পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/৩৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২৬ জীব ! যেখানে কেউ তাকে চায় না, সেখানে আধ ঘণ্ট। আগে পৌছাবে, এইমাত্র উদ্দেগু ! আমার সন্দেহ হচ্ছে, সার আর্থারের যে বিপদ, তাতে এ রকম হাল্কা মনের অশ্বারোহীর কোন প্রয়োজন নেই। ডাউষ্টারসউইভেল কোন রকম শয়তানী চাল চেলেছে। অথচ তার জন্ত সার আর্থার কি না করেছেন। যতটুকু দরকার, তার বেশী কারও কিছু করতে নেই, ঐ উপদেশ সার আর্থার মানেন নি * আত্মগতভাবে ঐ প্রকার আলোচনা করিতে করিতে বালিয়াড়ির উপর দিয়া মঙ্কবারনস্ নকৃউইকনক অভিমুখে পদচারণা করিলেন । ইতিমধ্যে আমরা তাহাকে অতিক্রম করিয়া দুর্গে উপস্থিত হইয়া দেখি, কেন তাহাকে এমন তাড়াতাড়ি আহবান করা হইয়াছে । を> So, while the Goose, of whom the fable told, Incumbent, brooded O'er her eggos of gold, With hand outstretched, impatient to destroy, Stole on her secret nost tho crucl Boy, Whose gripe rapacious changed her splendid dream, —For wings vain fluttering, and for dying scream. The Loves of the Sea-weeds. ম্যাষ্টিকটের কবর হষ্টতে উত্ত্বোলিত ঐশ্বৰ্ষা-প্রাপ্তির সময় হইতে সার আর্থার এত উল্লসিত হইয়া উঠিয়াছিলেন যে, তাঙ্গার স্থিরবুদ্ধির অভাব ঘটিয়াছিল । বাস্তবিক অনেক সময় তাহার কন্যার মনে হষ্টত ষে, তাহার পিতার বুদ্ধিশক্তির অপতৃণ ঘটিয়াছে । তাহাতে কন্যার মনে অভ্যস্ত শঙ্কাও জাগিয়াছিল । তাহার মনে এমন ধারণ জন্সিয়াছিল যে, অতুল লুক্কায়িত ঐশ্বর্য পাইবার গোপন তত্ত্ব র্তাহার অধিকারে আসিয়াছে। এই ভাবের দ্বারা চালিত হইয়। তিনি ষে সব কথা কহিতেন, ধী ভাবভঙ্গী প্রকাশ করিতেন, তাহাতে ইহাই বুঝাইত যে, তিনি যেন স্পর্শমণির সন্ধান পাইয়। গিয়াছেন । কথাচ্ছলে তিনি প্রায়ই বলিতেন যে, আশপাশের সমুদয় সম্পত্তি তিনি কিনিষ্ক ফেলিবেন । সমুদ্র ব্যতীত দ্বীপের কোনদিকে আর কাহারও সম্পত্তি থাকিতে দিবেন না । সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী এইরূপ মনোভাব লইয়া তিনি একজন প্রসিদ্ধ স্থপতি শিল্পীর সহিত পত্রব্যবহার করিতেছিলেন । পূৰ্ব্বপুরুষদিগের দুর্গকে নবভাৰে গঠন করাই তাহার সংকল্প । এই দুর্গ যাহাতে উইণ্ডসর প্রাসাদের মত চমৎকার ও মনোরম হয়, তিনি তাহারই স্বপ্ন দেখিতেছিলেন । কল্পনানেত্রে তিনি সুবেশ তকমাধারী সেনাদলও দেখিতেছিলেন—তাহারা তাহার প্রাসাদ-দুর্গ পাহারা দিবে, তাহার গৌরব ঘোষণা করিবে । অসীম ধনরত্বের মালিক হইলে কি না করা চলে ? তিনি ভাবিতেছিলেন, মার্ক্যুইস বা ডিউকের ন্যায় শিরোভূষণও তাহার দখলে আসিবে না কে বলিল ? কন্যাকে কোন পাত্রে অর্পণ করবেন, তাহাও তাহার কল্পনায়ু দেখা দিত। রাজকীয় রক্তসম্বন্ধবিশিষ্ট অভিজাত বংশে কন্যাকে বিবাহ দিবেন, এরূপ আশা র্তাহার মনে বদ্ধমূল হইয়াছিল। এই ভাবে অলীক কল্পনারাজ্যে তিনি বিচরণ করিতেছিলেন । সার আর্থারকে বাস্তবতার রাজ্যে অনিয়ন করা অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার । সে দিন-যেদিন সকালে গুপ্তধন আবিষ্কৃত হয়—সেদিন মি: ওল্ডবকের সঠিত সার অর্থার লভেলের ঠিকান সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছিলেন, মিস ওয়ারভুর তাহ শুনিয়াছিলেন । কিন্তু লভেল সম্বন্ধে কোন প্রকার অনুসন্ধানে সার আর্থার ধ্যাপুত হন নাই। বরং তিনি কেবলই অফুরস্ত ধনসম্পদের স্বপ্ন দেখিতে লাগিলেন-সেইভাবেরই আলোচনা করিতে লাগিলেন । ভার পর যখন ডাউষ্টারসউষ্টভেল দুর্গে আনীত হইল, উভয়ের গোপনে রুদ্ধ-দ্বারকক্ষে আলোচনা চলিতে লাগিল, সার আর্থার জাৰ্ম্মানটার ক্ষতি পোষাইয়া দিলেন—তখন মিস ওয়ারডুর সত্যই অভ্যস্ত চিন্তিত হইয়া পড়িলেন । র্তাহার মনে পূৰ্ব্ববধিই এই জাৰ্ম্মানটার সম্বন্ধে সন্দেহ জন্মিয়াছিল । তিনি যখন দেখিলেন, গোপন আলোচনার পর র্তাঙ্গার পিতা কেবলই গুপ্তধন লাভের স্বপ্ন দেখিতে লাগিলেন এবং ষে ধন-রত্ন আন্ধত হইয়াছিল, তাহার অধিকাংশ জাৰ্ম্মানটার ভাগে পড়িতে লাগিল, তখন তাহার মনে সন্দেহ চতুগুণ বৃদ্ধি পাইল । উভয়ের গোপন দেখা-সাক্ষাভের পর হইতে নানা প্রকার অশুভ ব্যাপার ঘটিতে আরম্ভ করিল। ডাকযোগে প্রত্যহ ষে সব চিঠিপত্র আলিতে লাগিল, সার আর্থার তাছ। খুলিয়া পড়িয়া না দেখিয়াই অগ্নিতে নিক্ষেপ করিতে লাগিলেন। মিস ওয়ারভুরের ধারণ বদ্ধমূল হইতে লাগিল যে, ঐ সকল পত্র