পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ ૭૦ প্রত্নতাত্ত্বিক নিজের চিন্তাধারার অনুসরণ করিয়া বলিয়া চলিলেন, “আমরা অন্তের বিষ উপেক্ষাভরে চিন্তা করি । আমরা মনে করি, আমাদের পরাজয় নেই। সেই ভেবেই অন্যের সুখ-দুঃখের বিষয়ে দার্শনিকের মত গম্ভীর উদাসীন মত পোষণ করি। অন্তের দুঃখের কথা ভাবি নে ৷” লভেল সাগ্রহে বলিলেন, "ভগবান করুন যেন শুধু স্বাৰ্থ নিয়েই না থাকি স্বার্থ ছাড়া অন্য ব্যাপারে আমাদের আগ্রহ থাকবে না, এ অসহ্য । হাত কেটে যাবে ব'লে নিজের হাত দিয়ে অন্যের উপকার করব না । এ রকম ভাব যদি আসে, তা হলে আমার হাতের কৰ্ম্মশক্তি না থাকাই ভাল * প্রত্নতাত্বিক ধেন করুণাপরবশ হইয়। লভেলের দিকে একবার দৃষ্টিপাত করিলেন । তার পর স্বন্ধদেশ আন্দোলিত করিয়া তিনি বললেন, “ছোকরা থাম ! —৬০ বছরের নানা ভাগ্যবিপর্য্যয়ে আগে তোমার জীবনতরী ঝঞ্চাল্লভ হোক, তার পর বুঝতে পারবে । জগতে অনেক কষ্ট আছে, সব সহ করতে হবে । তখন অন্তের সম্বন্ধে সঙ্গানুভুতি প্রকাশ করবে, ম৷ নিজের স্বাৰ্থ ভাববে, তা বুঝতে পারবে ।” লভেল বলিলেন, “মি: ওল্ড বক, আপনার কথা হয় ত সত্য ; কিন্তু মে পরিবারের সান্নিধ্য এইমাত্র ত্যাগ ক’রে এলুম, তাদের সুখ-দুঃখের কথা গভীরভাবে চিন্ত না ক’রে আমি পারছি না। " ওল্ডবক্‌ বলিলেন, “ ৩ তুমি কর । আজকাল সার আর্থারের অর্থকষ্ট এত বেশী হয়েছে অথচ তুমি ভ1 জান না, এই আশ্চর্য্য ! সব চেয়ে বেশী হয়েছে, জাৰ্ম্মান ডাউস্টারস উইভিসের জঙ্গ—" “লোকটাকে বোধ হয় আমি ফেয়ারপোটের কফিখানায় দেখে থাকৃব ! লোকট। লম্বা, দেখতে কদাকার । সে কফিথানায় বসে নানারকম বৈজ্ঞানিক ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করছিল, লোকটা অদৃপ্ত জাতের সঙ্গে যেন সংস্রব রাখে ” "স্থ্য, হ্যা, সেই লোকটাই বটে । শোকট। এমন চাপাক, যাদের বুদ্ধিশুদ্ধি আছে, তাদের সঙ্গে বেশ পণ্ডিতের মত কথা বলে । প্রথমে আমি ও তার কথা শুনে ভুগেছিলাম । আমার সে ভ্রম ঘুচে গেছে । লোকটা নিকেবাধ এবং মেয়েমহলে এড়াই ক'রে নানারকম যা ৩ বলে । আমার বন্ধু হেভিষ্টারন্‌ বিদেশে এই লোকটার সঙ্গে পরিচিত হন । তার প্রকৃত চরিত্রের কথ। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, अवथ ड्रेष्शशूल९ नरश् । शब्ज ! आमूि बनि আৰুহোসেনের মত, খলিফার প্রসাদে একদিনের সার ওয়ান্টার স্কটের গ্রন্থাবলী জষ্ঠ রাজা হতে পারতাম, তা হ'লে এই রকম ভেলকীবাজ বদমাসদের পেছনে বিছের বেত লাগিছে দেশ-ছাড়া করতাম । তার অজ্ঞ ও বিশ্বাসী লোকদের ঠকিয়ে সৰ্ব্বনাশ করছে । এই লোকটাক্ট আমাদের দেশের এই প্রাচীন বংশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে চলেছে .” “কিন্তু লোকটা, সায় আর্থারের সৰ্ব্বনাশ করবার স্থযোগ পেলে কি ক’রে ?” “তা আমি জানিনে । সার আর্থার নিজে সাধু লোক, ভাল মানুষ । কিন্তু তার বুদ্ধিগুদ্ধি যে খুব দৃঢ়, ও মনে হয় না । তার সম্পত্তি ঋণগ্রস্ত—সব সময়েই তিনি টাকার জন্য বিব্রত । এই লোকট। র্তাকে বলেছে যে, সোনার পাহাড় তাকে দেবে— আমার আশঙ্ক, সার আর্থার জামীনদার হু ওয়ায় একটা ইংরেজ কোম্পানী অনেক টাকা আগাম দিয়েছে । অনেক ভদ্রলোক সে কোম্পানীর অংশ কিলেছেন—আমিও গাধার মত একটা সেয়ার কিনেছি । সার আর্থার নিজে ও অনেক টাক! দিয়েছেন । খুব লোভ আমাদের দেখান হয়েছিল, অনেক মিথ্য। কথা ও লোকটা বলেছিল । এখন ঘুম ভেঙ্গে দেখছি, সবই স্বপ্ন—জন বনিধান যেমন ঘুম ভেঙ্গে দেখেছিলেন ।”

  • মি: ওল্ডবক, আপনার মত লোক সার আর্থারকে এ বিষয়ে উৎসাহ দিয়ে আদর্শ দেখিয়েছেন, এটাই বিস্ময়কর ”

দৃষ্টি ন ও করিয়৷ ওল্ডৰক বলিলেন, “সে জন্ম আমি নিজেই লঙ্গ ৩ হয়েছি, বিস্ময় বোধও করেছি । লাভের আশায় নয়—আমি টাকার জন্য লব্ধ মই— তবে ভেবেছিলাম, সামান্ত টাকাট1র ক্ষতি আমি সহ্য করতে পারব। আমার ভাগিনেয়া মিস ‘ম্যাকৃইন্‌টায়ারকে কেউ যদি গ্রহণ করে আমায় মুক্তি দেয়, ভার জন্য আমি টাকা ব্যয় করতে পারি, এও লোকে আশা করে, অথচ কেন করে, ত! আমি জানিনে । আবার এমন ও লোকে ভাবে যে, আমার ভাগিনেয় ঐ গাধ। ছোকরাকে সমরবিভাগে বড় পদ দেবার জন্য কিছু চেষ্টা করতে পারি, যাই হোক ন। কেন, সব দিক দিয়ে ও—যদি কিছু পাওয়া যেত, আমার সাহায্য হত । তা ছাড়া আমার বিশ্বাস ছিল যে, পূৰ্ব্বকালে ফিনিসীয়রা ঠিক ঐ জায়গাটাতেই তামার কাজ করেছিল । ধূৰ্ত্ত ডাউস্টারসউইভের আমার দুৰ্ব্বলতার দিকটা বুঝতে পেরেছিল, তাই সে নানা গল্প বানিয়ে বলেছিল। কতকগুলি খনি যন্ত্ৰ আনিয়া সে আধুনিক পদ্ধতিতে কাজ আরম্ভ