! পাঠক, যদি ষোড়শী তরুণীর প্রথম প্রণয়ব্যাপার অসময়ে প্রকাশ পাইবার পর, তাহাব মুখের চেহার! দেখিবাব অবকাশ পাইয়। থাকেন, তাহু! তইলে তাহার মুখে ষে ভাব ফুটিয় উঠে, আমাদের প্রত্ন তাত্ত্বিকে ব মনে ঠিক অনুরূপ ভাবই ফুটিয়া উঠিঘছিল ভিখাপার দিক ঔষ্টতে দৃষ্টি ফিরাইয়া লইয়। প্রত্নওৈিক বলিলেন, “নিশ্চযু কোথাও কিছু ভুল-ভ্রান্তি ঘটে থাকলে ।” ভিক্ষুক সাঙ্গসভার বলিল, “তুল সামার হয় না । মঙ্কবারন, ঐ ভদলেকটি আমার মত ষ্ট তভাগার কথা কাণে তুলুবেল প। । কিন্তু আমি বাজি রাখতে পারি, উনি কোথায়ু কাল সুরে বেড়িয়েছিলেন । কিন্তু সে ক! কারুর কাছে আমি বণি, তা উনি ৮1ন ন৷ ” লভেণের মুখমণ্ডল সহসা আরক্ত ইষ্ট উঠিল । মিঃ গুল্ডৰক বলিলেন, “প্রশ্ন কপীয় কাণ দেবেন ন। । বুড়ে পাজিট ভারী খা । আপনাব কাজকৰ্ম্ম যাই হোক না কেন, তাকে আমল কাছে আপমার সন্মান কমবে না । ওর ঐ রকম যা ত! লোকের সম্বন্ধে ধারণ করেই ব-সে থাকে বুদ্ধ প্রত্নতাত্ত্বিকের কথা তখন লভেলের কাণেও যেন প্রবেশ করিতেছিল না । তিনি তখন বৃদ্ধ ভিক্ষুকের মন্তব্য সম্বন্ধেই চিন্তা করিতেছিলেন । ঐ লোকটা তাহার গতিবিধি ও কার্য্যকলাপ সম্বন্ধে সন্ধান রাখে বলিয়! যেন ইঙ্গি গু করিল। তিনি তখনই