দি এ্যান্টিকোয়ারি বা প্রত্নতাত্ত্বিক --এমন সময়েও কে একজন পাহাড়ের দিকে আসছে দেখছি!” বৃদ্ধ তখন উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করিয়া দুঃসাহসী আগন্তুককে লক্ষ্য করিয়া তাঙ্কার পূর্ব-অভিজ্ঞতার কথা বলিতে লাগিল । সে বলিয়া উঠিল, “ঠিক १८छ् !-टैिद्, ळेिद !-ई, भै छाग्नशाऐ1 ! मल्लिप्ले ঐ পাথরটার গায় জড়িয়ে বঁ।ধ । ইঁ, ঠিক হয়েছে ! এই ত চাই । এইবার তোমাতে আমাতে মিলে এই যুবতী মহিলা ও সার আর্থারকে উপরে তুলতে পারব।” দুঃসাহসী ব্যক্তি এড়ির নির্দেশমত সমস্ত ব্যবস্থ৷ করিয়া দড়ির অপর প্রাস্তু তাহার কাছে নিক্ষেপ করিল । এীড উহ। ইসবেলার দেহে বন্ধন করিল পূৰ্ব্বেষ্ট সে ইসাবেলার দেখে তাহার মীণ আঙ্গরাখা দিয়া ঢাকিয়া দিয়াছিল । স্বাহীতে ইসাবেলার দেহে কোনও আপাত ন! লাগে, এমন ভাবে রক্ষুবদ্ধ কপ্লিয় সেই দাঁড় ধরিয়া বৃদ্ধ পাহাড়ের উপরে উঠিতে লাগিল । এই দুঃসাহসের কাজ অত্যন্ত কঠিন । কিন্তু বৃদ্ধ নিরাপদে পরে উঠিল । উপরে স বন্ধু লভেলকে দেখিতে পাইল । উভয়ে অতঃপর ইসাবেলাকে টানিয়া উপরে তুলিল । তাহার দেহে কোন ৪ আঘাত লাগিল না । তার পর সার আথাবকে সাহায্য করিবার জন্য দড়িটার আশ্রয়ে লভেল নীচে নাiমঃ গেলেন । বুদ্ধ এড়ির সাহায্যে তাব পর ডভয়ে প{গড়ের উপরে উঠলেন । মৃত্যুতরঙ্গ তখনও কাহাকেও গ্ৰাস করিতে পারিল না । ধ্ৰুং-মৃত্যুর কবল হইতে উদ্ধার লাভ করার যে আনন্দ, পিতা ও পুল্লার মধ্যে তাছা সঞ্চারিত হইণ । উভয়ে পরস্পরকে আলিঙ্গনে আবদ্ধ করিয়। সে আনন্দ প্রকাশ করিলেন । কিন্তু সমস্ত রজনী ঝড়বৃষ্টির মধ্যে কাটাইভে হইবে—স্থান ও সঙ্কীর্ণ, চারি জনে কোনমতে সেই অপ্রশস্ত শিলাখণ্ডের উপর দাড়াইয়। শীতে কঁাপিতেছিল, বৃষ্টির ঝাপট গায় লাগিতেছিল— পদতলে মৃত্যু গর্জন করিতেছিল । তরঙ্গশীর্ষ হইতে জলকণ। উৎক্ষিপ্ত হইয়। তাহাদিগের দেহকে ও সিক্ত করতেছিল ; উন্মত্ত উচ্ছ্বাসে স্তরঙ্গের পর তরঙ্গ আছাড় খাইয়া পড়িতেছিল এবং তাহা যেন বলিতেছিল, তাহদের শিকার ফিরাইয়া দেও । গ্রীষ্মকালের রাত্রি হইলেও, মিস ওয়ারভুরের মত কোমলাঙ্গী তরুণী প্রভাত পৰ্য্যন্ত সিক্তদেংে যে বাচিয় থাকিবেন, ইহার সম্ভাবনা অল্প । বৃদ্ধ পথচারী বলিল, “আমরা এরকম ভিজে অনেক রাত কাটিয়েছি, কিন্তু এই মেয়ে কি ক’রে বেঁচে থাকবে, বুঝতে পারছি না । ২১৫ লভেল তাই বুঝিলেন । তিনি বলিলেন, অtমি পাহাড়টার উপরে আবার উঠে যাই। এখনো যে আলো আছে, তাতে আমি উঠতে পারব ! তাই যাই, গিয়ে আরো লোক নিয়ে আসি ।” সার আর্থাব আগ্রহভবে বলিলেন, “ভাই করুন, তাই করুন ! দোহাই ভগবানের, আপনি যান ! প4চারা বলিল, “ক্ষোপছেন, আপনার ? স্বৰ্য্যাস্তের পর অত্যস্ত দক্ষ পাহাড়ীও এই পাহাড়ের উপর উঠতে সাহস করবে ন! ! ভগবানের অনন্ত দয়া না হলে নীচে এভক্ষণ সমুদের তলায় চিরবিশ্রাম লাভ করতে স্থত । মশাই, আপনি ধে ভাবে এই পাহাড় দিয়ে এখানে এসেছেন, কোণ জ্যাপ্ত মানুষে পক্ষে ত অসম্ভব । আমার মত লোক, ধোঁবনে এমন ঃসাহসিক কাজ করতে ভয় পেত ; পুনরায় এই পাহাড়ে চড়া, এটা শুধু দুঃসাহস নয়, মৃত্যুর কবলে शt७म्न ।" লভেল বলিলেন, “আমার ভয়ু ডর নেই। আসবার সময় আমি ভাল ক'রে সব জায়গা লক্ষ্য ক’রে এসেছি । সুতরাং ঠিক উঠে যেতে পারব । বন্ধু! তুমি সার আর্থার ও এই ভদ্র মহিলার পাশে দাড়িয়ে থাক, আমি যাই ।” বৃদ্ধ দৃঢ়স্বরে বলিল, “স্তবে শযতান আমার সহায় তোক্ । আপনি যদি যান, তা হ'লে আমিও যাব। দুজনের বুদ্ধিতে পাহাড়ের ওপরে ৪ঠা যেতে পারবে ।” “ন, মা, তুমি থােক । সার আর্থার সম্পূর্ণ ক্লান্ত, তুমি মিস ওয়ারভুরের পাশে থাক ” বৃদ্ধ বলল, “ত হ’লে আপনি থাকুন, আমি যাই । যদি মরি, আমি বুড়ে মাসুম, আমিই মধুর । আপনি তরুণ যুবক, আপনি রক্ষা পাবেন ক্ষণিকণ্ঠে ইসাবেল বললেন, “আপনাব। দুজনেই থাকুন, করে যেতে হবে না। আমি ভাল আছি —রাগ্ৰিট কেটে যাবে, আমি এখন সুস্থ আছি ।" বলিঙে বলিঙে তিনি টলিয়া পড়িলেন । বৃদ্ধ ও লভেলের বাহু তাইকে পতলবেগ হইতে রক্ষা করিগ। সযত্নে যুবতীকে তাহার পিতার পাশ্বে বসাইয় দেওয়া হইল । সার আর্থার তখন অভিভূতের মত ধসিয়া পড়িয়াছিলেন । "নt, ন, ওঁদের ফলে রেখে যা ৪য় চলবে না ; এখন কি করা যায় ?" লভেল আবার তখনই বলিয়। উঠিলেন, “শোন ! শোন ! কার গলার স্বয় যেন শুনতে পাচ্ছি ।" বৃদ্ধ বলিল, “ও স্বর সমুদ্ৰ-ভূতের ! অনেকবার শুনেছি " অামি
