পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wo& o পেরেছিলাম। আমার উপর খুব জৰিচার করা .. য়েছে, সে বলেছিল। স্কটল্যাণ্ডের কোন মহিলার মৃত্যুর পর সে আমার পূর্ণ পরিচয় আমাকে দেবে বলেছিল। সেই মহিলা বেঁচে থাকৃতে সে কোন কথাষ্ট বতে পারবে না শপথ করেছিল। সেই আমাকে বলেছিল যে, মিঃ জেরালডিন নেভিলি আমার বাবা নন । শত্রুরা আমাদের আক্রমণ করায়, সে সহর থেকে আমাদের হুঠে আসতে হয়েছিল । সাধারণতন্ত্রীরা সেই সহর জালিয়ে দিয়েছিল, তাদের পৈশাচিক অত্যাচারে সব ধ্বংস . হয়ে গিয়েছিল । ধৰ্ম্মসংক্রান্ত মন্তবাদই তাদের এত নিষ্ঠুর করে তুলেছিল । ঐ মঠটা তার পুড়িয়ে দিয়েছিল । যে সব সন্ন্যাসিনী সেখানে ছিলেন, তাদের সঙ্গে টেরেসা ও পুড়ে মরেছিল । তার মুতু্যর সঙ্গে সঙ্গেই আমার জন্মকাহিনী চিরদিনের জষ্ঠ বিলুপ্ত হয়ে গেছে । সম্ভবত: আমার জন্মকাহিনী নিশ্চয়ই বিয়োগাস্ত * ওল্ডবক্‌ বলিলেন, “এ ব্যাপারে তাহলে তুমি কি করেছিলে ?” “আমি মিঃ নেভেলিকে চিঠি লিখে সব জানতে চেয়েছিলাম, কিন্তু কোন ফল হয়নি । তার পর সেনাবিভাগ থেকে ছুটী নিয়ে আমি তার চরণ ধরে বলেছিলাম, আমার জন্মকথা তিনি বলুন । তিনি সন্মত হননি । তার পর রাগ করে বলেছিলেন যে, এত দিন ধরে তিনি আমার জন্য এত করেছেন, অকুতজ্ঞ, আমি তা মানতে চাই না । আমি ভেবেছিলাম, উপকারক হিসাবে তিনি তার শক্তির অপব্যবহার করেছেন । তবে তিনি স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি আমার পিতা নন । তখন মনোমালিন্তের ফলে আমরা পরস্পরের কাছে বিদায়ু নেই । তখন থেকে নেভেলি পদবী আমি ত্যাগ করে আমি লভেল নামেই আত্মপরিচয় দিতে আরম্ভ করি । এই সময় ইংলণ্ডের উত্তরভাগে আমার এক বন্ধুর বাড়ীতে আমি বাস করতে থাকি । তিনি আমার ছদ্মনামে আপত্তি করেননি । এখানেই মিস ওয়ারডুরের সঙ্গে আমার পরিচয় ঘটে । কল্পনাপ্রবণ মনের তাড়নায় আমি স্কট্ল্যাণ্ডে ণ্ডার অনুসরণ করি । জীবনকে কোন পথে চালিত করব, সেই ব্যাপারে তখন আমার মন চঞ্চল ছিল । মনে স্থির করেছিলাম, মি: নেভেলিকে আবার আমার জন্মকথা প্রকাশ করবার জন্য অন্ধুরোধ করব। অনেক বিলম্বে আমার পত্রের উত্তর এসেছিল। যখন সে চিঠি আমার হাতে আসে, সার ওয়ান্টার স্কটের গ্রন্থাবলী আপনি তখন উপস্থিত ছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, র্তার স্বাস্থ্য ভাল নয় । এ সময়ে আমারই মঙ্গলের জন্ত, তার সঙ্গে আমার কি সম্পর্ক, তা যেন আমি জানতে ন চাই । তিনি আমাকে তার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করে যাবেন, ভাতেই যেন আমি সন্তুষ্ট থাকি । তার কাছে যাবার জন্য যখন আমি ফেরারপোর্ট ত্যাগ করতে উদ্যত, সেই সময় দ্বিতীয় পত্র এল যে, তিনি ইহলোক ত্যাগ করেছেন । আমার উপকারকের সম্বন্ধে আমি ষে ব্যবহার করেছিলাম, প্রচুর ধনসম্পত্তির মালিক হয়ে, তাতে আমার অমুশোচনার শান্তি হবে না। পত্রে এইটুকু ইঙ্গিত ছিল যে, আমার জন্মে জারজসস্তানের কলঙ্কের অপেক্ষাও গভীরতর কলঙ্কের ছাপ আছে। সার আর্থারের এ সম্বন্ধে আপত্তি ও মনোভাব আমি জানতাম ” ওল্ডবক বলিলেন, “তুমি এসব বিষয় নিয়ে চিস্তা করে পীড়িত হয়ে পড়েছিলে, অথচ আমার কাছে পরামর্শের জন্য এসনি—আমাকে সব কথাও বলনি ?” “ঠিক তাই । তার পর ক্যাপ্টেন ম্যাকুইনটায়ারের সঙ্গে ঝগড়া হল, বাধ্য হয়ে আমাকে ফেয়ারপোর্ট ও তার সন্নিহিত অঞ্চল থেকে চলে মেতে হল ।” “কবিতা ও প্রেম—মিস ওয়ারডুর ও ক্যালিডোনিয়াড ?” “খুব সত্য কথা ।” “সেই সময় থেকেই তুমি বুঝি সার আর্থারের সাহায্যের জন্ত নানারকম মতলব নিয়েছিলে ?” “চ) । আমাকে এ বিষয়ে এডিনবরায় ক্যাপ্টেন ওয়ারভুরও যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন ।”

  • আর এখানে এড়ি আকিলf ট্র-দেখ ছ ত আমি তোমার সব খবর রাখি । কিন্তু অত রূপোর জিনিষ তুমি কোথায় পেলে?”

“এগুলো সব মিঃ নেভেলির সম্পত্তি । ফেয়ারশোর্টে একজনের কাছে ওগুলো গচ্ছিত ছিল । মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি লিখেছিলেন, ওগুলো যেন সব পুড়িয়ে ফেলা হয় । গ্লেনালালবংশের ছাপ সেগুলোতে ছিল, আমি যেন তা ন দেখি, এই তার উদ্দেপ্ত ছিল " “বেশ, মেজর নভিলি, অথবা তোমাকে আমি লভেল বলেই ডাকৃব । কারণ, ঐ নামে তোমাকে ডাকৃতে আমার ভারী আনন্দ হয় । এখন তুমি তোমার দুটো ওরফে নামই বদলে ফেলতে হবে । এখন থেকে অনারেবল উইলিয়ম্ জেরালডিন বা লর্ড জেরালডিন নামেই তোমার পরিচয় হবে "