পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭અ8૨ উভয়েই ভদ্রনস্তান, ঙাতে কোন সন্দেষ্ট নেই । স্কটল্যাণ্ডে তোমাদের উভয় বংশষ্ট এ বিষয়ে শ্রেষ্ঠ ।" হেক্টর বলিল, “ঐশ্বৰ্য্যের দিক দিয়ে যদি ধরেন, তাহলে উভয়েরই অবস্থা সমান । উভয় পক্ষের কারও কিছু নেই । ভুল আমার হতে পারে, কিন্তু সে জঙ্গ আমাকে অপরাধী কবস্তে পারেন না, বোধ হয় ।” মাতুল বলিলেন, “কি একটা বিষৰে তুমি ভুল করেছ, হেক্টর । মিস ওয়ারভুর তোমাকে চান না ।* “জ্ঞাই না কি, স্থার ?” “খুব সত্য কথা, ভেক্টর । সেটা যে কত বড় সত্য, তা তোমাকে জানিয়ে দেই—মিস ওয়ারভুর অার এক জনকে ভালবাসেন ! এক সময়ে আমি তাকে কতকগুলি কথা বলেছিলাম, কিন্তু তখন তিনি আমার কথার ভুল বুঝেছিলেন । তার পর তিনি আমার কথায় যে ব্যাখ্যা করে নিষেছিলেন, সে সম্বন্ধে আমি অনুমান করতে পেরেছি । সে সময় তার ইহুস্ত গুঃ ভাব ও লজ্জায় আরক্ত মুখ দেখে কাৰণ নির্ণয় কবঙ্গে পারিনি, কিন্তু বেচা বা হেক্টর, আমি তোমায় বলছি, তার ঐ রকম ভাবপরিবর্তন থেকে আমি বুঝেছি, তোমার আশায় ছাই পড়েছে । সুতরাং আমি তোমায়ু উপদেশ দিচ্ছি তুমি সরে পড়, তোমাব দল-বলকে সঙ্গে নাও, যুদ্ধজয়ে কোন আশা তোমার নেই : জেনে রাখ, দুর্গটিতে অস্ত্ৰ শস্ত্র, গোলা বারুদ ও এত রসদ আছে যে, অৰবোধের ফলে তার কিছুই তুমি করতে পারবে না।" সোজা শুষ্টধা দাড়াইয়া দৃঢ়পদে পাদ-নিক্ষেপ করিয়া, আত্মাভিমানে আঘাত পণ্ডিলে মনের যে অবস্থা হয়, সে ভাবে হেক্টর বলিল, “মামা, আমাকে পালাতে হবে কেন ? যে কোন দিন অগ্রসরই হয়নি, সে চঠেষ্ট বা যাবে কেন ? মিস ওয়ারডুর ছাড়া স্কটল্যাণ্ডে ঢের ভাল বংশের মেয়ে আছে—” মাতুল বলিলেন, “বাদেব রুচি ও ভাগ, এমন অনেক মেয়ে আছে । এ ঠিক হেক্টর। যদিও মিস্ ওয়ারডুরের মত বুদ্ধিমতী এবং সৰ্ব্ব গুণসম্পন্ন নারীরত্ন খুবই কম। র্তার প্রতিভা তোমার মত লোকের উপর পড়লে ব্যর্থ হতে বাধ্য। তোমার ত ঘোড়া আর অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে কারবার । তার প্রতিভা প্রত্নতত্ত্বে। বিশেষতঃ জীব-জন্তুর উপরেও তার রসবোধ আছে—সুতরাং ফোকা বা সীল মাছ র্তার কাছে প্রিয হবার সম্ভাবনা ।” e সার ওয়ান্টার স্কটের গ্রন্থাবলী টেকটর বলিল, “সৰ সময়ে ঐ ফোক বা সীলের দৃষ্টান্ত আমার পক্ষে একটু কঠোর নয় কি ? কিন্তু আমি ওসব আর গ্রাহ করব না—আর মিস ওয়ারভুরের জন্যও শোক করে বুক ভাঙ্গব না। তার যাকে ইচ্ছা তিনি স্বামিত্বে বরণ করতে পারেন । আমি শুধু এই কামনা করি, তিনি যেন মুখী *z, * "ট্রয়ের বীর, তুমি মহতের মত কথা বলেছ ! হেক্টর, আমি ভেবেছিলাম, তুমি হয় ত একথা গুনবার পর একটা কেলেঙ্কার কাণ্ড করে বসবে। তোমার বোন আমাকে বলেছিল যে, তুমি মিস ওয়ারডুরকে প্রাণ দিয়ে ভালবেসে ফেলেছ ” যুবক বলিল, “যে নারী আমায় চায় না, আমি তাকে প্রাণ দিয়ে ভাল বাসব, এ আমার ধারা সম্ভবপর নয় ।” একথায় প্রত্ন তাত্ত্বিক বেশ গম্ভীরভাবেই বলিলেন, “তোমার একগাম তুমি যথেষ্ট জ্ঞানের পরিচয় দিয়েছ, ভাগ নে । বিশ পচিশ বছর আগে মৃদি তোমার মত এই ভাবে আমি চিন্তা করতে পারতাম, তার জন্য অদেয় কিছুই ছিল ন৷ ” চেক্টর বলিল, “এ রকম বিষয়ে যার যেমন খুসী সে ভাবতে পারে ।* ওল্ডবক্‌ বলিলেন, “পুরাণে সুগের লোকরা ত! ভাবত না । তবে আমি আগেই বলেছি, আধুনিক যুগের এ রকম ব্যাপারে এই রকম মনোভাব বুদ্ধিমত্তার ছোতক, তবে এতে কৌতুহলের উদেক হয় না । এখন বল , এই যে আক্রমণ সম্বন্ধে জনরব উঠেছে, এ সম্বন্ধে ছোমার মত কি ৷ এখনে চীংকার শোনা যাচ্ছে—তারা আসছে ” হেক্টর ঠাইfর মনের দুঃখ চাপিবার চেষ্টা করিতেছিল । আঘাত তাহার কম লাগে নাই । তাহার মাতুল স্বেরূপ বিদ্ধপভরে তাহার অন্তরতম অভিপ্রাধু সম্বন্ধে সমালোচনা করিলেন, তাহাঙে তাহার সৈনিকের প্রাণ ব্যথায় বিদীর্ণ হইবার উপক্রম করিয়া’ছল, কিন্তু সাল সম্বন্ধে মিস ওয়ারডুরের মনে কি ভাব উদিত হইতে পারে, তাহার মাতুল যে ইঙ্গিত করিয়াছেন, তাছা সহজে বিশ্বত হুইবার নহে । উভয়ে মঙ্কবারনসএ পৌছিলেন । মহিলাদের নিকট দুর্গের আঞ্জিকার ব্যাপারটা সবই যথাযথ বিবৃত হইল। ডিনারের সময় অতীত হইয়! যাইতেছে দেখিয়া মহিলার আহার শেষ করিয়াছিলেন। তখন সে বিষয়ে আর আগোচনা উঠিল না "