পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૭8 কালো ঘোড়ার পিঠে সে সওয়ার হয়ে দেখা দেবে। এ সব দৃশু কি আপনি দেখতে চান না ?” ব্যাংনেট বলিলেন, “অবশু ভয় আমি পাব না । কিন্তু অনিষ্ট এতে হবে না ত ?” “অনিষ্ট ! বলেন কি ? অবশু দর্শক যদি ভয় পান, ভলোয়ার ঠিকভাবে না ধরে থাকেন, তা হ’লে শিকারীটা অবশু তার টুটি চেপে ধরে বটে ! কিন্তু ভয় না পেলে কিছু হয় ন৷ ” “ত হ’লে, ডাউষ্টারসটষ্টভেল, ও সব এখন থা । তুমি যা আজ করতে এসেছ, তাই কর ” “ত ষ ৰূল্বেন, হুজুর, তাই করব । আচ্ছ, আমি কাঠগুলো জালি, আপনি ততক্ষণ তলোয়ার খুলে ঠিক ক’রে ধরুন " জাৰ্ম্মাণ তখন সংগৃহীত কাঠের টুকরাগুলিতে অগ্নিসংযোগ করিল । উহাতে এমন কিছু বস্তু মিশ্রিত ছিল, যাহার ফলে কাষ্ঠগুলি দাউ দাউ করিয়া জলিয়া উঠিল । চারিদিক আলোকিত হুইয়। উঠিল । জাৰ্ম্মণটি তখন উহাতে কিছু ইন্ধন নিক্ষেপ করিল। তাছাতে একটা বিখ্র দুর্গন্ধ উথিভ হইতে লাগিল । উভয়েই তাহার প্রভাবে হাচিতে ও কাসিতে লাগিল। ঐ দুৰ্গন্ধ চারিদিকে ছড়াষ্টয়া পড়ার লভেল ও এডিও ষ্টচিঙে আরম্ভ করিল। চারিদিক ঔষ্টতে হাচি ও কাসির শঙ্ক হওয়াধু ব্যারনেট বলিলেন, “ওটা কি প্রতিধ্বনি নাকি ? অথবা তুমি যে ভূতের কথা বলছিলে, সেই,আমাদের বিদ্রুপ করছে ?” বলিতে বলিতে তিনি জাৰ্ম্মাণের কাছে সরিয়া দাড়াইলেন । সে বলিল, “ন!—তা বোধ হয় নয় ।” এই সময় প্রচণ্ড হাচির বেগ সংবরণ করিতে না পারিয়া বৃদ্ধ অঞ্চিলটি ঠাঁচিয়া উঠিল । সমগ্র গুহ। তাহাতে কঁপিয়া উঠিল । অর্থাম্বেধী দুই ব্যক্তিই সেই শব্দে ভীত হইল । ব্যারনেট বলিয়া উঠিলেন, “ভগবান, রক্ষা করুন * ভীত জাৰ্ম্মাণ বলল, “আমি ভাবছিলাম, দিনের আলোতেই এ সব করা ভাল । এখন এখান থেকে চ'লে যাওয়াই শ্রেয় ” ব্যারনেটের ভয় দূর হইল । তাহার মনে একটা সন্দেহ জাগ্রত হইয়া উঠিল । বিশেষতঃ আসন্ন বিপন্ন অৰস্থার কথা স্মরণ করিয়া তিনি বলিয়া উঠিলেন, "ওরে বদমাস, তুই বুঝি আমাকে ভেন্ধী দেখিয়ে, তোর প্রতিজ্ঞামত কাজ করা বন্ধ করতে চাস । সে হবে না । আজ আমি দেখতে চাই ; তোর সার ওয়াটার স্কটের গ্রন্থাবলী বিদ্যে কত । অামার ত সৰ্ব্বনাশ হবার যোগাড় হয়েছে। তোকে বিশ্বাস ক’রে আমার যথাসৰ্ব্বশ্ব তোর হাতে দিয়েছি । কথামত কাজ তুই যদি ন! করিস, তোকে এমন জায়গায় পাঠাব, সেখানে সত্যি সত্যি তুই ভূত দেখবি ।” অর্থসন্ধানী-জাম্মাণটা তখন উভয় সঙ্কটে পড়িয় কঁাপিতেছিল । তাহার মনে হইতেছিল, তাহার চারিদিকে ভূতযোনি ঘিরিয়াছে। আবার সার আর্থার মুক্ত তরবারি হস্তে দণ্ডায়মান । ব্যারন তখন নৈরাষ্ঠে ক্ষিপ্তপ্রায় । সে র্কাদিতে কঁাদিতে বলিল, “হুজুর, অন্নদাতা আপনি । এ সব কথা ७१भांभू বলবেন না, হুজুর । ভেবে দেখুন. ভূতরা—” এডি এতক্ষণে ব্যাপারটায় বেশ মজা আছে, তাহ বুঝিতে পারিয়াছিল । সে তখন উৎকট স্বরে গর্জন করিয়া উঠিল । এরূপ ভাবে চীৎকার করা তাহার অভ্যাস ছিল । জাৰ্ম্মাণট। তখনই নভজন্তু হইয়; বসিষা পড়িয়া বলিল, “হুজুর, সার আর্থার, চলুন পলাই, নয় ত আমায়ু যেতে দিন ।" কোষমুক্ত তরবারি উদ্যত করিয়া সার আর্থার বলিলেন, “সে হবে না, বাছাধন । আমায়ু ঠকিয়ে বদমাস তুমি পালাবে ? তা হচ্ছে না ! মঞ্চবারনস্ অনেক আগে তোমার ভণ্ডামি পুঝতে পেরে আমার সাবধান ক’রে দিয়েছিলেন । আগে আiমায় গুপ্তধন দেখাও, ভবে তুমি যেতে পাৰে । তা না হ'লে তোমাকে জোচ্চোর বলে আমি ধরিয়ে দেব । নী হয় ত এই তলোয়ার তোমার বুকে বসাব । ভাতে যদি চারিদিকে ভুক্তর। হুঙ্কার দয়, তাতেও পেছুপ। झद ब्र! * “হুজুর, ভগবানের দোহাই, অত অধীর হবেন ন ; গুপ্তধনের কথা আমি যতদূর জানি, সব আপনি পাবেন, কিন্তু ভুভের কথা কইবেন না । ওতে তারা রাগ করে " এ৬ি ভাবিয়াছিল, আবার সে চীৎকার করিবে ; কিন্তু লভেল তাহার গা টিপিয় তাহাকে সতর্ক করিয়া দিলেন । তিনি তখন কৌতুহলপরবশ হইয়। ব্যাপারটার শেষ দেখিবার জন্ত ব্যস্ত হইয়াছিলেন । এদিকে ভূতের ভয়, অপর দিকে সার আর্থারের উদ্যত তরবারি-ডাউষ্টারসউইভেল প্রমাদ গণিয়া তাহার ইন্দ্রজাল বিদ্যার যে নমুনা দেখাইতে লাগিল, তাহাতে অন্তকে ঠকান সহজ হইয়া উঠিল না। সে মুখে কত কি আওড়াইতে লাগিল এবং f