পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rළු8 করেই দেখব । অবগু আমার নাম সাধারণে প্রচার করবার ইচ্ছে আমার নেই । छूमिकाष्ट्र পণ্ডিত বন্ধুর নাম তুমি উল্লেখ ক’রে দিলেই চলুলে । গ্ৰন্থকার হবার মত উচ্চাশা আমার নেই !” লভেল এ সংবাদে হয় ত খুব খুধীস্থ হইলেন । প্রত্নতাত্ত্বিক বিশেষ উৎসাহিত ও আনন্দিত হইয়া উঠিলেন । তাছার মনে লেখকরুপে প্রকাশ পাইবার বাসন ছিল । কেবল সমালোচনার আশঙ্কায় তিনি সাহস করিতেন না । তিনি ভাবিলেন, যবনিকার অগুরালে থাকিয় তিনি তাঁর নিক্ষেপ করিতে পারিবেন । তিনি ভাবিলেন, লভেল নিশ্চয় এক জন ভাল কবি । এখন হইন্তে লভেলের উপর তাহাকে খর দৃষ্টি রাখিতে হুইবে । প্রকাণ্ডে তিনি বলিলেন, “প্রিয় লভেল, শোন । তোমাকে আমি খুব বিস্তৃত নোট দিয়ে দেব । আমার মনে হয়, স্থচীপত্রে আমার সমস্ত রচনাটাই দিয়ে দেব । তুবি কবি তাদেবীকে জাগিয়ে তুলবে । তার পর আমরা কাব্যলোকে চ'লে যাব ।” লভেল বলিলেন, “কিন্তু বই ছাপাবার খরচটার কথা ত ভাবতে হয় ।” তিনি ভাবিয়াছিলেন একথা শুনিলে বুড়ায় সমস্ত উৎসাহ নিৰ্ব্বাপিত হইবে । কিন্তু বুড় হাসিয়! উঠিলেন, “খরচ ! হ্যা, সে কথা ঠিক । তুমি ত সাধারণের চাদায় ছাপাতে রাজি হবে ন৷ ” লভেল বলিলেন, “নিশ্চয় ন৷ ” প্রত্নতাত্ত্বিক আনন্দ সহকারে বলিলেন, “ন!, ন}, সেটা দেখতে ভাল হবে না । আচ্ছা, তোমাকে তবে বলি। আমি এক জন প্রকাশককে জানি ; আমার মতামত তিনি মূল্যবান ব’লে মনে করেন । আমি কাগজ ও ছাপাবার ভার নেব । তারপর তোমার বই যাতে বিক্রয় হয় সেজন্য বিশেষ চেষ্ট। করব।” হাসিতে হাসিতে লভেল বলিলেন, “আমি টাকা পাবার জন্ম গ্রন্থ লিখব না । যার টাক; নিয়ে লেখে, আমি তাদের দলে নই, আমি শুধু চাষ্ট যে, ছাপতে যে খরচ হবে, সেটা ঘর থেকে না যায় " “চুপ কর, বন্ধু ! সে দেখা যাবে । প্রকাশকের ঘাড়ে সব চাপান যাবে । তুমি কাজ আরম্ভ ক’রে দিয়েছ, এটা আমি দেখতে ইচ্ছে করি । অমিত্ৰাক্ষর ছন্দে কাব্য লিখবে ত ? ঐতিহাসিক বিষয় নিয়ে কাব্য লিখতে গেলে ঐ ছন্দই চমৎকার হবে ।” কথা বলিতে বলিতে উভয়ে মঙ্কবারনসএ পৌছিলেন । সেখানে ,পাছিয়া ভগিনার কাছে সার ওয়ান্টার স্বটের গ্রন্থাবলী ভ্ৰাভা তিরস্কার লাভ করিলেন । “দাদা, তুমি এ কি করেই ? লাকি ম্যকল ব্যাকইট মাছ কটার জন্ত ষা খুলী তাই দাম চাইলে ?” বৃদ্ধ লজ্জিতভাবে বলিলেন, “আমি ভেবেছিলাম, খুব সস্তায় কিনেছি ” ভগিনী বলিলেন, “তুমি সস্তায় কিনেছ ? অন্ত দাম দিয়ে ঐ মাছ কেউ কেনে ?” প্রত্নতাত্ত্বিক কুষ্ঠিতভাবে বলিলেন, “গ্লিজেল, য। হবার ইয়ে গেছে । আমারই ভুল হয়েছে, তা স্বীকার করছি। এখন দামের কথা ছেড়ে দেও। মাছ ত এসেছে, এখন আমরা ও খাব । দাম যাই হোকৃ না কেন । লভেল, আমি তোমাকে এখানে থাকবার জন্য পীড়াপীড়ি করেছি। ঐ শোন, জেনি ঘণ্টা বাজাচ্ছে, ডিনার প্রস্তুত !” >C Be this letter delivered with hasíopost haste liitle, vill:tin, ride,-for thy life—for thy life—for thy life. Ancient indorsation of tmportante. letters of মি: ওল্ডবক্ ও তাকার বন্ধুকে মাছের তরকারীর স্বাদ গ্রহণের অবকাশ দিয়! আমির পাঠকপাঠিক৮ গণকে ফেয়ারপোটের ডাক বাবুর ঘরে লইয়া যাইতেছি । ডাকবাবু তাহার স্ত্রীকে সহকারিণী দিগের সাহায্যে ডাকে প্রাপ্ত চিঠিগুলি বাঢ়িবার জন্ত ভাগ করতে দিয়া মিজে অন্ত কাজে গিয়াছিলেন । এডিনবরা হইতে ডাকযোগে এই সকল পত্র আলিয়ছিল ! পল্লা সহরে এরূপ ঘটনা প্রায়ই ঘটিয়া থাকে । চিঠিপত্র লইয়। পল্লীরমণীর নানাপ্রকার গল্পগুজব করিবারও সুযোগ পায় । ডাকবাবুর পত্নীকে এইরূপ ধরণের দুই জন নারী চিঠি বঁাটার কার্য্যে সাহায্য করিতেছিল । কশাইপত্নী চিঠি বাছতে ৰাছিতে বলিল, “টেনাণ্ট কোম্পানীর নামে দশ বারখানা চিঠি দেখছি । এরা দেখছি সবার চেয়ে বেশী কাজ করে।” রুটাওয়ালার স্ত্রী বলিল, “হ্যা, কিন্তু দুখান চিঠির পেছনে সিলমোহর করা । এর মধ্যে বোধ হয় বিলের দাবীর প্রতিবাদ অাছে ” কশাইপত্নী বলিল, “জেনী ক্যাকসেনের চিঠিপত্তর আছে না কি ? লেফটেনাণ্ট ভিন হণ্ড' ত এখানে নেই ।” -