পাতা:সার ওয়াল্টার স্কটের গ্রন্থাবলী (তৃতীয় ভাগ).djvu/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দি ব্রাইড অব ল্যামারমুর দিল যে, বালকটি ভেবাচেকা খাইয়া আসল কথাই ভুলিয়া গেল। ইতিমধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ বালকটি ফিরিয়া আসিলে তাহার আসল ব্যাপারটা যেন কতক বুঝিয়া লইল । বৃদ্ধ মাত বলিল, “ক্যালেব বালডারষ্টোন এরকম খেলা খেলুলে কেন ?” "তার কথা এখন থাক্‌ ! কৰ্ত্তা বাড়ী এলে, আমি এখন কি বলব, তাই ঠিক কর । সে ত বাড়ী এসে এ কথা শুনলেই আমায় আজ আস্ত রাখবে না।” ম৷ বলিল, “তুই ত ভারী বোকা মেয়ে । আমার সাক্ষাতে তোকে মারবে ? সে ষে আমাকেই মারা হবে । সে আমি কোনমতে হ'তে দেব ন৷ ” এই সময়ে অশ্বপদশব্দ হইল । কর্তা ধৰ্ম্মযাজক সহ আসিতেছে বুঝ গেল। অশ্ব হইতে অবতরণ করি স্বাক্ট তাহার রন্ধমাগারে প্রবেশ করিল । সেখানে আগুন জ্বলিতেছিল । আজ শীত ও প্রচণ্ড । সকলেই বৃষ্টিধারায় সিক্তদেহ । যুবতী পত্নী স্বামীর নিকট হইতে প্রথম অপমান প্রত্যাশ করিয়া সম্মুখে দাড়াইল । ওহীর মাতা ও পাশ্বে স্থান গ্রহণ কfরল । কন্যার প্রতি আক্রমণ হুইলে সে তাহাকে আগেই রক্ষা করিবে, এই উদেশু । উভয়েরই চেষ্টা মুরগ চুরী এবং ভেড়ার মাংস নষ্ট হওয়ায় দৃগুটা ধত বিলম্বে কৰ্ত্তার দৃষ্টিগোচর হয়, শুভই ভাল । উভয়ে ভাহাদিগকে প্রঃ করিল যে, জলঝড়ে বোধ হয় তাহারা বড় কষ্ট্র পাইয়াছে—শীতে ধরিয়াছে । যুবতীর স্বামী বলিল, “শীত ? আগুনের ধারে যেতে না দিলে জ'মে বরফ হয়ে যাব ।” গির্ডার নারীদিগকে সরাইয় দিয়। অগ্নিকুণ্ডের দিকে অগ্রসর হইল। তাহার তীয় দৃষ্টি প্রথমেই জুইটি লোভনীয় খাদ্যের অভাব দেখিতে পাইয়া বলিল, *ব্যাপার কি, ওরে মাগী, শয়তানের খেলা—” উভয়েই বলিয়া উঠিল, “লজ্জা করে না ওরকম কথা বলুতে ? মিঃ বাইড দি বেন্টের সাম্নে যা তা বলছ ?”

  • আমার ঘাট হয়েছে। কিন্তু—” মিঃ বাইড দি বেণ্ট বলিলেন, “আমাদের আত্মার শত্রুর নাম মুখে আন ভারী অদ্যায়।”

“অপরাধ স্বীকার করছি।” ধৰ্ম্মযাজক বলিলেন, “ন, না, এরকম করা বড় দোষ " جیسے جا ہے۔ ஒ 86t কর্তা বলিল, “আমি ত দোষ স্বীকার ক’রে নিলুম। আর কি করতে পারি, মশাই ? কিন্তু মেয়েমানুষদের জিজ্ঞাসা করছি, আমরা আসবার আগেই মাংস ওরা আগুন থেকে নামিয়ে রাখলে কেন ?” - স্ত্রী বলিল, “গিল্বার্ট, আমরা নামিয়ে রাখিনি। একটা বিপদ ঘটেছে ” উদ্দীপ্ত-নয়নে গিলবার্ট বলিল, "বিপদ ? সে আবার কি ? সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়নি অবশু ?” স্ত্রী স্বামীকে ভয় করিত । কাজেই সে কোন উত্তর দিল না। কিন্তু তাতার মাত কন্যার সাহায্য করিতে আগাইয়| আসিল । সে বলিল, “আমার এক জন জান; লোককে সেগুলো দিয়েছি । এখন কি বল্‌তে চাও তুমি ?” গির্ডার মুহূৰ্ব স্তব্ধ বিস্ময়ে চাচিয়া রহিল । তার পর বলিল, “আমাদের আজকের থানার মধ্যে ষা ভাল জিনিষ, তাই তুমি বিলিয়ে দিয়েছ ? কাকে দিলে শুনি ?” যুদ্ধার্থ প্রস্তুত হইয়ু বৃদ্ধ বলিং উলফস ক্রাগের মিঃ ক্যালেব বাড়ারষ্টনকে ৷” গির্ডার ক্রোধে অধীর হুইয়া উঠিল । ক্যালেবের উপর সে প্রসন্ন ছিল না । কাজেই সে রাগে ফুলিতে লাগিল । সে হাঙে ক্ষেত উঠাইয়া ধরিল-শাশুড়ীকে প্রহার করিতে সে অপ্রস্তুত নহে । বৃদ্ধর হাতেও একটি লৌহদণ্ড ছিল । সেও সেট। কায়দা করিয়৷ ধরিল । তাহার হান্তের জোরও কম নহে । সুতরাং বেগতিক দেখিয়া সে পত্নীর উপর আপতিত গুইল । ধৰ্ম্মধাজক ইহা দেখিয়ু বিচলিত হইলেন । গির্ডার বলিল, “ওরে বোকা মাৰ্গ, তুই সেই হতভাগাটাকে এমন ভাল মাংস বিলিয়ে দিতে দিলি কেন ? আমি তোকে আচ্ছা রকম শিক্ষ। দিচ্ছি, দাড়া " ধৰ্ম্মযাজক গির্ডারকে বাধ দিলেন । লাইট বয় লৌহদণ্ড ইস্তে কঙ্গার রক্ষার জন্য সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । সে দণ্ড আম্ফালন করতে লাগিল । ক্রোধভরে গির্ডার বলিল, “আমার বউকে আমি শাসন করতে পারব না ?" বৃদ্ধ বলিল, “তোমার পরিয়ারকে তুমি গালাগালি দিতে পার, কিন্তু তার গায় হাত তুলুতে পার না ! আমার সামনে আমার মেয়েকে তুমি মারবে, . এত বড় আম্পদ্ধা ?” ধৰ্ম্মযাজক বলিলেন, “ভারা লজ্জার কথা, মি: গির্ডার ! তোমার এ রকম ব্যঙ্গহার আমি আশা করিনি। নিজের ধৰ্ম্মপত্নীর উপর তোমার এ রকম