পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দি এ্যান্টিকোয়ারি বা প্রত্নতাত্ত্বিক আর পালাবার উপায় থাকবে না, তখুনি জেলে যেতে হবে * টাফ রিল বলিলেন, “ঠিক বলেছে বুড়ে । রাজপথে আপনি এখন যাবার চেষ্টা করবেন না । বনের ভেতর পালিয়ে যান । সারা রাত সেখানে লুকিয়ে থাকবেন । ততক্ষণে আমার ছোট জাহাজ যাত্রার জন্য প্রস্তুত থাকবে । শেষ রাতে ৩ টার সময় মসেল ক্রাগে জাহাজ নিয়ে দাড়াব—জেলে ডিঙ্গি পাঠাব। তাতে চড়ে আপনি আমার জাহাজে উঠবেন । এখন পালান—দোহাই ভগবানের, আর দেরী করবেন না ।” আহত যুবক বলিল, “হ্যা, আপনি পালান ।” ভিক্ষুক বলিল, “আমার সঙ্গে এস” বলিয়া সে তাহাকে টানিয়া লইয়া চলিল । “ঠিক, ক্যাপ্টেন যা মতলব করেছে, সেটাই ঠিক । আমি তোমাকে এমন জায়গায় লুকিয়ে রাখব, কেউ জানতে পারবে না । তার পর জাহাজে তুলে দেব ।” লেফটেনাট টাফ রিল আবার অমুনয়পূর্ণ কণ্ঠস্বরে বলিলেন, “যান আপনি । এখানে থাক পাগলামী |" লভেল ত{হার কর কম্পন করিয়া বলিলেন, “এখানে আসাই পাগলামীর চেয়েও খারাপ ইয়েছিল । কিন্তু বিদায় !" ভিক্ষুকের সঠিত তিনি বনের গভীরতম অংশের দিকে চলিতে লাগিলেন । さ> —The Lord Abbot had a soul Subtile and quiek, and scarching as the fire , By magic stairs he went as deep as hell, And is in dovil's possession gold be kept, He brought some sure from thence— ’tis hid in caves, Known, save to mo, to none— The Wonder of a Kingdomc. যন্ত্রচালিতবৎ লভেল ভিক্ষুকের অনুবত্তী কইলেন । বৃদ্ধ দ্রুতপদে নানা ঝোপ-জঙ্গলের মধ্য দিয়া তাহাকে পথ দেখাইয়া লইয়া চলিল । মাঝে মাঝে সে পশ্চাতে ফিরিয়া কাণ পাতিয়া শুনিতেছিল—কেহ তাহাদিগের সন্ধানে আসিতেছে কি না । ఫ్చిJa স্রোতস্বিনীর তীরে নামিয়া, সঙ্কীর্ণ পথরেখ ধরিয়া উভয়ে ক্রমেই গভীরতম অরণ্যের মধ্যে প্রবেশ করিতে লাগিল । ইতিপূৰ্ব্বে লভেল প্রত্নতাত্ত্বিকদিগের সঠিত ধ্বংসস্ত,প পৰ্য্যবেক্ষণকালে যে সকল সঙ্কীর্ণ পথ দেখিয়াছিলেন, মাঝে মাঝে সেই সকল পথের রেখাও তাহার দৃষ্টিতে পডিতে লাগিল । লভেল এই ব্যাপারে এমনষ্ট বিমর্ষ ও মৰ্ম্মপীড়িত হইয়াছিলেন যে, সকল সময়েষ্ট তাহার মনে হইতে" ছিল—“এ কি করলাম ! তখন মনে হচ্ছিল, আমি বড় অমুখী । অথচ কোন দোষ-কোন পাপই তখন করিনি । আর এখন ? এই ছোক এার মৃত্যুর পাপ আমার মাথায় চেপে বসেছে । তথন আত্মসম্মাম বজায় রাখবার জন্য অগুস্কারের তাড়নায় একাজ করে ফেলেছি, কিন্তু এখন আর কোন উৎসাহই ও নেই । শয়তনই এক1ঞ্জ করালে আমাকে দিয়ে ” মিস ওয়ারভুরের কথা ৪ তখন লভেলের মনে স্থান পাইল না । যাবজ্জীবন যদি সেই তরুণীর সক্ষলাভ হক্টতে বঞ্চিত থাকিতে হয়, তাই অপেক্ষাৎ এ যন্ত্রণ দুৰ্ব্বিষহ ৷ মানুষের রক্তপঃ ত তাহাকে করিতে হইল ! র্তাহার চিন্তায় ভিক্ষুক কোন ও বীপা দিল না। সে শুধু লভেলের গমনপথকে অপেক্ষাকৃত সহজসাধ্য করিয়া দিবার চেষ্টাই করিঃেছিল । অবসাদ, ক্লাস্তি বশতঃ লভেল বৃদ্ধের বহু পশ্চাতে পড়িয়। রঙ্গিলেন । তাহার প! যেন আর চলিতে চাহিতেছিল ন! ! অবশেষে লভেল দেখি লেন, একটা ফুরারোহ পাহাড়ের ধারে একটি গুষ্ঠার মুখে বুদ্ধ দু!ড়াইঃাছে । এষ্ট ক্ষুদ্র গুপ্তামূখের উপর তরু-গুল্ম লভার এমন আচ্ছাদন পড়িয়াছে যে, তাeার প্রশ্বে টfড়াইলেও এই গুহামুখ কাহারও দৃষ্টিগোচর হইবার সম্ভাবন নাই । সেই গুহার মধ্যে গুড়ি মারিয়ু বৃদ্ধ প্রবেশ করিল । তিনি ও তাহার অনুবন্তী হইলেন । ভিতরে কিন্তু গুপ্ত বেশ প্রশস্ত এবং দুই ভাগে বিভক্ত ! গুগর প্রবেশমুখে প্রদোষান্ধকার, কিন্তু ভিতরে বিন্দুমাত্র আলোকরেখা নাই । বৃদ্ধ বলিল, “এ জাযগ; কেউ জানে না ; আমি ছাড়া আর দুজন জীবন্ত লোক এই গুহা চেনে—জক, ও ল্যাং লিঙ্কার ” আরও নিভূক্তত্তম প্রদেশে বৃদ্ধ লভেক্তকে লইয়া গেল। সে বলিল, “এখানে একটা ঘুরোনো সিড়ির භු