পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দি এ্যাণ্টিকোয়ারি বা প্রত্নতাত্ত্বিক নীড়ে গোলযোগ বাধাতে চাও ? তোমরা কি ডালকুত্তার ছানা না কি যে, রাস্তার লোককে কামড়াতে চাও ?” সার আর্থার বলিলেন যে, পত্রের শিরোনাম+ রূপ তুচ্ছ ব্যাপার লষ্টয় যুবকদিগের মধ্যে বিরোধ বাধা সঙ্গত নক্তে । উভয়েই বলিলেন যে, তাহাদের সেরূপ কোন অভিপ্রায় নাই। উভয়েই বলিলেন যে, তাহারা বেশ শাস্তই আছেন । কিন্তু উভয়েরই চক্ষুযুগল উদ্দীপ্ত এবং মুখমণ্ডল আরক্ত হইয়া উঠিয়াছিল। দলের কাঃারও মনে আর "ন্তি রছিল না-আলোচনা জমিল না । লভেল দেখিলেন, অনেকেই সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে র্তাহাকে লক্ষ্য করিড়েছেন । তিনি ভাবিলেন, যে ভাবে তিনি উত্তর দিয়াছেন, তাঙ্গাতে তাতার সম্বন্ধে বিচিত্র ধারণ। হু ওয়! অসম্ভব নতে । সুঙরাং }তনি স্তির কবিলেন যে, নকউই কনক প্রাসাদে গিয়া ভোঞ্জে যোগ দিবার বাসনা তাঙ্গাকে ত্যাগ করিপ্তেই হুইবে । সুতরাং তিনি কিছু পরে প্রকাশ করিলেন যে, রৌদ্রে ঘূরিয়৷ তাতার মাথা ধরিয়াছে। পীড়ার পর এরূপ রৌদ্রে feনি একদিনও বাহির হন নাই । সুতরাং তিনি শীর আর্থারের কাছে প্রকাশ করিলেন যে, ভোজের আনন্দ উপভোগ করিবার সৌভাগ্য তাহার হইবে না । সার আর্থার সেজন্য তাহাকে যেন ক্ষম করেন । সার অর্থারের মনে কৃতজ্ঞতা অপেগণ সন্তেই অধিক প্রভাব বিস্তার কfaয়াছিল । স্বত্ত রাং দুই একবার মৌখিক আপত্ত্বি জানাইয়। শিষ্টভাবে লভেলের আবেদন মঞ্জুর করিলেন । মহিলাদিগের নিকট যখন লভেল বিদায় লইলেন, তখন লভেল লক্ষ্য করিলেন যে, মিস ওয়ারভুরের মুখে উদ্বেগের চিহ্ন প্রকটিত হষ্টয়াছে । এতক্ষণ সেরূপ লক্ষণ আদেী প্রকাশ পায় নাই । অন্তের অলক্ষ্যে সুন্দরী একবার ক্যাপ্টেনের দিকে চাহিলেন । যেন উদ্বেগের কারণ ঐ লোকটিই । আর কেহ ন| দেখিলেও লভেলের দৃষ্টি তাই এড়াইল না । মুখে তিনি বলিলেন, “না, অন্য কোন কাজের জন্য নয় । এ রকম মাথার ধন্ত্রণা, মাঝে মাঝে হচ্ছিল । আজ আৰার সেটা দেখা দিয়েছে।” যুবতী বললেন, “এর একমাত্র উৎকৃষ্ট প্রতিষেধক, বিজ্ঞতা । আমি-মিঃ লভেলের প্রত্যেক বন্ধুই প্রত্যাশা করেন যে, তিনি তাই করবেন ।” অবনতশিরে অভিবাদনকালে লভেলের মুখমণ্ডল আরক্ত হইল। মিস ওয়ারভুর ভাবিলেন যে, তিনি ২৫৫ বেশী কথা বলিয়! ফেলিয়াছেন, তাই তিনি নিজের গাড়ীতে গিয়া উঠিলেন। লভেল পরে ওল্ডবকের কাছে বিদায় লক্টলেন । তিনি বলিলেন, “অঁ", "ম চ'লে যাচ্ছ ? নিবোধ ভেক্টরের বোকামীর জন্য রাগ ক’রে যাচ্ছ না ত ? ছেলেট গোড়া থেকেই ঐ রকম বখাটে চয়ে গেছে । লভেল, ওর কথা তুমি ধরে না । আমি ওকে খুব বকে দেব এর পর * কিস্ক লভেল ফেয়ারপোটে ফিবিবার জন্য দৃঢ়সংকল্প । তখন প্রত্নতাত্ত্বিক গম্ভীর স্বরে বলিলেন, “তোমার মনের এখন যে অবস্থা, তাতে খুব ধীরভাবে বিবেচনা ক'রে চলুবে । তোমার জীবনের মহৎ কাজ বাকি —মূল্যবান তোমার জীবন । দেশের সাহিত্যকে পুষ্ট করার ভার তোমার ওপর আছে । যখন নির্দোষ ও নিরীকদের রক্ষার জন্য দেশের হয়ে যুদ্ধ । করতে হবে না, তখন সাহিত্যসেবাই তোমার ধৰ্ম্ম । ব্যক্তিগত কাবণে যুদ্ধ-বিগ্রহ প্রাচীন সভ্যতাযুগের লোকের জানত না । গপিক জাতি এটা শিখিয়েছে —ভার নিষ্ঠর, নিৰ্ম্মম, বি শ্রী পদ্ধতি এটা ! এ রকম বিত্র কাজের কথা ঘন আমাকে আর শুনতে না হয়, বন্ধু !” - “আপনাকে আমি ঠিক বল্‌ছি, ক্যাপ্টেন ম্যাকইনটায়ারের সঙ্গে আমার এমন কিছু হয় নি, যার জন্য আপনি এমম উদ্বিগ্ন হচ্ছে ।" “ভাই হোন, যদি অঙ্গ রকম ঘটে, আমি দুদলেরই মধ্যস্থ হল !" বৃদ্ধ ভদলোক নিজের গাড়ীতে গিয়! বসিলেন । মিস ম্যাকইনটায়ার গাড়ীর কাছে লাতাকে আটক করিয়া রাখিয়াছিলেন ; হেক্টর নিজের ঘোড়ার পিঠে চাপিয়াই গাড়ীর পশ্চাতে চলিতে লাগিল । পথের মোড় বাকিতেই সে বিপরীত দিকে ঘোড়৷ চালাইয়ু দিল । কয়েক মিনিট পরেই সে লভেলের কাছে আসিল । লভেল ঐরূপ একটা অনুমান করিয়৷ মৃদ্ধ গতিতে অশ্বচালনা করিতেছিলেন । লভেলের পাশ্বে তাড়াতাড়ি ঘোড়া থামাইয়ু ক্যাপ্টেন ম্যাকইনটায়ার উদ্ধান্তকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিল, “মশাই, আপনি ষে বললেন, আপনার ঠিকান চাইলে আমি পাব, তার মানে কি ?” লভেল বলিলেন, "একবার সোজা মানে, আমার নাম লভেল, আপাততঃ আমার বাস ফেয়ারপোটে, আমার কার্ডেই তা দেখতে পাবেল ”