পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দি এ্যাণ্টিকোয়ারি বা প্রত্নতাত্ত্বিক "তা হলে, সার আর্থার, বর্তমানে ষে রকম টাকার বাজারের অবস্থা—” ব্যারনেট বলিলেন, “আপনি আমায় ভুল বুঝছেন, মি: ওল্ডবক্‌ ! খুব একটা মোটা টাকা আমি লাভজনক ব্যাপারে নিয়োগ করতে চাই ।” প্রত্নতাত্ত্বিক জানাইলেন যে, সার আর্থার যদি সত্যই মোটা টাক। সংগ্ৰহ করিয়া থাকেন, তবে তাহ। খুবই আনন্দের কথা । তাই তিনি বলিলেন, “টাকাটা খাটাঙে চান আপনি, সেটা ভাল কথা । কিন্তু তার আগে ঋণের বোঝ। তাল্প করা ভাল নয় কি ? ধরুন, তিনখান তমস্থক রয়েছে, তার স্বদে আসলে বোধ হয়—” sy’ সার আর্থার বলিলেন, “eাজার পাউণ্ড হবে বোধ ৩য় । সেদিন আপনি আমাকে হিসেব দিয়েছিলেন ।” *সার অর্থার, তা ছাড়া আরো একটা সুদ আছে । মোটমাট তাতে হবে বোধ হয় ১১শ ১৩ পাউণ্ড, ৭ শিলিং ৫ পেন্স : আপনি নিজেই একবার ঠিক দেখে দেবেন ।” হিসাবের খাতাখানা সরাইয়: দিয়ু সার আর্থার বলিলেন, “ও হিসেব খুব ঠিক আছে, তাতে সন্দেহ নেই । তিন দিনের মধ্যেই আপনার সব টাকা শোধ তয়ে যাবে,অবশু যদি ধাতু-মান হিসেবে আপনি নিতে চান ।” “ধাতু-মন ! আপনি বুঝি সাসের কথা বলছেন ? তা হলে কি আপনি সীসের খনির সন্ধান পেয়েছেন নাকি ? কিন্তু হাজার পাউণ্ডের সীসে নিয়ে আমার লাভ কি ? “ধাতুমান মানে আমি বলছি সোন ও রূপে। " “তাই না কি ! তা ওসব জিনিষ আমদানী হচ্ছে কোথা থেকে ?” সার আর্থার বেশ বিজ্ঞভাবে বললেন, “বেশী দূর থেকে নয়। আপনাকে সব ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলি শুনুন ।" প্রত্নতাত্ত্বিক বলিলেন, “কি, বলুন ত " "আপনি বন্ধুভাবে আমাকে একশ পাউণ্ড আগাম দেবেন i” যে অর্থ এতদিন তিনি ধার দিয়া তাহার পুনঃপ্রাপ্তি সম্বন্ধে নিরাশ হইয়। পড়িয়াছিলেন, তাহা ছাড়া আবার এক শত পাউণ্ড ধার দিবার কথায় তিনি ওষ্ঠাধর বিস্ফারিত করিয়া বসিয়া রহিলেন । তিনি শুধু কথাটার প্রতিধ্বনি করিলেন, “একশ পাউণ্ড আগাম * সার আর্থার বলিলেন, “হ্যা, প্রিয় ༢སྐ ভাই । Aున তবে দু'তিন দিনের মধ্যেই ফেরৎ পাবেন, এই কড়ারে " প্রত্নতাত্বিক উত্তর দিতে পারলেন না, শুধু নীরবে ষ্ঠা করিয়ু। রছিলেন । সার আর্থার বলিযু চলিলেন, “আমার অর্থলাভের বিশেষ প্রমাণ না পেলে, এ প্রস্তাব আমি আপনার কাছে করতাম না । আপনি আমার দীর্ঘ দিনের চিন্তৈনী বন্ধু, তাই আপনার কাছে সব কথা প্রকাশ করলাম !” প্রত্নতাত্ত্বিক ঘাড় নাড়িম। সবই স্বীকার করিলেন । তবে টাকার কথায়ু কোনও প্রক্তিশতি দিলেন না । সার আর্থার বলিলেন, “:ম: ডাউঃারসউক্টভেল, আবিস্কার করার—” ওল্ডবকের নয়ন-যুগল ক্রোধে জ্বলিয়া উঠিল । ঙিনি বলিলেন, “সার আর্থার, আমি ঐ বদমাস লোকটার সম্বন্ধে কত দিন আপনাকে সতর্ক ক’রে দিয়েছি । তবু আপনি ওর কথা আমার কাছে উল্লেখ কবৃছেন ?” সার আর্থার বলিলেন, “শুনি আগে সব কথাটাই শুনুন । শুনে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। ংক্ষেপে বলিডাউষ্টারসউস্টভেল, সেন্ট রুথ ধ্বংসস্তুপে এমন একটা জিনিষ দেখিয়েছিলেন, আমি ত প্রত্যক্ষ করেছি—ত থেকে কি পেয়েছি বলুন গু ?” “আর একট; জলের স্টংস ত ? বদমাসটা আগে থেকে খুঁজে বের করে, তার পর তা দেখিয়েছে,এই ত ব্যাপায় ?”

  • ন!, তা নয় । একটা রূপোর আধার, আর তার মধ্যে রূপোর টাকা, মোহয় । এই দেখুন!”

সার আর্থার পকেট হইতে তামা দিয়! মোড়া একটা বড় ভেড়ার শুঙ্গ বাহির করিলেন । তাহার মধ্যে রৌপ্যমুদ ও কতিপয় স্বর্ণমুদ্র ছিল । সেগুলি দেখিয়া প্রত্নতাত্ত্বিকের চক্ষুযুগল উজ্জ্বল হইয়া উঠিল । "এত দেখছি, স্কচ, ইংরেজ আর বিদেশী টাকা । পঞ্চদশ কি যোড়শ শতাব্দীর মুদ্রা । এ সব কি রুথ ধ্বংসস্তুপে পাওয়া গেছে f" “নিশ্চয় । আমি নিজে প্রতাক্ষ করেছি ।” ওল্ডবক্‌ বলিলেন, “বেশ । এখন বলুন, কোথায়, কখন, কি ভাবে পাওয়৷ গেল !” সার আর্থার বলিলেন,"স্থান সেন্ট রুখ, সময় গত পূর্ণিমা রাত্রিতে । আর পাওয়া গেল জাৰ্ম্মাণ বৈজ্ঞানিকের গবেষণায়ু । সঙ্গে আমি ছিলাম, আর কেউ मन्नु ।”