পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দি এ্যান্টিকোয়ারি বা প্রত্নতাত্ত্বিক আইন অপেক্ষ হেক্টর কামানের গোল কেমন করিয়া ছুড়িভে হয়, তাছাই ভাল বুঝিত। সে উপেক্ষা ভরে সবই দেখিল। লোকট। যখন বলপূর্বক সরকারী কাজে বাধা দেওয়ার বিবরণ লিখিতে বসিল, তখন হেক্টর তাহাতে দুকূপাতও করিল না ! কিন্তু ঠিক এই সময়ে, হাইল্যাণ্ড সৈনিককে ঘোর विनखि झझेठ ब्रक्र कब्रिबांब्र छछ रुरुनरुलांtब প্রত্নতাত্ত্বিক তথায় আসিয়া পৌষ্ঠিলেন । র্তাহার রুমাল তখন টুপীর নীচে গোল তাল পাকাইয়া গোজা রহিয়াছে, তাঙ্গার পরচুণা লাঠির শেষপ্রান্তে লুটাইতে ছিল । মাথার টুপী হবিগুস্ত করিম্ভে করিতে প্রত্নতাত্ত্বিক বলিলেন, “কি, কি হয়েছে এখানে ? আমি তাড়াতাড়ি ছুটে আসছি, কি জানি, হেক্টর হস্ত পাহাড়ে ধাক্কা খেয়ে পড়েছে—যে জোরে তুমি ঘোড়া ছু-৮৮ চ্ছিলে এখানে এসে দেখি তুমি সুইপক্লিমের সঙ্গে ঝগড় বাধিয়ে বলেছ । শোন হেকটর । সরকারের কৰ্ম্মচারীরা সীল মাছের চেয়েও ভীষণ শত্ৰু, একথাটা ভাল করে জেনে রেখ 1" হেক্টর বলিল, “ফোকা বা সীল মাছ চুলোয় যাক্ । তা যে রকম ফোকা—দৗলষ্ট হে" না কেন ? এইরকম বদমাস লোক একজন ভদ্রমহিলাকে অপমান করছে, এ দৃপ্ত দেখলে আপনি কি চুপ করে থাকতে পারতেন, মাম ? ও রঞ্জার কৰ্ম্মচারী বলে কি মিস ওয়ারভুরের মত সন্ত্রান্ত ঘরের মেয়েকে অপমান করবে ? অার তা কি চুপ করে বসে দেখা যায় ! বলুন আপনি !” প্রত্ন তাত্ত্বিক বলিলেন, “তোমার যুক্তি অমোঘ, কিন্তু রাজা, অঙ্গ লোকের মত যখন তখন যা ত! কাজ করবার জন্য লোক পাঠিরে থাকেন । যে সব লোক করতে আসে, তোমার মতে তারা যাচ্ছে তাই লোক । তুমি রাজা উইলিয়ম্, র্যাকে সিংহ বলা হত, তার বিধান যে কি তা জান মা ! তাতে আছে যে তার লোককে অপমান করা ও যা, আর রাজাকে অপমান করাও তাই । তার দোহাই দিয়েই সব রাক্তকার্য্য চলে। আজ তোমাকে পষ্ট করে একথা সকালবেল বুঝিয়ে দিয়েছিলাম । রাজকৰ্ম্মচারীর কাজে বাধা দেওয়া মানে রাজবিদ্রোহ করা । এসব কাজে যারা সাহায্য করে, তারাও বিদ্রোহী বলে গণ্য হবে । যাক, আমি তোমাকে এ হাঙ্গামা থেকে রক্ষা করছি ।” প্রত্নতাত্ত্বিক অতঃপর , রাজ-কৰ্ম্মচারীর বা আদালতের পেয়াদাকে ডাকিয় কি বলিলেন : তাহাকে আসিতে দেখিয়া সে ভাবিয়াছিল, দরখাস্ত も、○○ করার ফলে তাহার লাভ হইবার ষে অাশা ছিল, তাঁহা । আর মিটিবে না । সুতরাং সে লেখা বন্ধ করিয়াছিল । মি: ওল্ডবকের বাক্যে আশ্বস্ত হইয়া সে রবার্টকে গাড়ীঘোড়া ছাড়িা দিল । কথা ছিল, দুষ্ট ভিন ঘণ্টার মধ্যে রবার্ট গাড়ী-ঘোড় ফিরাইয়া আনিবে । প্রত্ন তাত্বিক তার পর বলিলেন, “তুমি যখন এগুট ভদ্রব্যবহার করলে, তোমাকে আর একটা ভাল কাজের ভার দিচ্ছি—এতে একটু রাজনীতিক গন্ধ আছে—এ অপরাধ খুব বড় জিনিষ । বুঝেছ, সুইপক্লিন ? এটিকে এস, শোন !" পাচ মিনিট ধরিয়া ফিস্ ফিস করিয়া ওল্ডংকৃ পেয়াদাকে কি উপদেশ দিলেন । তার পর এক টুকরা কাগজে পি লিখিয়া তাহার হস্তে সমর্পণ করিলেন । পেয়াদ। তখন অশ্বারোহণপূৰ্ব্বক্ষ একজন সক্তিসহ সেখান হষ্টতে চলিয়। গেল । যে ব্যক্তি অবশিষ্ট রছিল, সে তাতার বাকি কাজ ধীরে সুস্থে করিতে আরম্ভ করিল। ইচ্ছাপূৰ্ব্ব ক্ষই এই বিলম্ব। এখন ত ভাঙ্গার কাজ পরিদর্শন করিবার জন্য ইন্সপেক্টর নাই । এদিকে প্রত্নতাত্রিক ভাগিনেয়কে হাত ধরিয়া টানিয়া লইয়া অট্টালিকার মধ্যে প্রষেশ করিলেন । উভয়ে সার আর্থারের কক্ষে প্রবেশ করিলেন । অপমান ও লজ্জায় সার আর্থার অভিভূত হইয়া, ছিলেন । তাষ্ঠীর গবের আজ প্রচণ্ড আঘাত্ত লাগিয়াছে । তিনি মনের যন্ত্রণা সংগোপন করিবার জন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করিতেছিলেন । ইহাতে দৃগুটি খুবই যন্ত্রণাদায়ক বলিয়। প্রত্নতাত্ত্বিকের মনে হুইল । সার আর্থার বন্ধুকে অসিতে দেখিয়া উত্তেজনা ও দুঃখের যন্ত্রণ গোপন করিবার প্রচেষ্টায় হাত বাড়াইয়া বলিলেন, “মি: ওল্ডবকৃ, আপনাকে দেখে সুখী গুলাম ] ভাল সময়েই হোক, বা দুদিনেই হোক, আমার বন্ধুদের দেখলেই আমার মনে আনন্দ হয় । আপনাকে পেসে ভল্পেী আনন্দ হচ্ছে । আপনি বোধ হয় ঘোড়ায় চড়ে এসেছেন । এই গোলমালে আপনার ঘোড়ার যত্ন হচ্ছে ত? আমার বন্ধুদের বোড়ার যাতে যত্ন হয়, সেদিকে আমার লক্ষ্য বরাবর ! এখন বন্ধুর ঘোড়া গুলোর উপর যত্ন নেবার খুব সুবিধা হবে । কারণ, ওরা আমার একটা ঘোড়াও রেখে যাবে না হি । হি ! হি! মিঃ ওমণ্ডলক ।” বিদ্রুপ বা রহস্থ করিবার এই প্রচেষ্টার ফলে সত্যই সার আর্থারের হাস্য নির্গত হইল না । সে হাস্য যেন অঙান্ত স্নান ও আস্তরিকতা-বর্জিত মনে হুইল