পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سرایان: ۹ শান্তভাবে কথা বলিলেও, তাকার কণ্ঠে উত্তেজনার অভাব ছিল না । ‘ মিস ওয়ারভুর তাহার, মুদ্রাধার পিতার হস্তে অর্পণ করিলেন । সার আর্থার নোটগুলি বাছির করিয়া পুনঃ পুনঃ গণনার চেষ্টা করিলেন, কিন্তু প্রতিবারই তাহার গণনায় ভুল হইতে লাগিল । অবশেষে সমস্ত টাকা কন্যার দিকে নিক্ষেপ করিয়া কঠোর স্বরে তিনি বলিলেন, “রাস্কেলটার মাইনে চুকিয়ে দেও—এখুনি যেন ও আমার দুর্গ থেকে চলে যায় ” সঙ্গে সঙ্গে তিনি কক্ষ হইতে নিষ্ক্রাস্ত হইয়া গেলেন। গুহকৰ্ত্তার উত্তেজনা ও ক্ৰোধ দেখিয়া মিস্ ওয়ারভুর এবং তৃত্য উভয়েই বিশ্বয়ে নিৰ্ব্বাক ইয়। দাড়াইয়া রছিল । “আমার যদি সত্যি কোন দেয থাকৃত, আমি সার আর্থারের কথায় কোন উত্তর দিতাম না । অনেক দিন তার চাকরী করছি । চিরদিনই তিনি আমার ওপর সদয় ছিলেন । আপনার দয়া ও আমার ওপর কম নয়। তাড়াতাড়ি উনি বলে গেলেন বলেই আমি এখুনি চলে যাচ্ছি না, ম্যাডাম । মাইনের কথা বলাটা আমার খুব খারাপ হয়েছে । এরকম কথা শুনে ওঁর বিরক্ত হবারই কথা । এরকম ভাবে এ বাড়ী ছেড়ে আমাকে যেতে হবে, কখনো আমি ভাবিনি, ম্যাডাম " মিস ওয়ারভুর বললেন, “রবার্ট, তুমি এখন নীচে যাও । বাবার বিরক্তিকর কিছু ঘটেছে বুঝতে পারছি । তুমি নীচে যাও, ঘণ্টা বাজালে এলিককে সাড়া দিতে বল " লোকটা চলিয়া গেলে সার আর্থার সেখানে ফিরিয়া আসিলেন । এতক্ষণ তাহার প্রস্থানের প্রতীক্ষায় তিনি ছিলেন ! টেবলের উপর তখনও নোটগুলি বিক্ষিপ্ত রঙ্কিয়াছে দেখিয়া সার আর্থার বলিলেন, “এর মানে কি ? ও কি চলে যায়নি ? আমাকে কি কেউ মানবে না ? চাকরে ও নয়, মেয়েও নয় ?” “সে সর্দার-চাকরকে তার কাজকৰ্ম্ম, জিনিষপত্র বুঝিয়ে দিতে গেছে—আমিও ভেবেছিলাম, এত তাড়াতাড়ি না হলেও চলবে ।” কন্যাকে বাধা দিয়া পিত৷ বলিলেন, "ভাড়াতাড়ির দরকার আছে, মিস ওয়ারভুর। এখন থেকে আমার পূৰ্ব্বপুরুষদের এই বাড়ীতে ষা কিছু করব, সব তাড়াতাড়ি—বিলম্ব করে নয় । নইলে সে কাজ করবই म !' সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী আসনে খসিয়া তার পর তিনি চায়ের পাত্রে চা ঢালিবার উপক্রম করিলেন । তিনি ধীরে ধীরে চা পান করিতে লাগিলেন—ষেন সমাগত পত্রগুলি যত বিলম্বে খোলা যায় ততই ভাল । মাঝে মাঝে তিনি চিঠিগুলির দিকে চাহিতেছিলেন । যেন এখনই পত্রগুলি সজীব হইয় তাহার উপর ঝাপাইয়ু পড়িবে। পিতার ভারাক্রান্ত মনটাকে বিষয়াস্তরে আকৃষ্ট করিবার জন্য মিস ওয়ারডুর বলিলেন, “বাবা, আপনি শুনে মুখী হবেন ষে, লেফটেনাণ্ট টাফরৗলের জাহাজ লিথবন্দরে নিরাপদে প্রবেশ করেছে—জাহাজখানা সম্বন্ধে আগে খারাপ সংবাদ এসেছিল—এখন আসল খবর বেরিয়েছে। এটা আননের সংবাদ * “কিন্তু টtফরিল ও তার জাহাজের সঙ্গে আমার সম্বন্ধ কি ?” মিস ওয়ারভুর এই কথায় বিস্ময়ে বিমূঢ় হইলেন । তিনি জানেন, তাহার পিঙ দিনের সাধারণ ঘটনাটি পর্যন্ত আগ্রহে পাঠ করিয়া থাকেন । তাই তিনি বলিয়। উঠিলেন, “বাব৷ ” সার আর্থার নিজের কথার পুনরুক্তি করিয়া বলিলেন, “আমি বলছি, কে বাচলে বা মলে, তাতে আমার কি ? আমার তাতে কি আসবে বল ?” “আপনি যে খুব কাজে ব্যস্ত, তা আমি জানতামন, সার আর্থার । আমি ভেবেছিলাম, মিঃ টাফারল যখন এমন বীর এবং আমাদের এখানকারই লোক, তখন আপনি হয় ত গুনে সুখী হবেন যে—“ “সখী আমি খুব হয়েছি—যতদূর সম্ভব খুশী হয়েছি—আর তোমাকে সুখী করবার জন্য আমার সম্বন্ধে কতকগুলো ভাল খবর তোমাকে শোনাব।" একখানি পত্র তুলিয়া লইয়া তিনি কছিলেন, “কোনখানা আগে খুলব, সে বিবেচনারও দরকার নেই—সব চিঠিরই এক স্বর।” তাড়াতাড়ি গালামোহর খুলিয়। একবার তাড়াতাড়ি চিঠির উপর চক্ষু বুলাষ্টয়া উহ। কন্যার হাতে দিলেন, বলিলেন, "এত খুমীর খবর আছে, পড়ে দেখ * ভয়ে মিস ওয়ারভুর নীরবে রছিলেন। তার পর পত্রখানি তুলিম লইলেন । পিতা বলিলেন, “পড়—চেচিয়ে পড়! সব সমন্ধ এমন পড়বার চিঠি পাৰে না। অন্ত ভাল খবরেঃ সংবাদও এই চিঠি থেকে কাল পাবে।” স্বলিভকণ্ঠে কন্যা পড়িলেন, “প্রিয় মহাশয় ।” *:শান, শোন, আমাকে প্রিয় মহাশয় পাঠ লিখেছে । এক বছর আগে যে আমার চাকরদের