পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨6:ર. চমৎকার ক’রে তোলেন । কিন্তু গল্পটা আগাগোড়া সতা । হার্জ অরণ্যের দৈত্যটা ঠিক ঐ রকম করেই বেড়াত, এ কথা আমি হল্প ক'রে বলতে পারি।" প্রত্নতাত্ত্বিক বলিলেন, “এমন ভাবে তুমি যখন শপথ করছ, তখন আর ওতে সন্দেহের অবকাশ কোথায় " : কিন্তু অকস্মাৎ একজন আগন্তুকের আবির্ভাবে আলোচনা চাপা পড়িল । নবাগত একজন যুবক—প্রিয়-দর্শন । তাহার বয়স প্রায় পচিশ হুইবে । ভাস্কার অঙ্গে সামরিক পরিচ্ছদ, ব্যবহার ও তদনুরূপ । দলের অধিকাংশই তাহাকে দেখিয়া অভিনন্দন করিলেম । মিস ম্যাকইনটায়ার বলিলেন, “প্রিয় হেক্টর ” বলিয়াই তিনি তাহার হাত ধরিলেন । প্রত্নতাত্বিক বলিলেন, “প্রিয়াম পুত্র হেক্টর, তুমি কোথা থেকে ?” সকলকে বিনীতভাবে অভিবাদন করিবার পর যুবক বলিল, “ফাইফ থেকে, হুজুর ” সে বিশেষভাবে সার আর্থার ও তাহার কন্যাকে অভিবাদন জানাইল । তারপর বলিল, “একজন চাকরের কাছে শুল্লাম—মস্কবারনসের দিকে ঘোড়াধ চড়েই আসছিলাম—এখানেই আপনাদের দেখা মিলুবে । সুতরাং ইচ্ছে করেই সকলকে দেখবার জন্যই এখানে এসে জুটেছি।” ওল্ডবক্‌ বলিলেন, “এখানে নতুন বন্ধুর সঙ্গেও তোমার পরিচয় হবে—fমঃ লভেল, এটি আমার ভাগ নে ক্যাপ্টেন ম্যাকৃষ্টনটায়ার—হেকটর, তোমাকে মিঃ লভেলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি * যুবক সৈনিক তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে লভেলের দিকে চাহিল । সে রাখিয়া ঢাকিয়া ব্লভেলকে অভিনন্দন করিল। লভেল ভাঙ্গা বুঝিতে পারিয়া ঠিক অনুরূপভাবে প্রত্যভিৰাদন . করিলেন । পরিচয় এবং আলাপের স্বচনাতেই উভয়ের মধ্যে যেন একটা বিরুদ্ধ ভাব জাগিয়া উঠিল । ক্যাপ্টেন্‌ ম্যাকইনটায়ার ধৌবন-সুলভ বস্তুস ও উৎসাহের অনুযায়ী অধিকাংশ সময় মিস ওয়ারভুরের কাছে কাছেই ঘুরিতে লাগিল এবং সুযোগ পাইলেই র্তাহার সন্তোষ উৎপাদনের চেষ্টা করিতে লাগিল । অৰণ্ড লভেল সেরূপ সুযোগের প্রতীক্ষা করিতেছিলেন, কিন্তু পাছে মিস্ ইসাবেল অসন্তুষ্ট হন, এজন্ত তিনি মনের ইচ্ছা দমন করিয়াই চলিতেছিলেন। , এই নবাগত যুবকের প্রতি লভেল ৰিষ্টি হুইয়া সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী উঠিংছিলেন। সে ষে ক্রমাগতঃ মিস ওয়ারভুরের প্রসন্নতা লাভের জল্প প্রচেষ্টা করিতেছিল, ইহু: লভেলের ভাল লাগিতেছিল না । সে মিস ওয়ারভুরের দস্তান আগাইয়া দিতেছিল, তাছার শালখানা গায়ে তুলিয়া দিতেছিল—তাছার পশ্চাতে পশ্চাতে ঘুরিতেছিল । প্রয়োজন হইলে সাহায্যের জন্ত তাহার বাহু৪ বাড়াইয়া দিতেছিল । যুবক প্রধান eঃ এই তরুণীর সহিত কথা কহিবার চেষ্টা করিতেছিল, ওসব কিসের লক্ষণ, তাহা লভেল জানিতেন । বিশেষভঃ ক্যাপ্টেনের ব্যবহারে এমন একটা ভাব প্রকাশ পাইতেছিল, যাহাতে লভেলের মনে ঈর্ষা ও শঙ্কার উদয় ইল। মিস ওয়ারভুরও যুবকের সমস্ত সাহায্য কাসিমুখে গ্রহণ করিতেছিলেন । ইহাতে লভেলের মনে সত্যই বেদন জাগিতে লাগিল । এদিকে মি: ওল্ডবক্‌ তখন স্থপতি-শিল্পর উপর প্রকাণ্ড বক্তত! আরম্ভ করিয়া দিয়াছেন । মি: লভেল কোনক্রমে তাঙ্গ শুনিয়া স্বাক্টতেছিলেন । নান যুগের নামা স্থপতিশিল্পের সৌন্দৰ্য্য ভগ্নপ্রায় মঠের অঙ্গে বিদ্যমান । প্রত্নতাত্বিক বলিয়া উঠিলেন যে, ইষ্ঠাতে সামঞ্জস্য রক্ষা করিবার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হইয়াছে ! লভেন্স উত্তরে অস্পষ্ট শব্দ করিলেন । প্রত্নতাত্ত্বিক বলিলেন, “তা হ’লে তুমিও, এসব অসামঞ্জস্ত আমারই মত নিন্দাজনক ব’লে মনে কর । এ রকম বিসদৃশ দৃশু দেখে তোমার মনে কি অসন্মানজনক ব’লে ভেঙ্গে ফেলবার ইচ্ছে হয় না ?” লভেল প্রতিধ্বনি তুগিয়া বলিলেন, “অসম্মান জনক ! অসম্মানজনক কিসে হল ?” “আমার বলবার তাৎপর্য, শিল্পকলার পক্ষে লজ্জাজনক ।" “তা কি ক’রে বলা যায় ? সম্ভবপর ?” “এই দেখ না, ঐ অলিনের উপর অক্সফোর্ড স্থপতিশিল্প রখেছে । তার পাশেই অনেক ব্যয় ক’রে অসভ্য মূখ শিল্পী সমস্ত বাড়ীটার সামনে পাচরকম স্থপতিশিল্পের নমুনা রেখে দিয়েছে।” চলিতে চলিতে র্তাহারা যেখানে গাড়ী রাখিয়া গিয়াছিলেন, সেই স্থানে আসিযা পৌছিলেন। মিস ওয়ারভুর তাহার সঙ্গী যুবককে লইয়া কিছু আগাইয়। গিয়াছিলেন । র্তাহার ইচ্ছা হইল, দলের আর সকলের সহিত মিলিত হইবেন । কাজেই তিনি পথের মধ্যে দাড়াইয়া পুড়িয়াছিলেন । এমন সময় মিঃ ওল্ডৰক সেখানে হাজির হইলেন । কেমন ক'রে জা