পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দি এ্যাণ্টিকোয়ারি বা প্রত্নতাত্ত্বিক ওল্ডৰক বলিলেন, “পাড়া-প্রতিবেশীদের খবর দেও। ওর কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিতে পারলে ভাল হত ! কিন্তু ভগবানের স্ব অভিপ্রেঙ তাই হবে । উপায় কিছু নেই!” কুটীর হইতে সকলে বাহির হুইয়া প্রতিবেশীদিগকে আকস্মিক বিপৎপাতের কথা জানাইলেন । প্রবীণার তৎক্ষণাৎ সেখানে উপস্থিত গুইয়া বৃদ্ধার দেহকে সমৃত্বে শয্যায় শোয়াইয়া দিল । পল্লীর সকলেরই সে মা ভার স্বরূপ ছিল । ওল্ডবক্‌ বুদ্ধার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করিবার অভিপ্রায় প্রকাশ করিলেন । এলিসন ব্রেক বৃদ্ধারই প্রায় সমবয়স্ক—কিছু ছোট । সে বলিল, “হুজুর, আমাদের বুক চাঙ্গা রাখবার জন্য কিছু পাঠিয়ে দিলে ভাল হয় ৷ ষ্টিনের কবরের সময় ঘরে যা জীন্‌ মদ, ছিল সব ফুরিয়ে গেছে । সগুীর গরীব, তার ঘরে আর কিছু নেই । এখন বুড়ীর পাশে শুধু মুখে বসে থাকা চলুবে না, তাই বলছি । যুবকল্পসে এলসপেথ খুব চতুর ছিল, কিন্তু তার সম্বন্ধে দু’একটা কথা শোনাও যে না গেছে, তাও নষু | অবশ্য মরা মানুষের সম্বন্ধে কোন খারাপ কথা বলা উচিত নয় ; তবে ক্রেগবরণফুট থেকে এক জন লেডী ও র্তার শিশু পুঞ্জের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে একটা কথ; রটেছিল । য! হোক, হুজুর আমাদের ঠোট ভিক্তোবার মত কিছু পাঠিয়ে দিন ।” ওল্ডবৰু বলিলেন, “তোমাদের জন্য কিছু হুইঙ্গি পাঠাচ্ছি, কিন্তু মড় পাহার তোমাদের দিতে হবে, তা বলে রাখলাম । দেখছ, হেকটর, এ প্রণাটা र्थंiछिं টিউটনিক্‌ o হেক্টর আত্মগতভাবে বলিল, “মাম যে রকম, তাতে গাটি টিউটনিক্‌ কোন লোক এসে চাইলে, র্তার মঙ্কবারনস্টাই দিয়ে ফেলতে পাবেন!” এদিকে ওল্ডবক্‌ তাহাদিগকে আর ৪ কিছু উপদেশ দিতেছিলেন । এমন সময় সার আর্থারের নিকট হইতে এক জন ভৃত্য দ্রুত অশ্বধাবন করিয়া আসিতেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিককে দেখিয়াই সে অশ্ব থামাইল । তার পর ব্যস্তভাবে বলিল, “দুর্গে কোন অভাবনীয় ব্যাপার ঘটেছে, মশাই । তাই মিস্ ওয়ারভুর তাড়াতাড়ি আপনার কাছে আমাকে পাঠালেন। মুহূৰ্ত্ত বিলম্ব না করে আপনাকে সেখানে যেতে হবে, হুজুর " কিন্তু কি ঘটিয়াছে, তাহ সে কিছুই বলিঙে পারিল না, বা বলিল ৱ । o రిపి( প্রত্নতাত্ত্বিক বলিলেন, “ভয় হচ্ছে, তারও বোধ চয় শেষ হয়ে আসছে । আমি কি কৰ্ত্তে পারি ?” স্বাভাবিক অীরভাবে হেক্টর বলিল, “আপনি কি করতে পারেন ? ঐ ঘোড়াটার পিঠে চেপে বসে বাড়ীর দিকে মুখ ক্ষেরঃন—দশ মিনিটে আপনি নকটই কনক দুর্গে পৌঁছে যাবেন " অশ্বপুষ্ঠ তইন্ধে অবতরণ করিয়া, ভূত্য জিন ও রেকাব সুবিন্যস্ত করিতে করিতে বলিল, “ঘোড়া খুব শাস্ত—আপন মনেই ছুটে বাবে বোঝা খুব ভারী বোধ হলে সে একটু টানাটানি করে " প্রত্নতাত্ত্বিক বলিলেন, “বন্ধু, ওর ওপর চড়লেই আমি ভারী বোঝার মত নীচে পড়ে সাব । হেক্টর, তুমি কি আর আমাকে সহ করতে পারছ না ন। কি ? না, ন, বন্ধু, আমাকে আজ যদি নকৃউইকনক দুর্গে যেতেই হয়, ছেঁটেই যাব—পোড়ার পিঠে চড়ে নয় : তাতে আমি খুব ভাড়াতাড়িই যেতে পারব । ক্যাপ্টেন ম্যাকইনটায়ারের যদি অভিরুচি হয়, তিনি ঘোড়ায় চেপে যেঙ্গে পারেন ।” “আমি সেখানে গিয়ে কি উপকারে লাগব, মামা ? তবে তাদের বিপদে আমি সহানুভূতি দেখাতে খুবই ইচ্ছুক। তবে ভাই যাই । ঘোড়ায় চেপে আগে গিয়ে আমি তাদের জানিয়ে দেই, আপনি আসছেঃ বন্ধু, তোমার কঁাটাগুলো দাও, জুতোয় পরে নেই।” "তার দরকার হবে না, আর পথে ও ঘোড়া কোন রকম দুষ্টামি করে মা " তথাপি সে কাটা পুলিয়া ম্য; কষ্টনটায়ারের জুতায় যথাস্থানে বসাইয়। দিল ; এই দ্রষ্ঠ দেখিয় ওল্ডবক্‌ বিস্মিত হইলেন, বলিলেন, “তুমি কি, ক্ষেপেছ, হেকটর ? কুইনটস্ কটিয়সের উপদেশ এর মধ্যে ভুলে গেলে ন! কি ? তুমি সৈনিক পুরুষ, স্টার কথা গুলে! তোমার ভোল৷ দৃচিত নয় মনে রেখ, কীট। সব সময় দরকার হুয় আমি তার সঙ্গে যোগ করে এই কথা বলি যে, তাতে বিপদ ও ঘটে " কিন্তু হেক্টর কুষ্টণ্টস কটিয়লের মতামতের অপেক্ষ রাখিল ন! ! মামার কথাতেও কর্ণপাত করিল না । সে শুধু বলিল, “ভয় নেই, মামা ! .কম ভয় নেই ।” অশ্ব ও অশ্বারোঙ্গী মূখন চলিয়া গেল, তখন সেই দিকে চাহিয়া প্রত্নতাত্বিক বলিলেন, “ঠিক জুড়ি মিলেছে, দুজনের ; একটা পাগল ঘোড়া, আর একটা ক্ষ্যাপী ছেলে । সার খৃষ্টান-জগতে এরাই অবাধ