দি এ্যান্টিকোয়ারি বা প্রত্নতাত্ত্বিক সে ভাবিতে লাগিল, পাচ বৎসর ধরিয়া যে স্কট ৰ্যারনেটকে নাকে দড়ি দিয়া ঘুরাইয়াছে, সেই লোকটা শেষে জাৰ্ম্মান ডাউষ্টারসউইভেলকে ঠকাইয়া দিল । আচ্ছা, ইহার প্রতিফল সে দিবেই । সে এইরূপ ভাৰিতেছে, এমন সময় একটা ঘটনায় তাহার মন আকৃষ্ট হইল । বাতাসের কাতর দীর্ঘশ্বাস এবং বৃষ্টির ধারাপতন শব ছাপাইয়। অদূরে কোথায় যেন কাহার করুণ শব্দে গান গাহিতেছে । সে গান বা ৰিলাপ শুনিলে মনে হইবে, কোনও নরদেহধারীর আত্মা স্বর্গে প্রয়াণ করিয়াছে, তাহারই উদেশে কাহারা যেন বিলাপ করিতেছে । ডাউষ্টারসউইভেল অন্ধকারে হাতড়াইতে হাতড়াইতে চলিতে চলিতে এই অদ্ভূত ব্যাপারে থমকিয় দাড়াইল । তাছার সমস্ত ইন্দ্রিয় যেন কর্ণেন্দ্রিয়ে কেন্দ্রীভূত হইল। এরূপ নির্জন ংসস্ত,পে এরূপ কাতর বিলাপ কোথা হইতে আসিতেছে ? সে দেখিল, অদূরে যে ধ্বংসপ্রায় ধৰ্ম্মমন্দির রহিস্বাছে, তাহার লৌহ-রেলিং-বেষ্টিত দ্বারপথ দেখা যাইতেছে । সে দকে দৃষ্টিপাত করিতেই সে দেখিতে পাইল, লৌহদণ্ডগুলির অবকাশপথে রক্তবর্ণ আলোকশিখা দেখা যাইতেছে ; কি করিবে স্থির করিতে না পারিয়া ডাউষ্টারসউইভেল চুপ করিয়া দাড়াইল । তার পর অকস্মাৎ বেপরোয় ভাবে সে যেখান হইতে আলোকশিখা নির্গত হইতেছিল, সেই দিকে অগ্রসর হইল । কেহ তাহাকে দেখিতে পাইল না । কিন্তু ভিতরে কি হইতেছে, তাই। সে দেখিতে পাইল । যে সঙ্গীতধ্বনি হুইঙেছিল, তাহা অকস্মাৎ থামিয়া গেল । চারিদিকে গাঢ় নিস্তব্ধতা বিরাজ করিঙে লাগিল । সে দেখিল, ভিতরে একটি কবর খোড়া হইয়াছে —একটি শবাধার সম্মুখে রক্ষিত । একজন ধৰ্ম্মযাজক গ্রন্থ হস্তে দাড়াইয়া, তাহার একজন সঙ্ককারী জলপূর্ণ পাত্র লইয়। জল ছিটাইৰার জন্ত উদ্যত । একজন দীর্ঘাকার মানুষ, শবাধারের কাছে দাড়াইয়া । র্তাহার দেহে শোকবন্ত্র । অদূরে দুই তিন জন পুরুষ ও নারী শোকবস্ত্রাবৃত হইয়া নঙশিরে দণ্ডায়মান । আরও কিছু দূরে ৫/৬ জন অনুরূপ বেশধারী লোক— প্রত্যেকের হাতে একটি করিয়া মশাল জলিতেছে । ধূমায়মান মশালের আলোকে সমস্ত দৃপ্তটা মুস্পষ্ট দেখা ৰাইতেছিল না বলিয়া মনে হইতেছিল, অনেক গুলি মূৰ্ত্তি প্রেভের স্থায় নিঃশব্দে দাড়াইয়া রহিয়াছে। ধৰ্ম্মৰাজক স্বল্পষ্ট স্বরে ধৰ্ম্মগ্রন্থ হইতে কি, পড়িতে লাগিলেন ১ জাৰ্ম্মানটি এই দৃপ্ত দেখিয়া రిe لاسوقه ভাবিতেছিল, সে যাহ। দেখিতেছে, তাছা ভৌতিক ব্যাপার নহে ত ? সে শেষ পৰ্য্যস্ত দেখিবে, না গুহাপথে অন্ত দিক দিয়া চলিয়া যাইবে, তাছা স্থির করিতে ন পারিয়া নিশ্চলভাবে দাড়াইয়া রছিল । ভিতরের লোকরা এইবার ষেন তাহাকে দেখিতে পাইল ; ষে প্রথম দেখিয়াছিল, সে শবাধারের সন্নিহিত দুই ব্যক্তিকে ইঙ্গি করিল । তাহার নিঃশব্দে অগ্রসর হইয়া লৌহদণ্ড-মণ্ডিত দ্বার খুলিয়া বাহিরে আসিল । উভয়ে জাৰ্ম্মানের দুই বাহু ধারণ করিল। ঈষৎ বলপ্রয়োগ করিয়াই তাহার ডাউষ্টারসউইভেলকে ভিতরে টানিয়া লইয়া গেল । ভয়ে জাম্মান দার্শনিক বাধা দিতে সাহস করিল না । সে কিন্তু বুঝিল মানুষের সন্নিধানেই সে আসিয়াছে —ভূতের হাতে পড়ে নাই। ইষ্ঠাতে সে অনেকটা নিশ্চিস্ততার তৃপ্তি অনুভব করিল । প্রার্থনা শেষ ন৷ হওয়া পর্যস্ত সে চুপ করিয়া রহিল । প্রার্থনার স্তোত্র সমাপ্ত হইবার পর একজন বলিয়া উঠিল, “এ কি, মি: ডাউষ্টারসউইভেল যে ! আপনি আমাদের ব্যাপারটা সব দেখেছেন ত ? ও রকম করে উকি ঝুকি মারছিলেন কেন, বলুন ত ?” জাৰ্ম্মান বলিল, “সত্য করে বলুন, আপনার কারা ?” “আমরা কারা । কেন, আমাকে জানেন না ? আমার নাম রিংগান আইকৃউড নকউইকনকের বনের রক্ষক আমি । আপনি এখানে এ সময়ে কি করছিলেন ? আপনি ত লেট্রী মহোদয়ার অস্ত্যেষ্টিক্রিয়ায়ু যোগ দিতে আসেন নি ?” “মি: আষ্টক্ উড, আমি বল্ছি যে, আজ রাতে আমাকে খুন করে, লুঠ করবার চেষ্ট হয়েছিল ।”
- আপনার ওপর ডাকাতি হয়েছে ? এখানে সে কাজ কে করলে ? আপনাকে খুন করেছে ? তবে কথা বলছেন কি করে ? মি: ডাউষ্টারস উইভেট, কে আপনাকে ভয় দেখিংেছে ?”
- বলছি আপনাকে •ী গাড়নপর বদমাস এড়ি আকিলা ট্র।"
রিংগান বলিল, “আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারি নে। আমি এডিকে অনেক দিন ধরে জানি, আমার বাবার সঙ্গে ও প্রার পরিচয় খুব ছিল । এডি ভারী ধম্মভীরু ভাঙ্গ লোক ! ত{ ছাড়া সে ত আমার গোলাবাড়ীতে ঘুমুচ্ছে দেখে এসেছি। রাত দশটা থেকে ত সে সেখানে আছে ! আপনার গায় আর cগই হাত তুলুক, এডি অকিল ট্র তোলে নি, এ আমি বলুতে পারি ”