পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ტტ\9 প্রত্নতাত্ত্বিক বলিলেন, “তাহলে আমাদের যেতেই হবে ।” দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া সার আর্থার বলিলেন, "কারাগারে । তাতে কি হয়েছে ? সেও একটা বাড়ী-বাড়ী ছাড়া ত থাকুবার যে নেই। যদি ৰাভের ব্যায়ারামই হত, তাকেও এড়াবার উপায় নেই —নইউইক্রনকে থাকলেও হত । এটাকে বাতের আক্রমণ বলে ধরা যাক না ।” প্রসন্নতার ভাণ করিয়া মুখে কথাগুলি বলিলেও, র্তাহার চক্ষু অশ্রপুর্ণ হইল—কণ্ঠস্বর স্বলিত। বুঝা গেল, বাহ প্রসঙ্গতার আবরণে কতখানি মৰ্ম্মাস্তিক বেদন তাহাকে বিচলিত করিয়া তুলিয়াছে। প্রত্নতাত্ত্বিক, ভারতীয় বেণে প্রকৃত দাম দিয়া জিনিষ কিনিবার সময় যেমন ইঙ্গিত করে, তাহাকে বিষয়াস্তরে লিপ্ত করিবার জন্য, সার আর্থারের করপল্লব তিনি সেই ভাবে চাপিয়া ধরিলেন । ইহাতে সার আর্থার বুঝিতে পারিলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক সত্যই তাহার জন্য কিরূপ দরদবোধ করিতেছেন । র্তাহারা ধীরে সোপানাবলী অবরোহণ করিতে লাগিলেন । সোপানের ধারের প্রত্যেকটি সামান্য জিনিষও পিতাপুত্রীর দৃষ্টি আকৃষ্ট করিতে লাগিল । অন্য সময় হয় ত তাহারা ঐ সকল জিনিষ লক্ষ্যও করিতেন না । আজ শেষ বিদায়ের দিন, সবই বড় হুইয়া দেখা দিতেছিল । সোপানাবলীর প্রথম বিরামস্থানে সার আর্থার ব্যথিভন্ধদয়ে দাড়াইলেন । তিনি যখন দেখিলেন, প্রত্নতাত্ত্বিক তাহার দিকে উদ্বিগ্নভাবে চাহিয়া রহিয়াছেন, তখন তিনি আত্মমর্য্যাদা-জ্ঞান আহরণ করিয়া বলিলেন, “হ্যা, মিঃ ওল্ডবক, অতিপ্রাচীন বংশের ংশধর—রিচার্ড রেডহ্যাণ্ড ও গ্যামেলিন ডি গুয়ারডোভারের প্রতিনিধি যদি একটা বিদায়-স্থচক দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে, সেট ক্ষমার্হ। আজ পিতৃপুরুষের দুর্গত্যাগের সময় তার সঙ্গে কে যাচ্ছে বলুন ? ১৭৪৫ খৃষ্টাকে আমার বাবার সঙ্গে যখন আমি টাওয়ারে প্রেরিত হয়েছিলাম—সে অপরাধ আমার জন্মের ও বংশের উপযুক্ত ছিল। রাজদ্রোহের অভিযোগ আমাদের ওপর ছিল । মন্ত্রীর স্বাক্ষরিত পরোয়ানার বলে রাজ-সৈন্য আমাদের সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল । অার এবার –আমি বৃদ্ধ বয়সে ঋণের দায়ে যাচ্ছি। নিয়ে যাচ্ছে ঐ হতভাগা পেস্বাদ ! পাউণ্ড, শিলিং, পেন্সের জন্যই এই বিভ্রাট !” ওল্ডবক্‌ ৰলিলেন, “কিওঁ এবার সঙ্গে যাচ্ছেন আপনার কস্তা, আর যদি আমাকে বন্ধু বলে স্বীকার সার ওয়াটার স্কটের গ্রন্থাবলী করেন ত আমিও আপনার সঙ্গী । এতে অন্ততঃ আপনার মনে কতকটা সাস্তুনা আসা উচিত। তা ছাড়া এ ব্যাপারে ফাসীকাঠেও চড়তে হবে না, আর বেশী দিন কারাবাসও করতে হবে না । কিন্তু ছোড়াটা আবার মহা চীৎকার জুড়ে দিয়েছে দেখছি। ভগবান করুন, কোন নতুন বিবাদ না বেধে থাকে । কেন যে ছোকরা এখানে এল ?” সভাই সেই সময় একটা গোলমাল শোনা গেল এবং হেক্টরের কণ্ঠস্বর সকলের উপরে উঠিতেছিল। তাহাদের আলোচনা বন্ধ হইল । কারণটা আমরা পরের পরিচ্ছেদে বিবৃত করিতেছি । をRーの Fortune you say, flies from us— she bnt circles, Like the fleet sea-bird round the fowler's skiff,– Lost in the mist one moment, and the next Brushing the white sail with her whiter wing, As if to court the aim—oxperience watches, And has hor on the wheel Old Play. হেক্টরের সামরিক কণ্ঠের জয়ঘোষণা, যুদ্ধজয়ের ঘোষণা হইতে পৃথক্ করা চলে না । সে একতাড় কাগজ লইয়া লম্ফ দিয়া সোপানাবলী অতিক্রম করিয়৷ মাসিয়ু বলিল, “বুড়ো সৈনিক দীর্ঘকাল বেঁচে থাকুক। এডি একরাশ ভাল খবর নিয়ে ফিরে এসেছে * কথাটা সকলেরই কাছে প্রতিদায়ুক বোধ হইল । হেক্টর কাগজের তাড়াটা ওল্ডবকের কাতে অর্পণ করিয়া, আন্তরিক আগ্রহভরে সার আর্থারের করকম্পন করিল। তার পর খোলা মনে মিস ওয়ারভুরকে আনন্দ করিতে অমুরোধ জানাইল । পেয়াদাটা ক্যাপ্টেন ম্যাকৃইনটায়ারকে ভয়ের কারণ বলিয়া বুঝিয়াছিল। তাই সে বন্দীর দিকে আগাইয়া আসিল এবং সৈনিকের গতিভঙ্গীর দিকে দৃষ্টি রাখিল । সৈনিকপুরুষ বলিল, “তোমার মত নোংর লোকের জন্ত আমার বলবার কিছু নেই। ভোমাকে ভয় দেখিয়েছিলাম বলে, একগিনি তোমায় পুরস্কার