পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*)88 এড়ি বলিল, “তখন আপনার বোনের ছেলের রক্তে র্তার হান্ত রঞ্জিত । হয় ত মারাই গেছেন। এমন অবস্থায় পরামর্শ করবার অবকাশ কোথায় ছিল ? অথবা আপনার কাছে এ সম্বন্ধে আলোচনা করবেনই বা কি করে । অল্প লোকের ত কথাই নেই ।” “তুমি ঠিক বলেছ। কিন্তু ডাউষ্টারস উইভেল যদি তোমার আগেই ওগুলো খুঁড়ে বের করে নিত ?” *সার আর্থারকে না নিয়ে ও ব্যাট। কখনই এক ওখানে যেতে পারত না । আগের রাত্তিরে সে ভারী ভয় পেয়ে গিয়েছিল । ওকে হাত-পা বেঁধে না নিয়ে গেলে, নিজেরই ইচ্ছে য়ু সে কোনমতেই ওখানে যেভ না । সে জানতে যে, প্রথম বারে সে কতকগুলো জিনিষ লুকিয়ে রেখেছিল । তার পর যে আবার ঞ্জিনিষ পোতা আছে, তা সে ভাবতেই পারে নি । সার আর্থারের সর্বনাশ করবার জন্যই সে ঐ রকম ব্যবস্থা করেছিল ।” ওল্ডবক্‌ বলিল, “জাৰ্ম্মানট সার আর্থারকে ওখানে না নিয়ে এলে তিনি সেখানে এলেন কি করে ?” এডি নীরস কণ্ঠে বলিল, “ম্যাষ্টিকট সম্বন্ধে আমি একটা গল্প রচনা করে চারিদিকে তা ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। ৪০ মাইল দূরের লোক পৰ্যন্ত সে গল্প শুনেছিল । আপলিও তা শুনেছেন । যেখানে তিনি নিজের সোনা-রূপা পুতে রেখেছিলেন, দেখালে তার আত্মা আসতে পারে, এটা খুবই সস্তব বলে সকলে ভেবেছিল । প্রথমে এক বাক্স রূপে। পাবার পর সার আর্থারের লোভ বেড়েছিল । তিনি ভেবেছিলেন, আরো হয় ত পাবেন । সার আর্থারের দারুণ অর্থকষ্ট, তাকে সে কষ্ট থেকে উদ্ধার করা দরকার । অথচ লভেল ষে তাকে সাহায্য করছেন, তাও তিনি কাকেও জানাতে রাজি ছিলেন না । আমাকে তিনি এই বিষয়ে শপথ করিয়ে নিষেছিলেন । আর কোন উপায় না দেখে কবরের ভেতর বাক্স পুতে রাখাই ঠিক হয়েছিল । যদি জাৰ্ম্মানটা কোন রকমে সন্ধান পেয়ে ঐ বাক্স টুলবার জন্য অস্তি, আমি আগেই আপনাকে জানিয়ে দিওtম । আমি ত সারা দিনরাত সেখানে পাহারায় থাকতাম ! আমার কোথাও স্বাৰার উপায় ছিল না ।" “তোমাদের সতর্কত খুব ছিল বটে,কিন্তু উপায়ুটা খুব ভাল বলা যায় না । যাক, লভেল এত রূপোর মূৰ্ত্তি পেলেন কোথা থেকে ?” “সে কথাটা ত আমি আপনাকে সূতে পারব না-কিন্তু ফেয়ারপোর্ট থেকে তাৰ ষে সব জিনিষপত্র সাব ওয়ান্টার স্কটের গ্রন্থাবলী জাহাজে এসেছিল, ওগুলোও সেই সঙ্গে দেখেছিলাম । श्रांबब्रां नवाझे भिष्ण धै छिभिशस्stणा छाझाrछद्र ७कल्ले বারুদের বাক্সের মধ্যে ভরে রেখেছিলাম। নিয়ে যেতে স্থবিধা হবে তাও বটে, আর লুকোনোও থাকৃবে ভাল রকমে ।” লভেলের সহিত প্রথম পরিচয়ের ঘটনাগুলি স্মরণ করিয়া ওল্ডবক্‌ বলিষ্ঠ উঠিলেন, “গ ভগবান ! এই ছোকরা নানা বিপজ্জনক ব্যাপারে শত শত পাউণ্ড ব্যয় কবে, এ জাগে কি আমি তার বই ছাপাবার জন্ম চাদা তুলবার প্রস্তাব করি, না, ফেরিঘাটে তার খাবারের বিল শোধ করে দেই ! এর পর আর কোন লোকের বিল আমি শোধ করব না, এটা ঠিক । তুমি লভেলের সঙ্গে বরাবর চিঠিপত্র চালিয়ে আসছ ?” “গ ও কল্যকার আগের দিন আমি তার কাছ থেকে একটা চিরকুট পাই । তাতে তিনি লিখেছিলেন, পরের দিন অতি অবশ্ব আমি ট্যানেনবার্গএ গিয়ে একতাড়া চিঠি যেন নিয়ে স্নাদি । নকৃউইকনকৃ দুর্গের সকলের পক্ষে সেই চিঠির স্তাড় বড়ষ্ট দরকারী । ফেয়ারপোর্টের ডাকঘরের লোকরা সকলের চিঠি খুলে পড়ে বলেক্ট, তিনি ঐ কথা আমায়ু লিখেiছলেন । সে কথাটা মোটেই মিথ্যা নয় । আমি শুনেছি, ডাক-মুন্সীর স্ত্রী পরের চিঠি খুলে পড়ে বলে তার চাকরী ষাৰে ।” "আচ্ছ। এডি, তুমি এসব ব্যাপারে পরামর্শদাঙ}, দূত, এবং রক্ষক হিসাবে যে কাজ করেছ, তার জঙ্গ তুমি কি প্রত্যাশ কয় ?” "কোন কিছু নী—শুধু এই ভিখিরী যখন মরে মাবে, তখন ভদ্রলোকরা যেন তার কব ক্ষেত্রে এসে দাড়ান, আর আপনি যেন মাথার দিকটা তুলে ধরেন, বেচার। ষ্টিনি মকলব্যাকষ্টটের সময় যেমন করেছিলেন । এসব কাজ করতে আমার ত কোন কষ্টই হয়নি। যখন আমাকে জেলে রখেছিল, ভধুনি অামার মনটা খারাপ হয়েছিল । এই সব চিঠি যখন আসবে, আমি যদি তখন জেলে বদ্ধ থাকি, তা হলে ত সব গাল ইয়ে যাবে । তখন আমি একবার ভেবেছিলাম যে, সব কথা আপনাকে খুলেই বলি। কিন্তু লভেলের আদেশ লক্তবন করা হবে ভেবে ভা পারিনি, মঙ্কবারমূল ভা ছাড়া আমি জানতাম যে, এডিনবরাতে একজনের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ করার আগে সার আর্থারের ও তার পরিবারবর্গের জন্য ক্টার ইচ্ছামত কাজ জিনি করতে পারবেন না।” “বেশ-কিন্তু লোকজনের সব খবর আগে ধেমন পেতে, এখনে তেমনি আসছে ভ ?”