পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀԳԵ, শাস্তভাবে বসিয়া বসিয়াই ভিখারী বলিল, “দুটো কারণ অাছে। প্রথম কারণ আমি আগেই বলেছি, জামাদের মাটী খুড়বার কোদাল,শাবল কিছুই নেই । দ্বিতীয় কারণ, দিনের বেলা অনেক লোক খোড়া কবর দেখবার জষ্ঠে আসতে পারে । এমন কি, জমিদার নিজেই হয় ত লোকজন পাঠিয়ে কবরটা বুজিয়ে দিতে পারেন । আমরা যদি এখন খুড়বার চেষ্টা করি, ধরা পড়ে যাব । আপনি যদি রাত দুপুরে এখানে আমার সঙ্গে দেখা করেন, আমি যন্ত্রপাতি নিয়ে হাজির থাকুব । আপনি একটা আঁধারে লণ্ঠন নিয়ে আসবেন শুধু। তখন দুজনে নিৰ্ব্বিয়ে কাজ হাসিল করে ফেলব ।” জাৰ্ম্মানের মনে সে রাত্রির ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জাগ্রত ছিল । অবশু লাভের আশা প্রবল হইলেও, শঙ্ক। তাছার মনে ষথেষ্টই ছিল । তাই সে বলিল, “কিন্তু বন্ধু, অত রাত্তিরে ম্যাষ্টিকটের কবরের ধারে আসা নিরাপদ হবে কি ? সেদিন ষে রকম ভূতের দৌরাত্ম্য দেখেছিলাম ! আমার ত ভারী ভয় করছে ।” অবিচলিতভাবে ভিক্ষুক বলিল, “আপনার যদি ভূতের ভয় থাকে, তাহলে ও কাজটা আমি একাই সেরে নেব । আপনি যায়গা বাৎলে দিন, আপনার ভাগটা আমি নিজেই পৌছে দেব ।” “না, ন, প্রিয় বন্ধু, এডি, তোমাকে এক। কষ্ট করতে দেব কেন ? সে আমার দ্বারা হবে না । আমি নিজেই স্বাসৰ –সেই খুব ভাল হবে । আমিই ত ম্যাষ্টিকটের কবর খুজে বার করেছিলাম। সার জার্থারকে কৌশলে ভোলাব বলে, ঐ কবরটার নীচে ঐ জিনিল্পগুলো লুকিয়ে রেখেছিলাম ! সেট শুধু তামাস করবার জন্ত । কবরটা যখন আমিই খুঁড়ে বার করেছি, তখন তার য। কিছু আমিই তার উত্তরাধিকারী । তার ইচ্ছাভেই আমি ওটা খুঁজে পেয়েছি। ভদ্রতার খাতিরে উত্তরাধিকারী হিসাবে জামাকেই এসে জিনিষ পত্তরের ভার নিতে হৰে ” "তা হলে কথা রইল, রাভ বারোটার সময় এখানে দুজনে মিলব । খানিক আমি চৌকি দেব, কেউ যেন ন আসে । তার পর সবাই বাসাতে গিয়ে খেয়ে নেব । রাত্তিরে দেখা হবে ।” “তাই হবে, প্রিয় বন্ধু। ভূত প্ৰেত জড় হয়ে যতই ভয় দেখাক না কেন, আমি আসবই ।” পরস্পর করকম্পন করিয়া বিদায়ু লইল । সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী ՏC —See thou shake the bags Of hoarding abbots; angels imprisoned Sot thou at liberty– Bell, book, and candle, shall not drive me back, If gold and silver becom to come on.— King John. রাত্রিতে ঝড় আরম্ভ হইল । জোরে বাতাস বহিতেছিল, মাঝে মাঝে বুষ্টিও পড়িতেছিল । বৃদ্ধ ভিক্ষুক একটি বৃহৎ ওকবৃক্ষের শাখা ও পত্রবহুল আশ্রয়ে দাড়াইম্বা আপন মনে হাসিয়া উঠিল, “মানুষের মন কি মজার । রাত বারোটায় এই দুৰ্য্যোগে জাৰ্ম্মানটা ধনের লোভে এখানে আসবে । কিন্তু আমি তার চেয়েও বোকা । এখানে আমি তার জন্তে অপেক্ষা করছি।” বৃদ্ধ অঙ্গাবৰণ ভাল করিয়া গায় জড়াইয়। আকাশের দিকে চাছিল । মেঘাচ্ছন্ন আকাশে মাঝে মাঝে ক্ষীণ চাদ দেখ। যাইতেছিল । স্নান আলোক ধ্বংসস্ত,পের উপর পড়িয়াছিল । আবার যখন অন্ধকার ঘনাইয়। আসিতেছিল, তখন কিছুই দেখা যাইতেছিল না । শুধু বিরাট অন্ধকার চারিদিকে ঘনাইয়া উঠিতেছিল । যাহার মনে ভূতের ভয় আছে, এরূপ স্থলে এরূপ দুৰ্য্যোগপূর্ণ রজনীতে এখানে সে প্রতি মুহূর্তে নানা বিভীষিকা দেখিয়া শিহরিয়া উঠিত । কিন্তু অকিলটির মনে ভয় ডর কিছুই ছিল না । সে নিজের যৌবনের কথা ভাবি৩েছিল । সহসা সে লাঠিখানা স্কন্ধদেশে রাখিয় দুই পদ অগ্রসর হইয়। বলিয়া উঠিল, “দাড়াও, কে ওখানে ?” ডাউষ্টারসউইভেল বলিয়া উঠিল, “আমি—আমি, বন্ধু এড়ি । তুমি অমন জোরে কথা বলুলে কেন ?”

  • আমি ভাবছিলাম যে, আমি এখন পাহারায় আছি । শাস্ত্রীর মত কথা বললাম । রাত্তিরটা ভারী খারাপ আজ। আপনি লণ্ঠন এনেছেন ত ? দুটো বুলিও এনেছেন ?”

"র্হ্য, বন্ধু সব এনেছি । এই দেখ ছুটে থলে— একটা তোমার একটা আমার । এ দুটো ভর্তি করে ঘোড়ার পিঠে চাপিয়ে দেব । তা হ'লে তোমাকে আর বোঝ বয়ে কষ্ট করতে হবে না। হাজার হোক তুমি ত বুড়ো হয়েছ ।" o এপ্তি বলিল,"আপনি এখানে একটা খেড়ি। এনেছেন?