সাহিত্য-মীমাংসা o Coleridge, Bradley, Rūtfix Benedetto Croce, Ffixf3 Tolstoy, FfrwfR Henri Bergson, Effffîrg Kant, Hegel, Herder, Schopenhauer, ইহাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ দার্শনিক মতবাদের উপর ভিত্তি করিয়া, বৃহত্তর মানবজীবন ও বিশ্বস্বষ্টির চরম এবং পরম লক্ষ্য ও পারণতি সম্বন্ধে ব্যক্তিগত ধারণার দ্বারা পরিচালিত হইয়া সাহিত্যের উদ্দেশ্য ও স্বরূপ বিশ্লেষণ করিবার জন্য প্রযত্নবান হইয়াছেন। যাহারা বৌদ্ধ শূন্তবাদিদের ন্যায় সৃষ্টিরহস্য সম্বন্ধে অজ্ঞেয়তাবাদী (Agnostic) তাহদের মতে সাহিত্যের লক্ষণ, রসাস্বাদের লক্ষণ, কোনও কিছুরই যথার্থ লক্ষণ অসম্ভব । কেন না, র্তাহীদের দার্শনিক মতবাদ অনুযায়ী ভাষার দ্বারা এই বিশ্বের কোনও বস্তুরই, অতি ক্ষুদ্রতম তুচ্ছতম বস্তুরও, যাহাকে আমরা একান্ত পরিচিত বলিয়া মনে করিতেছি, তাহারও প্রকৃত স্বরূপ বর্ণনা করা অসম্ভব । সুতরাং কি করিয়া সাহিত্যের লক্ষণ ভাষায় প্রকাশ করিব, কি করিয়াই বা সাহিত্যপাঠের আনন্দ ও রসাচুভূতির স্বরূপ ভাষার ভিতর দিয়া বর্ণনা করিব ? অতএব কবি সাহিত্যস্থষ্টি করিতে থাকুন, আমরা আনন্দলাভ করি, ইহাই যথেষ্ট। তাহার কার্যকারণত ত্ত্ব জানিয়া কি ফল, যখন জানিলেও ভাষায় তাহ প্রকাশ করিবার কোনও উপায়ই নাই ? সুতরাং—মূকতৈব বরম । আমরা যখন সাহিত্যে রসাভিব্যক্তি বিষয়ে আলোচনা করিব তখন দেখিতে পাইব যে, বিভিন্ন প্রস্থানের দার্শনিকগণ কি ভাবে স্ব স্ব সিদ্ধান্তানুসারে রসের স্বরূপ বিশ্লেষণ করিবার চেষ্টা করিয়াছেন । নৈয়ায়িক, মীমাংসক, বৈদাস্তিক, শৈব প্রত্যাভিজ্ঞারাদী প্রত্যেকেরই মতবাদ পরস্পর-বিভিন্ন। বেগ সঁ তাহার Laughter শীর্ষক চিন্তাপূর্ণ পুস্তক সাহিত্যে হাস্যরসের স্বরূপ বিশ্লেষণ করিতে গিয়া স্বকীয় দার্শনিক মতবাদ— creative evolution—জীবনতত্ত্বের ক্রমবিবর্তনবাদকেই মূল ভিত্তিরূপে গ্রহণ করিয়ছেন।” 2. R* “...An idea is something that grows, buds, blossoms and ripens from the beginning to the end of a speech. It never halts, never repeats itself.
